মঙ্গলবার ● ১৪ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » নবীগঞ্জে জমে উঠেছে জমজমাট কোরবানীর পশুর হাট
নবীগঞ্জে জমে উঠেছে জমজমাট কোরবানীর পশুর হাট
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: (৩০শ্রাবণ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১৭মি.) মুসলমানদের দ্বিতীয় ধর্মীয় প্রধান উৎসব ইদুল আযহাকে সামনে রেখে নবীগঞ্জে কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে। তবে বাজারে ইন্ডিয়ান গরুর আমদানী না থাকলেও দেশী পশুর আমদানী বেশী থাকা সত্ত্ব্ওে দাম বেশী হওয়ার কারনে বেচাবিক্রি কম বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। নবীগঞ্জে-শেরপুর সড়কের পাশে সালামতপুরে অবস্থিত গরুর বাজার গতকাল মঙ্গলবার ছিল হাট বার। তাই ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপছেপড়া ভীড় ছিল রাত ১০ টা পর্যন্ত। ঈদের আর মাত্র ৭ দিন বাকী থাকায় বাজারের ভীড়ও আস্তে আস্তে বেড়েই চলছে। শেষ মুহুর্তে আরো বেশী ভীড় হবে এবং রাত ১২/১ পর্যস্ত বেচাকেনা চলবে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও গরুর বাজার কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গরুর বাজারে সক্রিয় রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ পকেট চোর চক্র। তারা গরু কিনতে আসা ক্রেতাদের টার্গেট করে নদগ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ বছর দ্বিতীয়বারের মত পৌরসভার নির্ধারিত গরুর বাজার সালমতপুর সম্পূর্ন হাট ছিল গরু,ছাগল ও অন্যান্য পশুতে পরিপূর্ন। সব এলাকায় বিদ্যুতের লাইটং থাকায় ক্রেতাগন স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। তবে দেশী-বিদেশী গরুর আমদানী প্রচুর হলেও দাম বেশী থাকায় মধ্যবিত্ত এবং নিন্মবিত্ত মানুষকে হিমশীম খেতে দেখা গেছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় ইন্ডিয়া থেকে গরু কম আমদানী হওয়ার কারনে দাম একটু বেশী। অনেককে কোরবানীর পশু না কিনে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে। তবে আরো দু-এক দিন অপেক্ষা করে কোরবানীর পশু কিনবেন বলে জানিয়েছেন অনেকে । বাজারে দাশ বেশী থাকায় অনেক বিক্রেতাকেও তাদের আমদানীকৃত গরু বিক্রি না করে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। উপজেলার হরিধরপুর গ্রামের ক্রেতা আনোয়ার মিয়া সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রতিনিধিকে জানান, বাজারে গরুর আমদানী বেশী হলেও বাজারে দাম খুব বেশী তাই কোরবানীর গরু কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। তবে কয়েকদিন পর আমদানী বাড়লে দাম আরো কিছুটা কমতে পারে।
নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জের বিক্রেতা আছাব আলী সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রতিনিধিকে জানান, বাজারে দাম বেশী হওয়ায় অনেক ক্রেতা কোরবানীর পশু না কিনে চলে যাচ্ছেন। যার ফলে আমরা আশানুরুপভাবে বিক্রি না করতে পারায় সেগুলো নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। একটি গরু ৯০ হাজার টাকা দাম চাইলেও ক্রেতারা ৬৫ হাজার টাকা দাম করেছেন। তাই বিক্রি করতে পারিনি। তবে ঈদের আগে ২ /১ দিন বাজার আরো অনেক ভাল হবে বলে আশা করছি। এ বছরই নবীগঞ্জ পৌরসভার সন্নিকটে সদর ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজারে ঈদকে সামমনে রেখে গরুর বাজার বসানোর ফলে নবীগঞ্জ সদর বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার পরিমান আশানুরুপ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অনেকেই। এছাড়া আউশকান্দি,সৈয়দপুর বাজার, ইমামবাড়ী,জনতার বাজার.কৈলাশগঞ্জ,ইনাতগঞ্জ বাজারে ঈদের হাটে গরুর বাজার বসার কারনে নবীগঞ্জ পৌর শহরের পশুরহাটে কেনাবেচা অনেকটা কম বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়,দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় গরু ব্যবসায়ী অবাধে গরুর শরীরে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরুপ ক্ষতিকর বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেরয়েট ইনজেকশন এবং ভারত থেকে আনিত ডেক্রামেথাসন খাওয়ার বড়ি আমদানী করে সুকৌশলে প্রয়োগ করছে।
জানাযায় এ ধরনের ইনজেকশন পুশ ও বড়ি খাওয়ানোর ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে গরু ফুলে ফেপে ওঠে ওজন বৃদ্ধি করে। যার ফলে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সহজ হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত ওই সমস্ত গরুর মাংশ খাওয়ার ফলে মানুষের যকৃত,কিডনি,মস্তিষ্ক ও হার্ট সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জনস্বাস্থ্যের জন্য তা ক্ষতিকর হলেও কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নেই। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সাধারন ক্রেতারা ।