শিরোনাম:
●   ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   খাগড়াছড়িতে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   পানছড়িতে তারণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন ●   এম.এ হায়দার প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের মা সমাবেশ ●   রাউজানে বাঁধাকপি ও ফুলকপির বাম্পার ফলন ●   ভারত তীর্থমুখ পৌষ মেলায় আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্য সকল প্রস্তুতি গ্রহন ●   ঈশ্বরগঞ্জে শ্রমিক দলের আনন্দ মিছিল ●   ভদন্ত জোতির্ময় মহাথেরোর মাতা মনিবালা বড়ুয়ার স্মরনে সংঘদান অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ইউএনওর মতবিনিময় ●   রাঙামাটিতে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভার বিষয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিবাদ ●   দুই মালিক সমিতির দ্বন্দ্বে বাস চলাচল বন্ধ : ৫ হাজার শ্রমিক বেকার ●   শামছুল হক স্মৃতি আইডিয়াল স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ●   ফাতেমা নগর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থলুটের অভিযোগ ●   মিরসরাইয়ে সোনালী স্বপ্নের উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ ●   ঘোড়াঘাটে অবৈধ দখলে রাস্তা ও ফুটপাথ জনদূর্ভোগ চরমে ●   কাউখালী পাইন বাগান দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত ●   কুষ্টিয়ায় সমিতির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবকের হাত কর্তন ●   অপহরণ, ধর্ষণ ও নির্যাতনে নয় পাপিয়া মারা গেছে ক্যান্সারে ●   রাউজান পৌরসভা যুবলীগের নেতাকে অপহরণ করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি ●   নান্দাইলে এক হাজার পিস ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক ●   শ্রমিকরা স্বস্তিতে না থাকলে সরকারেও স্বস্তি আসবেনা : সাইফুল হক ●   খাগড়াছড়িতে ভূমিখেকো সহোদর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ●   ঈশ্বরগঞ্জে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন ●   বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হামিদ শরীফ আর নেই ●   কুষ্টিয়াতে ওয়াজ করবেন মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ●   লামায় বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাজধানীতে পিসিপির বিক্ষোভ ●   নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ইউপিডিএফের ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   আত্রাইয়ে হলুদ বর্ণে সেজেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ ●   অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে কৃষি জমি ও ঘরবাড়ি ●   সচিবালয়ে আগুন
রাঙামাটি, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ২১ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে শিল্পী পাখি বাবুই
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে শিল্পী পাখি বাবুই
মঙ্গলবার ● ২১ আগস্ট ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে শিল্পী পাখি বাবুই

---রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি :: (৬ ভাদ্র ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.১৯মি.) বাবুই পাখির আরেক নাম শিল্পী পাখি। বাবুই সুন্দর সুরে গান গাইতে পারে না তবুও এ পাখির নাম শিল্পী পাখি। এর কারণ বাবুইয়ের মধ্যে রয়েছে শিল্পগুণ। খুব যত্নের সাথে, প্রচুর পরিশ্রম করে সুদৃশ্য ও আকর্ষণীয় বাসা তৈরি করে বলেই এ পাখির নাম শিল্পী পাখি। একসময় বাংলাদেশে এ পাখি প্রচুর পরিমাণে ছিল। তাল কিংবা নারিকেল গাছে ঝুলে থাকতে দেখা যেত বাবুইয়ের সুদৃশ্য বাসা। বাবুই তার ঠোঁট দিয়ে পরম যত্নে তৈরি করতো এসব বাসা। শিল্পী পাখি খ্যাত এ পাখিটি কালের বিবর্তনে আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে রাঙ্গুনিয়া থেকেও । এখন আর গ্রামাঞ্চলেও খুব একটা দেখা যায় না। বাবুই পাখির বাসা দেখতে খুবই সুন্দর হয়। দেখতে অনেকটা উল্টানো কলসি আকৃতির মতো হয়ে থাকে। বাসা বানানোর জন্য বাবুই খুবই পরিশ্রম করে। প্রথমে ঠোঁট দিয়ে ঘাসের আস্তরণ তৈরি করে। তারপর যত্ন করে পেট দিয়ে ঘষে সেটাকে গোলাকৃতির এবং মসৃণ করে। বাসার শুরুতে দুটি নিম্নমুখী ছিদ্র বা প্রবেশপথ থাকে। ডিম দেয়ার সময় হলে একদিক বন্ধ করে ডিম রাখার জায়গা তৈরি করে। অন্যদিকটি লম্বা করে তৈরি করে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য। লোকমুখে শোনা যায়, রাতে বাসায় আলো জ্বালানোর জন্য বাবুই পাখি জোনাকী ধরে এনে বাসার ভেতরে গোঁজে রাখে। এজন্য রাতে নাকি মাঝে মাঝে বাবুই এর বাসা জ্বলজ্বল করতেও দেখা যায়। বাবুইয়ের বাসা তৈরি করার জন্য প্রয়োজন হয় নলখাগড়া ও হোগলা। নলখাগড়া ও হোগলা না পেলে খেজুর পাতা চিকন চিকন করে ছিঁড়েও এরা বাসা তৈরি করে থাকে। কিন্তু দেশে বর্তমানে নলখাগড়া, বন ও খেজুর গাছ একেবারে কমে গেছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষ জ্বালানী হিসেবে রান্নার কাছে নলখাগড়া ও হোগলা ব্যবহার করে। বাবুই পাখি বাসা তৈরির সুবিধার্থে নলখাগড়া ও হোগলার বনের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করে। বাবুই বিভিন্ন ধরনের বীজ, ধান, ভাত, পোকা, ঘাস, ছোট উদ্ভিদের পাতা, ফুলের মধু-রেণু ইত্যাদি খেয়ে জীবনধারন করে। গ্রীষ্মকাল এদের প্রজনন ঋতু হওয়ায় সাধারণত এসময় এরা কাটা জাতীয় বৃক্ষে বাসা তৈরি করে এবং আহার সংগ্রহে সুবিধা হয় এমন স্থান নির্বাচন করে। আগে বাংলাদেশে কয়েক ধরণের বাবুই দেখা যেত। এর মধ্যে বাংলা, দাগি ও দেশি বাবুই অন্যতম। বর্তমানে বাংলা ও দাগি প্রজাতির বাবুই একেবারে বিলুপ্ত হয়ে গেছে বললেই চলে। মাঝে মাঝে শুধু দেশি প্রজাতির দুয়েকটা বাবুই এর বাসা চোখে পড়ে। এ প্রজাতিও প্রায় বিলুপ্তির পথে।অনেকে আবার পাখি শিকার করে খায়। কেউ কেউ দেশী পাখি খাঁচায় ভরে পুষে। এর মধ্যে ময়না, টিয়া, ঘুঘু অন্যতম। যদিও উভয় কাজই বাংলাদেশের আইনে নিষিদ্ধ। যদি বন নিধন আর পাখি শিকার এভাবে চলতে থাকে তবে বাবুইয়ের মতো দেশীয় সব পাখিই আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হতে থাকবে। পোষার জন্য ম্যাকাও, গ্রে প্যারোট, জেন্ডে কনুর, ক্রিস্টেড পিজন, ফিন্সেস, জাভা স্প্যারো, প্যারাকিট, রুবিনো টার্কোজিয়ান ও লাভ বার্ডের মতো বিদেশী পাখির ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।পাখি পরিবেশের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।পাখি আছে বলেই প্রকৃতি এত সুন্দর। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতেও পাখির জুড়ি নেই। কিন্তু কালক্রমে দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক পাখি। এভাবে পাখি হারিয়ে যেতে থাকলে একসময় আর পাখির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। তাই পাখি যাতে বিলুপ্ত না হয়ে যায় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। পাখির জন্য অভয়ারণ্য সৃষ্টি করতে হবে। বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে এবং পাখি শিকার বন্ধ করতে হবে। তাহলেই কেবল দেশীয় পাখিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)