রবিবার ● ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » দেশের বিভিন্নস্থানে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী উদযাপন
দেশের বিভিন্নস্থানে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী উদযাপন
পানছড়ি প্রতিনিধি :: (১৮ ভাদ্র ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৪৭মি.) খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়িতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মদিন পালন করে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে পানছড়ি সনাতন সম্প্রদায় ৫২৪৪ তম শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, উপবাস, পূজা অর্চনা ও কৃষ্ণ নাম কীর্তন সহ বিভিন্ন আচার- উপাচারের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় দিনটি উদযাপন করে।
এ উপলক্ষে পানছড়ি বাজার দেবালয় মন্দির কমিটি, আদি ত্রিপুরা পাড়ার কালি মন্দির, সাওতাল পাড়া মন্দির সনাতন সমাজ কল্যান কমিটি ও স্থানীয় সনাতনী সম্প্রদায় কৃষ্ণ নাম কীর্তন র্যালী বের করে কৃষ্ণপ্রীতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
আত্রাইয়ে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালিত
আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: নওগাঁর আত্রাইয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মহাবতার ভগবান শ্রী শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন উপলক্ষে সার্বজনীন প্রার্থনা, আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি আত্রাই উপজেলা শাখা এ উৎসব উপলক্ষে এদিন সকালে আত্রাই মোল্লা আজাদ মেমোরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মন্দির প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শোভাযাত্রাটি উপজেলার প্রধান প্রধান স্থান প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এসে পথসভায় মিলিত হয়।
এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি আত্রাই উপজেলা শাখার সভাপকি মধুসুদন প্রামাণিক এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবাদুর রহমান, উপজেলা আ”লীগ সভাপতি নৃপেন্দ্র নাথ দত্ত, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান একরামুল বারী রঞ্জু, আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোবারক হোসেন, ইউ পি চেয়ারম্যান আফসার আলী, পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বরুন কুমার সরকার, সনৎ কুমার প্রামানিক, তপন কুমার সরকার ও উত্তম কুমার প্রমূখ।
রাউজানে বনার্ঢ্য আয়োজনে জম্মাষ্টমী উদযাপন
রাউজান প্রতিনিধি :: শ্রীকৃষ্ণ ৫২৪৪ বছর আগে শান্তির বার্তা নিয়ে অাভির্ভূত হয়েছিলেন পৃথিবীতে। তাই শান্তি ও সৌহার্দ্য পুর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে সকল ধর্মের মানুষকে উৎসব পালন করতে হবে। আজ রবিবার সকালে জম্মাষ্টমী উপলক্ষে বিশাল মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন রাউজানের স্থানীয় সসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। সকাল থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন ওয়ার্ড থেকে বাধ্য বাজনা, রেলি, পেষ্টুন, প্লেকার্ড সহকারে উপজেলা পরিষদ মাঠে সমাবেত হয় হাজার হাজার সনাতন ধর্মের নারী-পুরুষ। উপজেলা জম্মাষ্টমী পরিষদের সভাপতি চন্দন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আর্শিবাদক ছিলেন,পটিয়া হরিলাসদ্বীপ শ্রী শ্রী জ্যোতি হাবিহর বৈকুষ্ঠ গীতি যোগাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সজলানন্দ ব্রক্ষচারী।
উপজেলা জম্মাষ্টমী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন দে’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম হোসেন রেজা, এসিলেন্ড জোনায়েদ কবির সোহাগ, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কাউন্সিলর এডভোকেট সমীর দাশ গুপ্ত, দক্ষিণ রাউজান পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রকাশ শীল, দক্ষিণ রাউজান পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ম্যালকম চক্রবর্তী ও রাউজান উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি ডা. সুজিত দত্ত।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, রুনু ভট্রচার্য্য, ধনা মালাকার, রুবেল বৈদ্য, সুজিত দাশ মিন্টু, স্বপন চৌধুরী, বিশ্বজিত চৌধুরী, উজ্জ্বল দাশ গুপ্ত, কাঞ্চন বিশ্বাস, শিবু চক্রবর্তী, অনুপ চক্রবর্তী, অলক দাশ গুপ্ত, কমল চক্রবর্তী, অশোক পালিত, সাজু পালিত, শ্যামল দাশ গুপ্ত, তপন কৃষ্ণ ঘোষ, উদয় দত্ত অর্ক, সুপন বিশ্বাস শন্করেশ, এড. দিশু কান্তি দে জিশু, রুবেল দাশ গুপ্ত, বিকাশ দাশ, সুশিল দাশ, বাসু ঘোষ, পিন্টু বিশ্বাস, দিপক চৌধুরী, লাভলু পারিয়াল, কাজল চক্রবর্তী, বিপ্লব মহাজন, কানু রাম দাশ, পিকলু চক্রবর্তী, জাগো হিন্দু পরিষদ নেতা, সুমন দাশ, চট্রেশ্বর ভট্রাচার্য্য, নিশান চৌধুরী, সনেট শীল, রিটন মহাজন, জয় ভট্রাচার্য্য, তুহিন গুহ, পিকলু নাথ, সুধীর মুহুরী, দেবাশীষ ভট্রাচার্য্য, রনি চক্রবর্তী, পংকজ ভট্রাচার্য্য, সাজীব দে সাজু, রাসু নাথ, টুটন মহাজন, সানু দে, সজল দাশ, রাজন দে রাজু, লিটন দেবনাথ প্রমুখ।
