শুক্রবার ● ৩ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » রাঙ্গাবালীতে জেডিসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ
রাঙ্গাবালীতে জেডিসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: (১৮ শ্রাবণ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৪৫মি.) পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফরম পূরণে বিভিন্ন মাদ্রাসায় অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ওই পরীক্ষার ফি এবং কেন্দ্র ফিসহ ২৫০ টাকা ধার্য করলেও নানা অজুহাতে দুই-তিনগুন টাকা আদায় করা হচ্ছে।
চলতি বছরের ৯ জুলাই মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস.এম. মোর্শেদ বিপুলের স্বাক্ষরিক এক বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জুলাই থেকে জেডিসি পরীক্ষার ফরম পূরণের কাজ শুরু হয়। আর ১১ আগস্ট বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের শেষ দিন। জনপ্রতি ওই পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা এবং কেন্দ্র ফি ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার জেডিসি পরীক্ষায় এ উপজেলার ১১টি মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার উত্তর কাজির হাওলা মোহসেনিয়া দাখিল মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থী সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, জেডিসির ফরম পূরণে তাদের মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী প্রতি ১০০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। ওই মাদ্রাসার সুপার আব্দুল বারেকের ধার্যকৃত এই ফি দিয়েই তাদেরকে ফরম পূরণ করতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোন রশিদ দেওয়া হচ্ছে না। জানতে চাইলে ওই মাদ্রাসার সুপার আব্দুল বারেক সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, ‘রেজিষ্ট্রেশনমতে ৪৫ জন ছাত্র-ছাত্রী। এরমধ্যে কিছু কম কিংবা সবাই ফরম পূরণ করতে পারে। ফরম পূরণের ফি’র সঙ্গে পেছনের বকেয়া বেতন, সেশন, স্কাউট ফিসহ ৭০০-৮০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। কারণ অনলাইন-কম্পিউটার, ফাইনাল লিষ্ট, টট লিষ্ট বের করা ও সাবমিশনে খরচ লাগে। এগুলো পোষাণো লাগে সেশন ফি-টি দিয়ে। এসব ফি সরকারি রশিদ দিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’
জানা গেছে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফি ২৫০ টাকা হলেও নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে উপজেলার আমলিবাড়িয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, উত্তর কাজির হাওলা মোহসেনিয়া দাখিল মাদ্রাসা, সাজির হাওলা আকবারিয়া দাখিল মাদ্রাসা, চরমোন্তাজ সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসাসহ প্রায় ১১টি মাদ্রাসায়ই জেডিসির ফরম পূরণে শিক্ষার্থী প্রতি ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
তবে সংশ্লিষ্টরা এসব জেনেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, কেবল ফরম পূরণের সময় এলেই বেতন, সেশন, খেলাধুলাসহ ইত্যাদি ফি’র অজুহাত দেখিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বাড়তি টাকা আদায় করে মহাবাণিজ্য করছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কোন ধরণের রশিদ দিচ্ছে না। এসব কারণে দুস্থ-অসহায় পরিবারের শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকের মধ্যে রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.মোকলেছুর রহমান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, ‘অতিরিক্ত টাকা আদায় করে বুঝলাম। যারা টাকা দেয়, তারাও যদি না কয় তাহলে কেমন করমু। হেরা ( তারা) অভিযোগ করুক যে, আদায় করে। অভিযোগ না করলে, না শুনলে আমরা করমু কি ? আমাগোরেতো একজনে শুনাইতে হইবে।’