বুধবার ● ২২ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » ঢাকা » নামাজের পর পরই শুরু হয়েছে পশু কোরবানি
নামাজের পর পরই শুরু হয়েছে পশু কোরবানি
ঢাকা প্রতিনিধি :: (৭ ভাদ্র ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.১২মি.)মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সামর্থ্যবান মুসলমানরা ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর ঈদুল আজহার নামাজের পর রাজধানীতে পশু কোরবানি শুরু হয়েছে।
আজ বুধবার ২২ আগস্ট ঈদুল আজহার প্রথম জামাত সাতটায় অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাজধানীর অলিগলিতে শুরু হয় পশু কোরবানি।
নির্ধারিত স্থানের বাইরে বেশির ভাগ কোরবানি অলি-গলিতে অর্থাৎ নিজেদের বাসার সামনে কোরবানির পশু জবাই করছেন।
মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর সুন্নত অনুসারে ত্যাগের মহিমা ও উৎসর্গের আনন্দ নিয়ে বুধবার এই ধর্মীয় উৎসব উদযাপিত হচ্ছে।
‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ’ তাকবির ধ্বনি দিতে দিতে ঈদ জামাতে হাজির হন মুসল্লিরা।
ঈদগাহ, খোলা মাঠ বা মসজিদে ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় শেষে সামর্থ্যবান নারী-পুরুষ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য যার যার সাধ্যমতো পশু কোরবানি করছেন।
ঈদুল আজহা হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র হজরত ইসমাইলের (আ.) সঙ্গে সম্পর্কিত। হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে মহান আল্লাহের আদেশে পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর উদ্দেশে কোরবানি করতে গিয়েছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আদেশ ছিল হজরত ইব্রাহিমের জন্য পরীক্ষা।
তিনি পুত্রকে আল্লাহর নির্দেশে জবাই করার সব প্রস্তুতি নিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ইসলামে বর্ণিত আছে, নিজের চোখ বেঁধে পুত্র ইসমাইলকে ভেবে যখন জবেহ সম্পন্ন করেন তখন চোখ খুলে দেখেন ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়েছে, যা এসেছিল আল্লাহর তরফ থেকে।
সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি ধারণ করেই হজরত ইব্রাহিমের (আ.) সুন্নত হিসেবে পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে কোরবানির বিধান এসেছে ইসলামী শরিয়তে। সেই মোতাবেক প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সুন্নত হিসেবে কোরবানির গোশতের তিন ভাগের এক ভাগ গরিবের হক ও এক ভাগ আত্মীয়ের হক হিসেবে বণ্টন করা হয়। বাকি এক ভাগ নিজেদের জন্য রাখা হয়।
জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ তারিখের যে কোনো দিন পশু কোরবানি করা যায়। তবে মহানবী (সা.) ১০ জিলহজ ঈদুল আজহার দিন কোরবানি করাকেই উত্তম ঘোষণা করেছেন।