মঙ্গলবার ● ৩১ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বিশ্বের সর্বোচ্চ বাদ্যযন্ত্র ভিত্তিক ভাস্কর্য্য বাংলাদেশের “একতারা”
বিশ্বের সর্বোচ্চ বাদ্যযন্ত্র ভিত্তিক ভাস্কর্য্য বাংলাদেশের “একতারা”
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (১৫ শ্রাবণ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১২.৪০ মি.) বাউল সম্রাট লালন শাহের জন্মস্থান ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু শহরে স্থাপিত হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ বাদ্যযন্ত্র ভিত্তিক ভাস্কর্য্য “একতারা”। হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত একতারা ভাস্কর্য্যটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। দৃষ্টিনন্দন একতারা ভাস্কর্য্যটি মনে করা হচ্ছে বিশ্বের সুউচ্চ বাদ্যযন্ত্র ভিত্তিক ভাস্কর্য্য। যার উচ্চতা মাটি থেকে ২৬ ফুট আর বেদি থেকে ২২ ফুট। হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড এম এ মজিদ জানান, ঝিনাইদহ সাংস্কৃতিসেবীদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল লালনের নিজ শহরে একটি একতারা ভাস্কর্য্য নির্মানের। সাংস্কৃতি কর্মীদের দাবী পুরন করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। তিনি বলেন এই একতারা ভাস্কর্য্যটি নির্মান করতে তার পরিষদ থেকে দুই লাখ টাকা ব্যায় করা হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র শাওন সরদার ও অন্ত ১৫ দিন সময় নিয়ে একতারা ভাস্কর্য্যটি নির্মান করেন। যা এখন জেলাবাসির কাছে গর্বের বিষয়। হরিণাকুন্ডু শহরে লালনের একতারা প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের পুরোধা ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী একরামুল হক লিকু বলেন, লালনের জন্মভুমি হরিশপুর ও শহর হরিণাকুন্ডুতে একতারা ভাস্কর্য্য নির্মানের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। একতারা ভাস্কর্য্যটি নির্মানের ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঙ্গালী সাংস্কৃতির ঐতিহ্যকে প্রতিনিধিত্ব করবে। তিনি বলেন, বাঙ্গালী সাংস্কৃতির আদি ঐতিহ্যের যে ধারা তার প্রতিনিধিত্ব করে বাউল সুর, যা ২০০৫ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত। হরিণাকুন্ডু শহরের একতারা ভাস্কর্য্য সারা পৃথিবীর বাউলমনা মানুষকে আকৃষ্ট করবে বলেও লিকু মনে করেন।