এসময় উপস্তিত ছিলেন থানার ওসি কেপায়েত উল্লাহ, থানা আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খান, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্বা শফিকুল ইসলাম, সুকুমার বড়ুয়া, বিএম জসিম উদ্দিন হিরু ও কাউঞ্চিলর জানে আলম জনি প্রমুখ।
আলোচনা শেষে উপজেলা চত্বর থেকে বিশাল মঙ্গল শোভা যাত্রা বের করে রাউজান উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে রাস বিহারী ধাম মন্দিরের মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
পটুয়াখালীতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আলোচনা সভা
পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর বাউফলে শ্রী কৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে শ্রী কৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাউফলের ঐতিহ্যবাহী কালাইয়া মদন মোহন জিউর আখড়া বাড়ি মন্দির থেকে বর্ণাঢ্য এক শোভযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বাণিজ্যিক বন্দর কালাইয়ার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় মন্দিরে এসে শেষ হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিজুস চন্দ্র দে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাউফল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খান ও ইউপি চেয়ারম্যান এসএম ফয়সাল আহমেদ মনির হোসেন মোল্লা।
শোভাযাত্রায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তবৃন্দ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
শোভাযাত্রা শেষে মন্দির প্রাঙ্গণে মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি অতুল চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভা, নৃত্য, শিশুদের গীতা পাঠ ও মহিলাদের জন্য ধর্মীয় কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে শ্রী কৃষ্ণের আর্বিভাব তিথির ওপর আলোকপাত করেন বিশেষ অতিথি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খান, প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিজুস চন্দ্র দে, মন্দিরের পূরোহিত কার্তিক চক্রবর্তী, কর্পূরকাঠী ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুষার কান্তি ঘোষ, গোপাল গাঙ্গুলী, প্রভাষক রনজিৎ রায় প্রমূখ। এরপর ঐশি সাহা একক নৃত্য পরিবেশন করেন। পরে প্রতিযোগিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। শ্রী কৃষের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মন্দির কমিটির তিন দিনের কর্মসূচীর মধ্যে আগামিকাল সোমবার শ্রী কৃষ্ণের এবং মঙ্গলবার দুপুরে মহোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
অপরদিকে রবিবার বিকেলে বাউফল উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ.স.ম. ফিরোজ এমপি।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, বাউফল কালী বাড়ি কমিটির সভাপতি জীবন কৃষ্ণ সাহা, সাধারন সম্পাদক অধির রঞ্জন দাস, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সনজিৎ সাহা, সাধারন সম্পাদক অতুল চন্দ্র পালসহ সনাতন ধর্মালম্বীরা উপস্থিত ছিলেন।
জন্মাষ্টমীতে বিশ্বনাথে শোভাযাত্রা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আজ রবিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রার পূর্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী।
উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর দাশ শংকুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কানু রঞ্জন দে ও যুগ্ম সম্পাদক বিভাংশু গুন বিভুর যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা পিপিএম, ওসি (তদন্ত) দুলাল আকন্দ, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সভাপতি পিনাক চক্রবর্তী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য নিশি কান্ত পাল, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মানিক লাল দে, সহ সভাপতি রুপক কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক সমরেন্দ্র বৈদ্য, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত আচার্য্য, উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের উপদেষ্ঠা সাধন চন্দ্র দাশ, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শংকর চন্দ্র ধর, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শীতল বৈদ্য।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি জয়ন্ত কুমার দাশ, নির্মল চন্দ্র সরকার, যুগ্ম সম্পাদক নন্দ লাল বৈদ্য, বিশ্বজিৎ দেব রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক নেপাল দে, কোষাধ্যক্ষ শুভরাজ চন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সুবিনয় মালাকার (বৈরাগী বাজার), শশাংক বৈদ্য (কালীগঞ্জ), সন্টু দেব (বাগিছা বাজার), বাবুল কান্তি দাশ মেঘল (ইলিমপুর), অজয় দেব (জানাইয়া), অজিত দেব (ইসকন), বিজয় চন্দ (বৈরাগী বাজার), শিপন আচার্য্য (কালীজুড়ী), অজিত দেব (ধীতপুর), দিলীপ দাশ (বাবুনগর), সুমন দেব (সনাতনী), তাপস পাল (সমসপুর), নকুল বর্ধন (দশঘর), রানা সরকার (কৃপাখালী), রিপন দাশ (টেংরা)।
