রবিবার ● ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » ঘাগড়াতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন চলছে
ঘাগড়াতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন চলছে
কাউখালী প্রতিনিধি :: (১৮ ভাদ্র ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩৫মি.) রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া কলা বাগান এলাকা হতে প্রতিদিন অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন চলছে বলে জানা যায়।
সুত্র জানায়, কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের কলাবাগান এলাকায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে গাইয়াছড়াসহ বিভিন্ন এলাকা হতে প্রতিদিন স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা এবং যৌথ খামার খাল হতে পাথর সংগ্রহ করে রাঙামাটি জেলা সদর, কাপ্তাই এলাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছেন।
সুত্র আরো জানায়, কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া কলাবাগান রাঙামাটি- চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু পাশে পাহাড় এবং যৌথ খামার খাল হতে স্থানীয় সংবদ্ধ চক্রের মো. রাশেল, মো. আক্তার, ধইন্যা কার্বারী, আছর আলী, নুরুল ইসলাম সহ আরো অনেকে স্থানীয় লোকদের দ্বারা এসব পাথর সংগ্রহ করে প্রতি ফুট ৮৫ টাকায় কিনে রাঙামাটি শহরে, কাপ্তাই নিয়ে ১৫০টাকা ফুট দামে বিক্রি করেন বলে জানা যায়। প্রতিদিন এভাবে অবৈধভাবে শত শত ফুট পাথর এই সংঘবদ্ধ চক্র ঘাগড়া কলাবাগান এবং ঘাগড়া বিভিন্ন এলাকা হতে দির্ঘদিন যাবত সংগ্রহ করে রাঙামাটি শহর এবং কাপ্তাই সহ চট্টগ্রামে সরবরাহ করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা হয়ে উঠছেন আঙুল ফুলে কলাগাছ।
সরেজমিন পরিদর্শন কালে ঘাগড়া কলাবাগান গাইয়াছড়া এলাকার অবৈধভাবে পাথর বিক্রি সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য মো. আক্তার সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা পুলিশ,ফরেষ্টার প্রশাসন ম্যানেজ করে দির্ঘদিন যাবত এই ব্যাবসা করছি। অবৈধভাবে পাহাড় এবং খাল হতে পাথর সংগ্রহ করার কারনে রাঙামাটি- চট্টগ্রাম মহাসড়কের এবং খালের পাশে থাকা স্থানীয় পরিবার গুলির ক্ষতি হচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সরকার ক্ষমতায় কি আর এমন ক্ষতি হবে। ক্ষতি হলে কি আর যায় আসে বলে সে দম্ভোক্তি করেন।
এ প্রসঙ্গে ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জগদীশ চাকমা ঘাগড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন প্রসংগে সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা খোজ নিয়ে দেখব। পরে এ ব্যাপারে প্রশাসনকে জানাবো বলে তিনি জানান।
অপরদিকে কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া, হতে সম্পুর্ন অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,এম,জহিরুল হায়াত সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। আমি বিষয়টি সম্বন্ধে চেয়ারম্যানদের জানিয়েছি উনারা কি করেন দেখি, না হয় আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে আইননুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করবো বলে তিনি জানান।
যে হারে প্রতিদিন ঘাগড়া কলাবাগান এবং বেতবুনিয়া গোধার পাড় এলাকার বিভিন্ন এলাকা হতে সম্পুর্ন অবৈধভাবে পাহাড়ের এবং খালের পাথর উত্তোলন চলছে তাতে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি পাহাড় ধ্বসের পাশাপাশি খালের উভয় পাশে থাকা স্থানীয় পরিবার গুলির বাড়িঘর খালে ভেঙে বিলীন হচ্ছে সেই সাথে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহসড়কের ঘাগড়া কলাবাগান যৌথ খামার খালের পাশে সড়কটি যে কোন সময় খালে ভেঙে গিয়ে হয়ে যেতে পারে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
তাই বিলম্ব না করে যত দ্রুত সম্ভব এই সকল অবৈধ পাথর ,বালু উত্তোলন বন্ধ করে এই সকল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর আইননুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য স্থানীয় জনসাধারন রাঙামাটি জেলা প্রশাসন এবং সরকারের উর্দ্ধোতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।