বৃহস্পতিবার ● ২ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » নদী ভাঙনে ৫ শতাধিক বসতবাড়ী বিলীন সহস্রাধিক হুমকীর মুখে
নদী ভাঙনে ৫ শতাধিক বসতবাড়ী বিলীন সহস্রাধিক হুমকীর মুখে
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (১৮ শ্রাবণ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.১৮মি.) গাইবান্ধায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে বাড়ছে নদী ভাঙনের তীব্রতা। গত কয়েক দিনে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে হলদিয়া ইউনিয়নের কানাইপাড়া, বেড়া, নলছিয়া, গোবিন্দপুর, উত্তর দিঘলকান্দী, পাতিলবাড়ী, গাড়ামারা সিপি, চরহলদিয়া, কালুরপাড়াসহ ১১টি গ্রামে প্রায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ী ও ভিটে-মাটি বিলীন হয়ে গেছে নদী গর্ভে। এদিকে কানাইপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, বেড়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গোবিন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়, গোবিন্দপুর দাখিল মাদ্রাসা, হলদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ কেন্দ্র, হলদিয়া বাজার থেকে গোবিন্দপুর মাদ্রাসা পর্যন্ত পাকা রাস্তা এবং সাঘাটা ইউনিয়নের বাঁশহাটা, হাসিলকান্দী, হাটবাড়ী, উত্তর সাথালিয়া মৌজা ও ওয়াবদা বাঁধসহ সহস্রাধিক বাড়ীঘর নদী ভাঙনের হুমকীর সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী এ টি এম রেজাউর রহমান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি’র প্রচেষ্টায় হলদিয়া ইউনিয়নে নদী ভাঙনের পূর্ব সতর্কতা মূলক কানাইপাড়া হতে নলছিয়া মৌজা পর্যন্ত ১ কোটি ৭ লাখ টাকা বরাদ্দে জি.ও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক যে কাজ করা হয়েছে, যা নদী ভাঙন প্রতিরোধে যথেষ্ট নয়।
এদিকে সরেজমিনে গেলে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক যে পারিমান জি.ও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় কিছুই নয়। এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো সরকারি ভাবে কোন সহযোগীতা পায়নি। এলাকাবাসীরা নদী ভাঙন প্রতিরোধে ডেপুটি স্পিকার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।