অনুষ্ঠানের শুরুতে গীতাপাঠ করেন রনজিৎ গোস্বামী।
শোভাযাত্রা ও সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নিখিল পাল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক রুনু কান্ত দে, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরান দে, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সদস্য অসিত রঞ্জন দেব, নূর উদ্দিন ও সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম খায়ের প্রমুখ।
গাইবান্ধায় জন্মষ্টমী উৎসব
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ রবিবার জন্মষ্টমী উৎসব পালিত হয়। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে এ উপলক্ষে ভিএইড রোড কালিমন্দির থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এছাড়া অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল কালিমন্দির অঙ্গনে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় শ্রীমদ্ভগবদগীতা পাঠ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শ্রীকৃষ্ণের পূজা ও প্রসাদ বিতরণ। র্যালীর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল।
জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রণজিৎ বক্সী সূর্য্যরে সভাপতিত্বে শহরের ভি-এইড রোড কালিবাড়ি মন্দির চত্বরে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ-শামস-উল আলম হীরু, গাইবান্ধা পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, অধ্যক্ষ পরেশ চন্দ্র সরকার ও জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার পাল প্রমুখ।
নবীগঞ্জে বর্নাঢ্য আয়োজনে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালন
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জে বর্নাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বিভিন্ন অনুষ্টান মালার মধ্য দিয়ে আজ রবিবার পার্থ সারথী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালন করা হয়েছে। নবীগঞ্জ কেন্দ্রীয় গোবিন্দ জিউড় আখড়া প্রাঙ্গন থেকে সকাল ৯ টায় মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় আখড়ায় এসে সমাপ্ত হয়। বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ ও উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ বাহুবল আসনের এমপি মো. আব্দুল মুনিম চৌধুরী, অতিথি ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী,হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট আবুল ফজল,নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মো. আতাউল গনি উসমানী,নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল,জেলা পরিষদ সদস্য এডভোকেট সুলতান মাহমুদ, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান শেফু,ওসি আতাউর রহমান,গোবিন্দ জিউড় আখড়া কমিটির সভাপতি নিখিল আচার্য্য,উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নারায়ন রায়, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কালীপদ ভট্টাচার্য্য, মুক্তিযোদ্ধা গৌর চন্দ্র রায়,সুবিনয় কর,জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির আহবায়ক রঙ্গলাল রায়,পুজা উদযাপন কমিটির সাবেক অর্থ সম্পাদক প্রমথ চক্রবর্ত্তী বেনু,পৌরসভার প্যানেল মেয়র এটিএম সালাম,ইউপি চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক,কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী ডাঃ নাজরা চৌধুরী, উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি ভবানী শংকর ভট্টাচার্য্য,গৌতম রায়,সাধারন সম্পাদক নির্মলেন্দু দাশ রানা, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক উত্তম কুমার পাল হিমেল,সাংগঠনিক সম্পদক তনুজ রায়,আখড়া কমিটির সম্পাদক বিধান ধর,পৌর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিপুল চন্দ্র দেব,সাধারন সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর প্রানেশ চন্দ্র দেব,উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নীলকণ্ট দাশ সামন্ত নন্টী,পৌর পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবুল চন্দ্র দাশ, সাধারন সম্পাদক কর্নমনি দাশ,উপজেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র রায়, মৃদুল কান্তি রায়,ইসকন সাধারন সম্পাদক যুবরাজ গোপ,অধ্যাপক যতিন্দ্র দাশ সামন্ত,সুখেন্দু পুরকায়াস্থ,চারু