বুধবার ● ১ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ঈশ্বরগঞ্জে শোকের মাসেও ঈদের গেইট
ঈশ্বরগঞ্জে শোকের মাসেও ঈদের গেইট
ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি :: (১৭ শ্রাবণ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৩৪মি.) শোকের মাস আগস্ট। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধুর একটি শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবতার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, বাঙালির নিরন্তন প্রেরণার চিরন্তন উৎস, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
শোকাবহ আগস্টে সমগ্র জাতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠনগুলো যথাযোগ্য মর্যাদা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও ভাবগম্ভীর আর বেদনাবিধুর পরিবেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করবে।
প্রতিবারের মতো এবারও বাঙালি জাতির সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্র ও দল থেকে বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে প্রতিবারের ন্যায় এবারও। এজন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় শোক উপলক্ষে বিভিন্ন ধরণের তোরণ নির্মান করা হয়েছে।
কিন্তু ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌরশহরে বেশ কয়েকটি গেইটে ঈদের সময় শুভেচ্ছা জানানোর লক্ষ্যে নির্মিত হলেও শোকের মাসেও এগুলি সরানো হয়নি। এ নিয়ে শহরে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে।
পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বরে বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, মেয়র আব্দুস ছাত্তার, উপজেলা আ’লীগ কার্যালয়ের সন্মুখে তিনটি উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন, উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী রফিকুল ইসলাম বুলবুল ও সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আব্দুর রহিম, উপজেলার সম্মুখে ২ টি উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন ও জাতীয় সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম এর সৌজন্যে নির্মিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে এর বিচারের পথ পর্যন্ত রুদ্ধ করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে আসার পর কলঙ্কিত সেই অধ্যাদেশ বাতিল এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করা হয়। নানা কূটকৌশলের জাল ছিন্ন করে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ায় ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের চূড়ান্ত রায় এবং পরবর্তী সময়ে পাঁচ ঘাতকের ফাঁসি কার্যকর করার মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা হয়েছে। তবে পুরো জাতি এখনও প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে বঙ্গবন্ধুর বাকি ছয় পলাতক খুনির ফাঁসি কার্যকর করার জন্য।
এদিকে এই আগস্ট মাসেই ঘটেছিল জাতির ইতিহাসের আরও একটি বিয়োগান্তক ঘটনা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছিল গ্রেনেড হামলা। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে চালানো ওই গ্রেনেড হামলা থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও ঝরে গিয়েছিল মহিলা আওয়ামী লীগ নেতা আইভি রহমানসহ ২৪ তাজা প্রাণ।