শনিবার ● ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » গুনীজন » বঙ্গবীরের শততম জন্মদিন
বঙ্গবীরের শততম জন্মদিন
সিলেট প্রতিনিধি :: (১৭ ভাদ্র ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩৮মি.) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর শততম জন্মদিন আজ ১ সেপ্টেম্বর। ১৯১৮ সালের এই দিনে বাবা খান বাহাদুর মফিজুর রহমানের কর্মস্থল সুনামগঞ্জে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জে।
সিলেটসহ সারাদেশের গর্ব এই কিংবদন্তির শততম জন্মবার্ষিকী বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে পালিত হচ্ছে।
জেনারেল এমএজি ওসমানী তাঁর যৌবনকালে তৎকালীন ব্রিটিশ আর্মিতে যোগ দেন। তিনি ছিলেন বাঙালিদের মধ্যে ব্রিটিশ আর্মির সর্বকনিষ্ঠ মেজর। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে থাকাকালে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। চট্টগ্রাম সেনানিবাসের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন কর্ণেল হিসেবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে এমএনএ নির্বাচিত হন তিনি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর প্রধান হিসেবে অসামান্য কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তাকে বাংলাদেশ আর্মেড ফোর্সের জেনারেল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭২ সালে দায়িত্ব থেকে অবসর নিয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন।
১৯৭৩ সালের সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী হন তিনি। ১৯৭৪ সালে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। পরে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে ১৯৭৫ সালে সংসদ সদস্য পদ ও আওয়ামী লীগের সদস্যপদ ত্যাগ করেন। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৯ আগস্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান। তবে ৩ নভেম্বর জেলহত্যার ঘটনার পর ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৬ সালে জাতীয় জনতা পার্টি নামে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
এমএ জি ওসমানী ১৯৭৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরে ১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।
বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দল এবং সংগঠন বঙ্গবীর এমএজি ওসমানীর জন্মবার্ষিকী পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসূচিতে রয়েছে সিলেট শহরের হজরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে ওসমানীর কবর জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, আলোচনা সভা প্রভৃতি।