মঙ্গলবার ● ৩১ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » রাজনীতি » অস্ত্রের মুখে আমাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে : কামরান
অস্ত্রের মুখে আমাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে : কামরান
সিলেট প্রতিনিধি :: (১৬ শ্রাবণ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩৫ মি.) সিলেট সিটি করপোরেশেন নির্বাচনে অনিয়ম ও জালভোটের অভিযোগ তুলে ১৭টি ভোট কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।
আজ মঙ্গলবার ৩১ জুলাই সকালে তিনি নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল এখনো পুরোপুরি ঘোষণা করা হয় নাই।
তিনি নিজের উপর হামলা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, কাল (সোমবার) সকালে যখন আমি যখন নগরীর খাসদবির কেন্দ্রে ভোট পরিদর্শনের জন্য যাই সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আমার ওপর হামলা চালায়। এর এক পর্যায়ে বিএনপির সমর্থকরা অস্ত্র প্রদর্শনের মুখে আমাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। আমাকে বের করে দেয়ার পরপরই সেখানে ধানের শীষের জাল ভোটের মহোৎসব চলে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হকের নির্বাচনী যে কেন্দ্র রয়েছে সেখানে বিপুল পরিমাণে তারা ধানের শীষে সিল মেরেছে। এক পর্যায়ে নৌকার বেজ পরিধান করে বিএনপির বিপুল সংখ্যক সমর্থক রায়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ নগরীর বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে একাধারে ধানের শীষ প্রতীকে জাল ভোট মেরেছে।
এছাড়াও কাজী জালাল উদ্দিন কেন্দ্রের বাহিরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্যালট পেপার প্রসঙ্গে টেনে এনে তিনি বলেন, আজ সকালেই আমি জাতীয় একটি দৈনিকের খবরে দেখলাম কেন্দ্রের বাইরে ধানের শীষের প্রতীকে সিল মারা অবস্থায় ব্যালট পেপার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এরকম অনেক কেন্দ্রেই আওয়ামীলীগের বেজ পরে বিএনপি জাল ভোটের মহোৎসব চালিয়েছে।
এসময় নগরীর ১৭ কেন্দ্রে অনিয়ম ও জালভোটের অভিযোগের কথা তুলে কামরান বলেন, নগরীর যে কয়টি কেন্দ্র নিয়ে এরকম গুরুতর অভিযোগ রয়েছে ইতিমধ্যে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলেছি যে আমরা এসব কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচন চাই।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, সিলেট নগরীর মডেল স্কুল সেন্টারসহ আরো কয়েকটি কেন্দ্রে গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আর এ গুলাগুলি করেছে পুলিশ। যে সব কেন্দ্রে পুলিশ গোলাগুলি করতে বাধ্য হয়েছে সেসব কেন্দ্রের ফলাফল আমরা মানি না।
তাই এসব কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচন করতে হবে। অন্যথায় সিলেটের মানুষ রাজপথে নেমে আসবে। তারা তখন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নিজেদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে আনবে।