বৃহস্পতিবার ● ৯ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে মাটিরাঙ্গায় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ
৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে মাটিরাঙ্গায় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ
মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি :: (২৫ শ্রাবণ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.১৩ মি.) মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও ! এই আহবানকে সামনে রেখে দেশব্যপি ৬ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ, আন্তর্জাতিক যুুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন, গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ-সহ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ এর পক্ষে জনমত সৃষ্টির অংশ হিসেবে স্বাক্ষর সংগ্রহ ফরম বিতরণ করেন খাগড়াছড়ি জেলার মুক্তিযোদ্ধারা।
৯ জুলাই বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাশ‘এর হাতে ফরম তুলে দিয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়াও বাংলাদেশের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ্য মানুষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম হারানোর বিষয়টি উল্লেখের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদেরও সাংবিধানিক সীকৃতি দেওয়ার জন্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রী বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করেন ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা খাগড়াছড়ি জেলা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখা। এ সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি ) মোহাম্মদ আলী ,খানা অফিসার ইনচারজ মো. জাকির হেসেন পিপিএম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার নেতা মো: হানিফ হাওলাদার,মো. মোস্তফাসহ জেলা,উপজেলা ও পৌর এলাকার বিভিন্ন পদের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাক্ষর ফরমের উল্লেখিত দাবী সমুহের মধ্যে-১.জামাত-শিবির,যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্তান ও তাদের উত্তরসূরিদের সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ দেয়া বন্ধ করা হোক। ২.জামাত-শিবির ও স্বাধীনতা বিরোধী যারা সরকারী চাকুরীতে বহাল আছে তাদের তালিকা করে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হোক। ৩.যুদ্ধাপরাধীদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ও জামাত-শিবির স্বাধীনতা বিরোধীদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহ অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হোক। ৪.মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ক্ষুন্নকারি,মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষকারীদের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের ‘হলোকাষ্ট এ্যাষ্ট বা জেনোসাইড ডিনায়েল ল’এর আদালে আইন করে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে বিচার করা হক। ৫.২০০১,২০১৩,২০১৪ও২০১৫ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা গণহত্যা ধর্ষন ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধংশ করেছে এবং আগুন সন্ত্রাসকে সমর্থন করেছে,স্পেশাল ট্রাইবুনাল গঠন করে তাদের কঠোর শাস্তি দেয়া হোক। ৬.কোটা সংস্কারের আন্দোলনে ছাএ হত্যার গুজব ছড়িয়ে যারা উস্কানি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বাড়ির অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করেছে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেয়া হোক উল্লেখযোগ্য।