দেব,উৎপল দাশ,গৌরমনি সরকার,করগাও ইউনয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শৈলেন চন্দ্র দাশ,জগদীশ দাশ,শিক্ষক প্রজেশ রায় নিতন,উৎপল দাশ,তাপস চন্দ্র বনিক,নিতেশ রায়,পবিত্র বনিক,কানাই লাল দাশ,রশময় শীল, অমলেন্দু সুত্রধর,সাধন চন্দ্র দাশ,বিধান দেব,কাঞ্চন বনিক,সলিল বরন দাশ,বাউসা ইউনিয়ন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিক্ষক রাখাল চন্দ্র দাশ,সাধারন সম্পাদক প্রদীপ কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষক সুজিত চন্দ্র দাশ, আইন সম্পাদক শিক্ষক নিরুপম দেব, করগাও ই্উনিয়ন পুজা কমিটির সভাপতি শিক্ষক হরিপদ দাশ,নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পুজা কমিটির সভাপতি সুবিনয় রায়,মন্টু লাল আচার্য্য,শুভাশীষ চক্রবর্ত্তী সুবল,রাজীব কুমার রায়,পল্টু দাশ সামন্ত,গুরুপদ দাশ ময়না,অনন্ত দাশ,রিপন ঘোষ,দিপ্ত ঘোষ,ধনঞ্জয় দেবনাথ প্রমূখ। জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রায় বর্নিল সাজসজ্জায় কৃষ্ণ বলরাম সাজিয়ে শহর প্রদক্ষিন ছিল নজরকাড়ার মত। এতে উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ,উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ,উপজেলা রামকৃষ্ণ সেবা সংঘ,উপজেলা সৎসঙ্গ,ইউনিয়ন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ,ইউনিয়ন পুজা উদযাপন পরিষদসহ বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্নমসংগঠনের সহস্রাধিক লোকজন অংশ গ্রহন করেন। তবে নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে বর্নিল সাজে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন ছিল লক্ষ্যনীয়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর। এ পৃথীবীতে অসুর শক্তি বিনাশ করে শান্তি প্রতিষ্টার জন্য পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের আর্বিভাব ঘটেছিল। তাই তার আদর্শ অনুসরনে সমাজে শান্তি বিরাজ করবে।
নারায়ণগঞ্জে শ্রী কৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালী
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে যথাযোগ্য মর্যাদায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে। উপলক্ষ্যে আজ রবিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বন্দর উপজেলা শাখা এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও উপজেলা শারদাজ্ঞলী ফোরামের উদ্যোগে পৃথক পৃথক র্যালি ও শোভাযাত্রা বের হয়। প্রথমে বন্দর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সোনাকান্দা ঋৃষিপাড়া কালি মন্দির থেকে র্যালি ও শোভাযাত্রা শুরু করেন। পরে থানার প্রধাণ প্রধাণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারী,বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম শাহিন মন্ডল,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হান্নান সরকার,বন্দর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বন্দর উপজেলার সভাপতি শংকর দাস সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস। ও বন্দর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা সুজন চন্দ্র দাসহ অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ। এছাড়া শ্রী কৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বন্দর উপজেলা শারদাজ্ঞলী ফোরামের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালী ও শোভাযাত্রা বের হয়। রবিবার ৯টায় বন্দর বাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে থেকে খানবাড়ী মোড়,নবীগঞ্জ পৌরসভা হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষীণ হয়ে বন্দর দূর্গাপুজা মন্দিরে এসে সমবেত হয়।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুসারে দ্বাপর যুগের শেষভাগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মথুরায় কংসের কারাগারে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়।
হিন্দুরা বিশ্বাস করেন কৃষ্ণ ছিলেন স্বয়ং ঈশ্বর। দুষ্টের দমন করে পৃথিবীতে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি মানুষের রূপ নিয়ে ধরায় এসেছিলেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় দিনটি পালন করা হচ্ছে।
এ সময় বন্দর উপজেলা শারদাজ্ঞলী ফোরামের সভাপতি হরি সাহার নেতৃত্বে শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী শোভাযাত্রা ও র্যালীতে অংশ নেন ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা অনুকুল দেবনাথ,সাধারণ সম্পাদক লোকনাথ সাহা,কার্তিক সুত্রধর,বন্দর বাজার দূর্গাপুজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তথা মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা উজ্জল চন্দ্র দে,ঋৃষিকেশ মন্ডল মিঠু,রঘুনাথ,সুজন দাস,সুজন মল্লিক,অজিত দাস,শিপলু মোদক,রঞ্জিত দাস,চঞ্চলা বর্মন,অলকা সাহা,কাকুলী সাহা,অনিতা বর্মন,ঊর্মিলা সরকার ও তপন বর্মন প্রমূখ।
