শুক্রবার ● ৩১ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » আমনেও দুলালী সুন্দরী বেগুনি ধান চাষ
আমনেও দুলালী সুন্দরী বেগুনি ধান চাষ
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (১৬ ভাদ্র ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.০২মি.) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নতুন উদ্ভাবনী দুলালী সুন্দরী বেগুনি ধান এখন আমন মৌসুমে রোপন করেছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। ধানটি আমন মৌসুমের জন্য উপযোগী কিনা তা পরীক্ষা, নিরীক্ষা ও গবেষণার জন্য রোপন করা হয়েছে। সেই লক্ষে উপজেলার শিবরাম গ্রামে ৫০ শতাংশ জমিতে রোপন করেছেন।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার রাশেদুল ইসলাম জানান, আমন মৌসুমে বেগুনী ধান উপযোগী কি না তা পরীক্ষার জন্য আমরা ৫০ শতাংশ জমিতে রোপন করেছি। এই প্লটটিকে আমরা বিভিন্ন অংশে ভাগ করেছি, এখানে আমরা একটি চারা, দুইটি চারা, তিনটি চারা এবং চারটি চারা দিয়ে রোপন করেছি। এছাড়া কৃষক ও কন্ট্রোল প্লট রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে আমরা চারটি প্লটে যে পরিচর্যা করি তা কৃষক বা কন্ট্রোল প্লটে করা হয়না। এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে রোগ বালাই বা পোকা মাকড়ের আক্রমণ নাই। বেরো মৌসুমে পাতায় যে রোগ দেখেছিলাম আমন মৌসুমে তা দেখা যাচ্ছে না, সেদিক থেকে খুব ভাল অবস্থা বোঝা হচ্ছে। প্রতিদিন আমরা পরিদর্শন করি ও ক্লোজ অবজারভেশনে রাখছি। প্রতিনিয়ত আমরা এখান থেকে ডাটা লিপিবদ্ধ করছি। আমরা আমন মৌসুমে যদি আশানুরুপ ফলন পাই, তবে ধান উৎপাদনে নতুন এক দিগন্তের সূচনা হবে। বেরো মৌসুমে ১৪৩ দিনে ফলন পেয়েছি, দেখব আমনে দিনকাল কতদিন লাগে, এরপরে আউস মৌসুমেও দেখতে চাই। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে উফসি জাতের কোন ভ্যারাইটি হতে পারে তবে পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে তা বিস্তারিত জানা যাবে। তিন মৌসুমে পরীক্ষামুলক চাষাবাদের পর বোঝা যাবে কোন অবস্থায় গিয়ে দাঁড়াবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসাবে আমি মনে করি বেরো মৌসুমের মত ধান হবে ও ধানের জগতে এক বিপ্লব সৃষ্টি করবে।
গত ইরি বোরো মৌসুমে উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষাণী দুলালী সুন্দরী বেগুনি ধান রোপন করে দেশব্যাপী সাড়া জাগিয়েছে। ধান কাটামারি করে দেখা গেছে, বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ২৫ মন (শুকনো)। কৃষি অধিদপ্তর হতে ধানটির কোন জাত বা নাম না পাওয়ায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ধানটির নাম দিয়েছেন দুলালী সুন্দরী বেগুনি ধান।