শুক্রবার ● ১৭ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » শেষ মুহুর্তে ঝিনাইদহে জমে উঠেছে কোরবানীর পশু হাট
শেষ মুহুর্তে ঝিনাইদহে জমে উঠেছে কোরবানীর পশু হাট
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (২ভাদ্র ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.২৯মি.) ঈদের আর কয়েকদিন বাকি। শেষ মুহুর্তে মধ্যে জমে উঠেছে ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকার ২৭ টি কোরবানীর পশু হাট। ভাল দামে নিজের কষ্টে পালিত গরু বিক্রি করতে হাটে ভীড় করছেন বিক্রেতারা তেমনি পছন্দের গরুটি কিনতে আগ্রহের কমতি নেই ক্রেতাদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জেলার সিমান্ত এলাকার বদরগঞ্জ বাজার (দশমাইল বাজার), ভাটই, গাড়াগঞ্জ, শৈলকূপা, খালিশপুর, এলাঙ্গী, বারোবাজার, হরিণাকুন্ড, ডাকবাংলা, মধুপুর, গোয়ালপাড়া, মধুহাটি এবং সাধুহাটির গো-বাজারগুলোই সবচেয়ে বড় পশুর হাট। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মৌসুমী ব্যবসায়ীদের ভিড়ে জমজমাট এ পশু হাটগুলো। দেখে শুনে মোটাতাজা গরু কিনতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে তারা। হাট ঘুরে দেখে নির্ধারিত বাজেটের মধ্যে গরু কিনছেন ক্রেতারা। ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর সরবরাহই বেশী। ৪০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যেই মিলবে পছন্দের গরু। শৈলকুপা বাজারে গরু কিনতে আসা উপজেলার কাঁচেরকোল গ্রামের শাহিন হোসেন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, গরুর দাম এবছর স্বাভাবিকই রয়েছে, তেমন দাম বাড়েনি। গরু বিক্রেতা সাইদুর রহমান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, ভালভাবেই গরু বিক্রি করতে পারছেন তিনি। কিন্তু গো-খাদ্যের মুল্যে বেশি হওয়ার কারণে এ বছর বেশি লাভ করতে পারেননি তিনি। হাটে আগত কয়েকজন ক্রেতা সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, দাম এবার খুব বেশি না। তবে পশু হাটের সব থেকে ভালো দিক হচ্ছে ঝিনাইদহের গরুগুলো স্বাভাবিকভাবেই মোটাতাজা করা হয়েছে। ঝিনাইদহ ছাগল হাটের ব্যাপারী সুমন বিশ্বাস সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, প্রতি হাটেই দুই থেকে তিন হাজার গরু ছাগল বিক্রি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ ও সীমান্তে কড়া নজরদারি থাকায় এ বছর ভাল দাম পাওয়ার আশা করছেন ঝিনাইদহের খামারিরা।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: হাফিজুর রহমান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় ৫৩ হাজার ৮’শ গরু ও ৪২ হাজার ৫’শ ছাগল ভেড়া প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। খামারিরা যেন কোন প্রকার ঔষধ ব্যবহার না করেন সে ব্যাপারে তাদের পরামর্শ দেওয়া ও তদারকি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদস্যরা টহল জোরদার করেছে।