মঙ্গলবার ● ২৮ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » ৫ গ্রামের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাকো ভোগান্তিতে মানুষ
৫ গ্রামের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাকো ভোগান্তিতে মানুষ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (১৩ ভাদ্র ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.২৪মি.) গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার খামার পবনতাইর এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা একটি বাঁশের সাকো। দির্ঘ্যদিনেও ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় পাঁচ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি বেড়ে গেছে। বিশেষ করে, খামার পবনতাইর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সাঁকোটিতে ঝুঁকি নিয়ে পাড়াপাড় করছে। উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ডাকবাংলা ওয়াপদা বাঁধের পুর্ব পার্শ্বে খামার পবনতাইর ডিস বিলের উপর দির্ঘ্য প্রায় চার বছর ধরে চিনিরপটল, হলদিয়া, বেড়া ও পবনতাইর সহ ৫ গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাকোটি। বন্যা কিংবা অতি বর্ষণ হলেই পানি আটকে থাকে পাঁচ মাসেরও বেশি।
ডাকবাংলা এলাকার বাসিন্দা আকতারুল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, অনেকবার দাবি জানিয়েও ব্রিজ নির্মাণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গেল বন্যা থেকে এ পর্যন্ত পানি আটকে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে পাড়াপাড় হতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছে খামার পবনতাইড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাথীরা। শিক্ষার্থী মরিয়ম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন,বাশের সাকো দিয়ে পাড় হতে ভয় লাগে, একদিন আমি পড়ে গিয়াছিলাম পানিতে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রুমানা বেগম বলেন, বাচ্চাদের যাতায়াত নিয়ে চিন্তায় থাকতে হয়। গ্রামবাসীরা সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, সরকারী ভাবে দুই বছর আগে ব্রিজ নির্মাণের বরাদ্দ হলেও তা অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। বাঁশের সাকো নির্মাণেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি কেউ। গ্রাম বাসির চাঁদার টাকায় কোনমতে সাকোটি নির্মাণ করে যাতায়াত করছে এলাকাবাসী।
ঘুড়িদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিঠুন কুন্ডু সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, এান মন্ত্রনালয়ের একটি ব্রিজ ওই স্থানে বরাদ্ধ হয়েছিল। বড় ব্রিজ লাগবে তাই কেটে অন্য স্থানে দেওয়া হয়েছে।