শিরোনাম:
●   বেগম রোকেয়া এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক সাব্বির ●   বারইয়ারহাট ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফারুক,সম্পাদক ইউসুফ ●   দীঘিনালায় গলায় ফাঁস দেয়া যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা নিহত, ছেলে আহত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন ●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব ●   হালদা থেকে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার ●   খাগড়াছড়ির আলুটিলায় পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত-২০ ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর অনুদান সামগ্রী প্রদান ●   আত্রাইয়ে কুলি-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ ●   চুয়েটে স্থাপত্য বিভাগের ১ম জাতীয় কনফারেন্স শুরু ●   বিজিবির অভিযানে খাগড়াছড়িতে ১২ অনুপ্রবেশকারী আটক ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত ●   কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ●   রাউজানে বিকাশ প্রতারকের ফাঁদে নারী উদ্যোক্তা তানিয়া
রাঙামাটি, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ১৫ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » সিলেটের বিভিন্ন রোডে শামীমের টুকেন বানিজ্য : ঘটছে দূর্ঘটনা-প্রাণহানী
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » সিলেটের বিভিন্ন রোডে শামীমের টুকেন বানিজ্য : ঘটছে দূর্ঘটনা-প্রাণহানী
বুধবার ● ১৫ আগস্ট ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সিলেটের বিভিন্ন রোডে শামীমের টুকেন বানিজ্য : ঘটছে দূর্ঘটনা-প্রাণহানী

---বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (১ ভাদ্র ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩৬মি.) মনরফাঁদ সিলেটের বিভিন্ন হাইওয়ে রোড ও জেলায় বিভিন্ন রোডে প্রতিটি অটোরিকশা গাড়ির সামনের গ্লাসে বিভিন্ন নামের স্টিকার রয়েছে। যেমন- দৈনিক আজকের জনবাণী, ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস্ অফ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, দক্ষিণ সুরমা ভূইয়ার পাম্প ভার্থখলা, দক্ষিণ সুরমা সিলেট ইত্যাদি। অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা এবং ঝরছে বনি-আদমদের তাজাপ্রাণ। আর এর মূলে রয়ে অবৈধ যান চলাচল। টুকেনবাজ, চাঁদাবাজ ও স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ যান চলাচল। বন্ধ হচ্ছে না সড়ক দূঘর্টনা ও লাশের মিছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিলেট- ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ হাইওয়ে রোডে যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাস ও মালবাহী ট্রাক ছাড়া যাত্রীবহনকারী অন্য কোন যানবাহন চলাচলের অনুমতি নেই। যেমন সিএনজি অটোরিক্সা, লেগুনা, ইমা ও নাসিমন প্রভৃতি ছোট গাড়ির যাত্রী সার্ভিস সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। এই নিষেধাজ্ঞা লংঘন করে যাত্রী বহনের ফলেই অহরহ ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা, ঘটে চলেছে যাত্রীদের প্রাণহানী। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ যানবাহন রোধে দায়িত্বরত প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তি, চাঁদাবাজ ও টুকেনবাজরা এ রোডে অবৈধ যানব্হান চলাচলের সুযোগ করে দিয়েছেন। বিনিময়ে প্রতিমাসে অবৈধ যানবাহন থেকে কামাই করছেন লাখো-কোটি টাকা।

সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সিলেট ওসমানীগর,বিশ্বনাথ রোডে বৈধ যানবাহনের তিনগুন বেশি অবৈধ যানবাহন। যার সংখ্যা দুই হাজারেরও বেশি। এগুলোর মধ্যে সিএনজি অটোরিক্সার সংখ্যা প্রায় দেড়হাজার। বাদ বাকি অবৈধ লেগুনা ইমা, ও নাসিমন। এসব যানবাহনের মধ্যে অধিকাংশের রেজিস্ট্রেশন পর্যন্ত নেই, নেই চালকদের ড্রাইভিং লইসেন্সও। শুধুমাত্র ‘পরিটিতি টুকেনই’ এসব যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ও চালকদের মূল লাইসেন্স।

অভিযোগে প্রকাশ, সিলেট পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের অসাধু কর্তা-ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে চাঁদাবাজ দৈনিক আজকের জনবাণীর সাংবাদিক পরিচয় দানকারী মোস্তফা কামাল শামীম সিএনজি অটোরিক্সাসহ নিষিদ্ধ গাড়িগুলো চলাচলের ‘পুলিশের পরিচিতি টুকেন’ ব্যবসা করে থাকে। শামীমের দেয়া টুকেন দেখলেই কোন গাড়ি আর আটকায় না ট্রাাফিক, হাইওয়ে পুলিশ সহ দায়িত্বরত জেলা ও এসএমপি পুলিশ। পুলিশের টুকেন বানিজ্যের মূল হোতা শামীম -এর বাড়ি সিলেটের কানাইঘট এলাকায়।