সিলেট সম্প্রীতির নগরী : শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসবে আরিফ
সিলেট প্রতিনিধি :: আজ রবিবার ২ সেপ্টেম্বর সারাদেশের ন্যায় সিলেটে পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মের প্রাণপুরুষ ভগবান শ্রী শ্রী কৃষ্ণের পূত:আবির্ভাব স্মরণে জন্মাষ্টমী উৎসব। সকাল ১০টায় নগর পরিক্রমার মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসুচির উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বিশ্বশান্তি ও মানবতার কল্যাণ কামনায় অনুষ্ঠিত নগর পরিক্রমার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেট সম্প্রীতির নগরী।
এই সম্প্রীতি রক্ষার দায়িত্ব নগরীর প্রত্যেক নাগরিকের। কারণ এই নগরী আমাদের। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের লক্ষ্যে সনাতন ধর্মের প্রাণপুরুষ শ্রী কৃষ্ণের আবির্ভাব। এই দিনে বিশ্বশান্তি ও মানবতার কল্যাণ কামনা করছি।
রবিবার সকাল ১০ টায় সার্বজনীন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের নগর পরিক্রমার উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।
রজত কান্তি গুপ্তের পরিচালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন, উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শ্রী বিজিত কুমার দে ও সদস্য সচিব শ্রী নির্মল কুমার সিনহা।
সার্বজনীন জন্মাষ্টমী পরিষদের আজকের দিনব্যাপী কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ১০টায় ভগবান শ্রী কৃষ্ণ শীর্ষক ধর্মালোচনা সভা। বেলা ২টায় মহাপ্রসাদ বিতরণ, রাত সাড়ে ৮টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গীতি আলেখ্য, রাত সাড়ে ৯টায় সংগীত পরিবেশন করবেন প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী অনিতা মুক্তি গোমেজ ও সহশিল্পীরা, রাত ১০ টায় শ্রী শ্রী কৃষ্ণের বিশেষ পূজানুষ্ঠান, অঞ্জলি প্রদান শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণ।
রাত ১২টা ১ মিনিটে ভগবান শ্রী শ্রী কৃষ্ণের আবির্ভাব স্মরণে উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনি। নগরীর মণিপুরী রাজবাড়িস্থ শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রম্মচারী মন্দির ও আশ্রমে এসব কর্মসুচি পালিত হবে।
পরিষদের দুদিনব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসাবে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় শ্রী হট্ট অখন্ডমন্ডলীর পরিচালনায় সমবেত উপাসনা, ১০ টায় শ্রীমা সারদা সংঘের পরিবেশনায় সমবেত গীতা পাঠ, সাড়ে ১১টায় নিম্বার্ক গীতা শিক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশনায় সমবেত গীতা পাঠ, বেলা ২টায় শিশু কিশোরদের সমবেত গীতা পাঠ প্রতিযোগিতা, বিকেল ৪টায় শিশু কিশোরদের একক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বিকেল সাড়ে ৫টায় শিশু কিশোরদের একক কীর্তন প্রতিযোগিতা ও রাতে লোকনাথ ভক্তবৃন্দ পরিষদের সমবেত উপাসনা অনুষ্ঠিত হয়।
মহালছড়িতে শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপন
মহালছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের মতো ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে আরাধ্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় মহালছড়ি শ্রীশ্রী দক্ষিণা কালি মন্দির প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন মহালছড়ি জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমেদ, পিএসসি। এসময় মন্দির পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি চিন্তা হরণ শর্মা’র সঞ্চালনায় মহালছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, মহালছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ূন কবির (তদন্ত), জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির সভাপতি সাগর চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক বাবলু চৌধুরী।
সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী আলোচনা শেষে সনাতন ধর্মাবলম্বী ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নারী পুরুষের অংশগ্রহণেএক বিশাল মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি মহালছড়ি কালি মন্দির হতে বের হয়ে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সকল সড়ক পরিদর্শন শেষে পুনরায় মন্দিরে এসে সমাপÍ হয়। সন্ধ্যায় শ্রী শ্রী কালি মন্দিরে পালা কীর্তনের রাতব্যাপী আয়োজন রয়েছে।
উল্লেখ্য, হিন্দু পুরান মতে, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টম তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহা অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল।
তাদের আরো বিশ্বাস, দুষ্টের দমন করতে এভাবেই যুগে যুগে ভগবান মানুষের মাঝে নেমে আসেন এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেন।