মঙ্গলবার ● ১৪ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে উদ্ভিদ ও প্রাণী জরিপ ফলাফল শেয়ারিং কর্মশালা
রাঙামাটিতে উদ্ভিদ ও প্রাণী জরিপ ফলাফল শেয়ারিং কর্মশালা
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (৩০ শ্রাবণ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.২৭মি.) রাঙামাটিতে এসআইডি-সিএইচটি-ইউএনডিপি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর প্রকল্পের আওতায় ভিলেজ কমন ফরেস্ট (ভিসিএফ) সমূহে উদ্ভিদ ও প্রাণী জরিপ ফলাফল শেয়ারিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৪ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনডিপি’র জেন্ডার ক্লাষ্টার চীফ ঝুমা দেওয়ান এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সিং ইয়ং ম্রো, জেলা হেডম্যান এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি থোয়াই অং মারমা, ঢাকা ইউএনডিপি’র কর্মকর্তা ড. রাম শর্মা, ইউএনডিপি’র কর্মকর্তা বিপ্লব চাকমা ও জেলা ব্যবস্থাপক ঐশ্বর্য চাকমা বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন কারণে পার্বত্য এলাকা থেকে রিজার্ভ বন ধংস হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে যেসব এলাকায় রিজার্ভ বন রয়েছে এগুলো সংরক্ষইের পাশাপাশি নতুন নতুন বন সৃষ্টি করতে পারলে বনের উপকারী উদ্ভিদ, প্রাণীকুল এবং আমাদের আগামী প্রজন্ম প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাবে। তিনি বলেন, বন উজাড় হওয়ার ফলে দিন দিন উদ্ভিদ ও প্রাণীকূল বিলুপ্ত হওয়ার পাশাপাশি ঝিরি, ঝর্ণা শুকিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ভূমিধস’সহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ হচ্ছে। তিনি মৌজা বন রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
কর্মশালায় ইউএনডিপি’র কর্মকর্তারা জানান, ইউএসএইড এর অর্থায়নে এসআইডি-সিএইচটি প্রকল্প প্রাথমিকভাবে ৩১৪টি ভিসিএফ এর তালিকা পেয়েছে। তার মধ্যে ১০২টি ভিসিএফ এ কাজ হচ্ছে। প্রকল্পের সহযোগিতায় ইনষ্টিটিউট অব ফরেষ্ট এন্ড এনভাইরনমেন্টাল সায়েন্সেস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিজ্ঞ শিক্ষক ২০১৭ সালে বিশদভাবে ২০টি ভিসিএফ এ উদ্ভিদ ও প্রাণি জরিপ সম্পন্ন করে মনিটরিং এর কিছু নিয়মাবলী তৈরী করেছেন যেটাতে স্থানীয় জনগণ সহজেই জীব বৈচিত্র্য মনিটর করতে পারবেন।
এই কর্মশালায় সেই ২০টি ভিসিএফ জরিপের ফলাফল শেয়ার করে ভিসিএফসমূহের কাছে জরিপের ফলাফল তুলে দেয়া হয়েছে। জরিপে ৫৫৫প্রজাতির উদ্ভিদ ও ৩৬৯ প্রজাতির বন্য প্রাণি পাওয়া গেছে। ভিসিএফগুলোর আয়তন ৫০ থেকে ৭০০ একরের মতো। এগুলো ব্যবস্থাপনার জন্য পাড়া পর্যায়ে ভিসিএফ ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। দেশের জীব বৈচিত্র রক্ষার্থে এই ভিসিএফগুলো রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী।