মঙ্গলবার ● ২১ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » বিদ্যুৎতের লো’ভোল্টেজে জনজীবন বিপর্যস্ত
বিদ্যুৎতের লো’ভোল্টেজে জনজীবন বিপর্যস্ত
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (৬ ভাদ্র ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.১৭মি.) ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়া এবং বিদ্যুৎতের লো’ভোল্টেজের কারণে দীর্ঘমেয়াদি অকেজোর তালিকায় পড়তে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী। গত ফাল্গুন-চৈত্র মাস হতে শুরু হয় বিদ্যুতের লো’ভোল্টেজ সাপ্লাই। অসহনীয় গরমে মানুষের ঘরে ফ্যান ঘুরলেও শরীরে বাতাস লাগছে না। কষ্ট যেন মানুষের সঙ্গী হয়ে গেছে।
এদিকে এই বিদ্যুতের লো’ ভোল্টেজের কারণে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ফ্রীজ, টিভিসহ ইলেকট্রিক্যাল সামগ্রীও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যাদের বাসায় আইপিএস আছে তাদের মতামত হচ্ছে যখনই বিদ্যুৎ চলে যায় সঙ্গে সঙ্গে ফ্যান দ্রুত ঘুরতে শুরু করে। অর্থাৎ আইপিএস প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সাপ্লাই দিচ্ছে বলেই ফ্যান দ্রুত ঘুরছে। তবে অনেকের মতে বিদ্যুতের এই লো’ ভোল্টেজের কারণে সকল বাসা-বাড়ীর বিদ্যুতের মিটারসহ আইপিএস পর্যন্ত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
এদিকে গাইবান্ধায় দীর্ঘদিন থেকে বিদ্যুতের এই বেহাল দশায় বিভিন্ন অফিস-আদালত, হাসপাতালসহ ছাত্র-ছাত্রীদের চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। শুধু তাই নয়, বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুরা এই প্রচন্ড গরমে ফ্যানের বাতাস না পেয়ে চরম বিপাকে রয়েছে। অধিকাংশ মানুষ না জেনে ফ্যানের ক্যাপাসিটার পাল্টিয়েছে। কিন্তু তারা আস্তে আস্তে বুঝতে পারলো যে, ক্যাপাসিটার পাল্টিয়ে কোনো লাভ নেই।
কেন বিদ্যুতের এই বেহালদশা তা জানতে সোমবার সন্ধ্যায় পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে ফোন করে জানতে চাওয়া হয় যে, ২২০ ভোল্ট এর পরিবর্তে ১৬০ ভোল্ট বিদ্যুৎ দিয়ে গাইবান্ধা শহর চালাচ্ছেন কেমন করে ? তিনি এ অবস্থা স্বীকার করে বলেন, বড়পুকুরিয়ার কার্যক্রম শেষ না হলে এ অবস্থার সমাধান সম্ভব নয়। তিনি আরো সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে অথবা শেষ সপ্তাহে অথবা আরও বেশী সময় লাগতে পারে বড়পুকুরিয়ার কার্যক্রম শেষ হতে। নির্বাহী প্রকৌশলীকে আবারো প্রশ্ন করা হয় যে, বর্তমানের এই চরম দুরাবস্থার কথা কি আপনি আপনার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছেন ? এ বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দেন নাই।
গাইবান্ধার সচেতন নাগরিকগণ মনে করেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাফল্যকে ম্লান করার জন্যই একটি কুচক্রীমহল বিদ্যুতের কৃত্রিম সংকট তৈরী করছে। এ সমস্যার সমাধানকল্পে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সচেতন মহল।