শুক্রবার ● ১০ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » গাইবান্ধায় সাত শতাধিক মুরগী খামার বন্ধ
গাইবান্ধায় সাত শতাধিক মুরগী খামার বন্ধ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি:: (২৬ শ্রাবণ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১৭মি.) গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সাত শতাধিক মুরগীর খামার বন্ধ করে দিয়েছে খামারিরা। উৎপাদিত ডিমের দামের চেয়ে মুরগীর বাচ্চা, খাদ্য, ভ্যাকসিনসহ বিভিন্ন উপকরণ এবং দিনমজুরের দাম কয়েক গুন বেড়ে যাওয়ায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সাত শতাধিক মুরগির খামার বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে এ ব্যবসায় পথে বসেছে আবার অনেকে বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। গত ৬ মাস আগেও যে মুরগির বাচ্চা দাম ছিলো ২০ টাকা মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে মুরগির বাচ্চা প্রতি ৬০ টাকা বেড়ে দাম দারিয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। এছাড়া খাদ্যের বস্তা এবং ভ্যাকসিনের দাম কয়েক গুন বেড়ে যাওয়ায় খামারিদের দিনের পর দিন লোকসান গুনতে হচ্ছে। সে কারনে বাধ্য হয়ে খামার বন্ধ করে দিয়েছে অনেকে। সহজ শর্তে ব্যাংক লোন না পাওয়া এবং দিনমজুর সংকট খামার বন্ধ হওয়ার অন্যতম কারন।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের মুরগির খামারি আনিছুর মিয়া জানান, ডিমের উৎপাদন খরচের চেয়ে শতকরা ১৫০ হতে ২০০ টাকা লোকসানে বাজারে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি ডিম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা দরে। অথচ এর উৎপাদন খরচ ৬ থেকে ৭ টাকা। তিনি বলেন বর্তমানে এসব কাজে দিনমজুর পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া ব্যাংক হতে সহজ শর্তে কোন প্রকার লোন পাওয়া যাচ্ছে না। অপরদিকে সরকারিভাবে ডিম রপ্তানি করার কোন ব্যবস্থা নেই। এসব কারনে অনেকে খামার বন্ধ করে দিয়েছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে ২০১৬ সালে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় মুরগির খামার ছিল ১ হাজার ১০০টি বর্তমানে তা দাড়িয়েছে ৩০০টিতে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার সাহাব উদ্দিন জানান, ডিমের দাম কম হওয়ায় অনেকে খামার বন্ধ করে দিয়েছে। ডিম প্রক্রিয়াজাত করণের কোন ব্যবস্থা নেই বললে চলে। দিন দিন খাদ্যের দাম বেড়েই চলছে। যার কারনে খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।