শুক্রবার ● ১৭ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » বালাসীকে ঘিরে পর্যটনের সম্ভাবনা
বালাসীকে ঘিরে পর্যটনের সম্ভাবনা
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (২ ভাদ্র ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.০০মি.) গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে বালাসী ঘাটকে ঘিরে রয়েছে পর্যটনের এক সম্ভাবনা। বালাসী ঘাট গাইবান্ধা জেলা শহর হতে ১০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান। এখানে রেলওয়ের ঘাট লোড-আনলোড স্টেশন অবস্থিত। বালাসী ঘাট এখন নৌবন্দর নামে পরিচিত। এই নৌবন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে এমনকি বিদেশেও মালামাল পরিবহন করা হয়। বালাসীকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হলে একদিকে যেমন গাইবান্ধার মানুষদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে, তেমনি গাইবান্ধার মানুষও শহর জীবনের বাহিরে গিয়ে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে। আর তা হলে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনসহ ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে গাইবান্ধার মানুষের জীবনে।
এমন বিনোদনপ্রেমীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বালাসীর রাস্তার দুইধারে বিভিন্ন প্রকার ফুল ও ফলের গাছ, শোভাবর্ধনকারী গাছ, ছায়া প্রদানকারী গাছ লাগানো হলে দৃষ্টিনন্দন হবে বালাসী। থাকতে হবে বিদ্যুতের ব্যবস্থা, বিশ্রামের জন্য ঘরসহ বসার ব্যবস্থা। তৈরি হতে পারে নারিকেল ও সুপারির বাগান। যা আকর্ষনীয় এক দৃশ্যের সৃষ্টি হবে ও চলার পথে দৃষ্টি কাড়বে মানুষের। এতে করে বেকার যুবকদের পাশাপাশি চরের মানুষের জন্যও সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের। নিরাপত্তার জন্য শ্যালো ইঞ্জিনচালিত বড় নৌকাগুলোতে লাইফ জ্যাকেট ও নিয়মিত পুলিশের টহলদারি থাকতে হবে। এ ছাড়া শিশুদের আকর্ষণ করতে বালাসীতে বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে বলে মনে করেন বিনোদনপ্রেমিরা। এসব সুবিধা থাকলে মানুষ বালাসীকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গ্রহন করতে পারবে সহজেই। বালাসী থেকে শুকনো মৌসুমে বিভিন্ন চরে যাতায়াতের জন্য নদীর পাড়েই রয়েছে ঘোড়ার গাড়ী ও মোটরসাইকেল।
বালাসীতে রয়েছে অনেক পুরোনো ঘন গাছপালার এক মনোরম দৃশ্য। এখানে গেলে দেখা মিলবে পুরুষ ও মহিলাদের নিত্যদিনের কর্মযজ্ঞতা। নদীর বুকে জেগে ওঠা চর। জীবনযাপনকে সহজ করতে এখানে রয়েছে দোকান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বালাসীতে গেলে দেখা মিলবে মহিষের। দেখতে পাওয়া যাবে ঘোড়া ও ঘোড়ার গাড়ী। নৌকায় করে ও নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে জেলেদের মাছ ধরা এবং ফসল মাথায় করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দৃষ্টি কাড়বে অনেকেরই। কাশফুল, নদীর দু-ধারের মনোরম দৃশ্য ও নদীর ঢেউয়ের খেলা দেখলে আনন্দে মনটা উদ্বেলিত হবে সবারই।
বালাসীকে স্থায়ীভাবে (সিসি ব্লক দ্বারা) সংরক্ষণ করা হলে মানুষ আর নদীভাঙ্গনের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে না। এতে করে একদিকে যেমন রক্ষা পাবে গাইবান্ধা, তেমনি বিনোদনের জন্য উদ্যোক্তারা গড়ে তুলতে পারবেন বিভিন্ন স্থাপনা। এজন্য দরকার সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।