মোস্তফা কামাল শামীম নিজেকে অনটেস্ট ও রেজিস্ট্রিবিহীন সিএনজি অটোরিক্সার লাইসেন্স দাতা দাবি করে থাকে। ভুয়া ও বেআইনী টুকেন দিয়ে এ রোডে সিএনজি অটোরিক্সার অবৈধ চলাচল ও যাত্রীবহন চালু করে রেখেছে। তার দেয়া ‘পুলিশ পরিচিতি’ টুকেন গাড়ির গøাসে লাগানো থাকলে আইনশৃংখলা রক্ষাকারীদের কোন সংস্থাই এ গাড়ি আটকায় না। বিগত কয়েক মাস ধরে এভাবে ‘পুলিশ পরিচিতি টুকেন’ দিয়ে শামীম প্রত্যকটি অটোরিক্সা থেকে প্রতিমাসে ৭শ’ ও ১হাজার থেকে ১৫ শ’ টাকা করে আদায় করে থাকে। শামীমের দেয়া টুকেন দেখলে পুলিশ গাড়ি না আটকালেও পুলিশ স্বীকার করে না এ টুকেন তাদের। শমীম নিজেকে সাংবাদিকরে গড ফাদার দাবি করে থাকে। অথচ অনুসন্ধানে সে কোন সাংবাদিক কিংবা কোন পত্রিকার দাইয়ত্বশীলও নয়। একটি লাঠিয়াল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে রাহাজানি করে অবৈধ যানবাহন থেকে জোর করে আদায় করে থাকে সে। এমনকি টাকা দিয়ে তার কাছ থেকে টুকেন না নিয়ে কোন গাড়ি পাম্প থেকে তেল-গ্যাসও নিতে পারে না। শামীম নিজেকে পুলিশ-প্রশাসনের এজেন্ট দাবি করে থাকে। এজেন্ট দাবিতে দেদারছে চাঁদাবাজি ও টুকেন বানিজ্য করলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। দ্বিতীয়ত সাংবাদিক শামীমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে, তিনি জানান- ১২ শত টাকা দিয়ে ১ মাসের জন্য একটি স্টিকার দেওয়া হয়। যদি নিতে চান, তাহলে বিকাশে টাকা পাঠাতে হবে। পরে বিশ্বনাথ একটি দোকান থেকে স্টিকার সংগ্রহ করতে হবে। ঐ দোকানে ফোন করে জানিয়ে দিবেন। তিনি আর বলেন- যদি সার্জেন্ট গাড়ি ধরে- বড় ভাই সাংবাদিক শামীমের গাড়ি বলে দিলে সার্জেন্ট গাড়ি ছেড়ে দিবে।

তবে দৈনিক আজকের জনবাণী সম্পাদক মোস্তফা কামালের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে, প্রথমে বলেন- এই স্টিকার আমার ছোট ভাই দিতে পারে। পরে আমাকে চিনে পেলার পর বলেন- স্টিকার বিক্রির বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। তবে এরকম স্টিকার বিক্রি করছে হাইওয়ে পুলিশ সহ অনেকে সার্জেন্টের নাম প্রকাশ করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়- দৈনিক আজকের জনবাণী, ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস্ অফ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন স্টিকারের মধ্যে মোস্তফা কামাল শামীমের মোবাইল নাম্বার রয়েছে। অটোরিকশা মালিক ও চালকের মধ্যে অনেকে জানান- এই সব স্টিকার না হলে বিশ্ব রোড ও শহরে গাড়ি চালানো যায় না। তাই প্রতি মাসে ৫শত টাকা থেকে ১২শত টাকা দিয়ে দালাল দের মধ্যে স্টিকার কিনে নিতে হয়। তাহলে নিশ্চিন্তে গাড়ি চালানো যায়। আর কোন ট্রাফিক বা সার্জেন্ট আমাদের কে সিগন্যাল করবে না।

আমাদের সিলেট জেলায় প্রায় ৪০ হাজার অটোরিকশা আছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সিলেট অফিস থেকে জানা যায়- ২১ হাজার ২৩২ টি অনটেস্ট রয়েছে। তালিকা ভুক্ত ছাড়া তো আরো অনেক রয়েছে। যদি গড় ২৫ হাজার অটোরিকশা ১ হাজার টাকা করে একটি স্টিকার ক্রয় করে, তাহলে প্রতি মাসে আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ট্রাফিক সার্জেন্টের কর্মকর্তারা। সারা বাংলাদেশ থেকে সরকার একদিকে রোড পারমিট, ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্সের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কয়েক হাজার কোটি টাকা হতে পারে? সরকার এই সব গাড়ি রেজিস্টেশন বন্ধ করায় যেমন অটোরিকশা গাড়ির মালিকরা চরমভাবে ভোগান্তি করছেন। মধ্যভাগে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)