সোমবার ● ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » ঢাকা » বাম গণতান্ত্রিক জোটের আন্দোলনের ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা
বাম গণতান্ত্রিক জোটের আন্দোলনের ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: গত ২৯ আগষ্ট-২০১৮ সকালে পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে বাম গণতান্ত্রিক জোট আহত সংবাদ সম্মেলনে জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে এখনও পর্যন্ত অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের ন্যূনতম কোন গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই; নিরাপদ ভোটাধিকার প্রয়োগেরও কোন সুযোগ নেই। তারা বলেন, দেশে আর একটি একতরফা নির্বাচনের কোনো অবকাশ নেই। নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক সংকট সমাধানের কার্যকরি উদ্যোগ না নিয়ে সরকারি দলের রাষ্ট্রীয় যাবতীয় সুযোগ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আগামী নির্বাচনী প্রচার ও সরকারি চরম অগণতান্ত্রিক ও বেপরোয়া মনোভাবের কারণে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ ও আন্দোলনের ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ, বাসদ (মার্কসবাদী)-এর কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুদ্দিন কবির আতিক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহবায়ক হামিদুল হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক ও জোটের কেন্দ্রীয় নেতা মো. শাহ আলম, সাজ্জাদ জহির চন্দন, বহ্নিশিখা জামালী, রাজেকুজ্জামান রতন, আজিজুর রহমান, রুহিন হোসেন প্রিন্স, আকবর খান, আ.ক.ম জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, আগামী নির্বাচনে বিতর্কিত ও স্বচ্ছতাহীন ইভিএম পদ্ধতির সংযোজন কোনভাবেই বরদাশত করা হবে না। আরপিও’তে আর কোন অগণতান্ত্রিক সংযুক্তিও গ্রহণ করা হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক জোটের পক্ষ থেকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আশু চারটি দাবি তুলে ধরেন।
দাবিসমূহ :
ক) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে সব দল ও সমাজের অপরাপর মানুষের মতামত ভিত্তিতে ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার’ গঠন করতে হবে।
খ) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে।
গ) জনগণের আস্থাহীন ও সরকারের অনুগত বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।
ঘ) সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ টাকার খেলা ও পেশীশক্তিনির্ভর বিদ্যমান গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে।
আন্দোলনের কর্মসূচি :
১। আগামী ৩০ আগস্ট ২০১৮ বিকেল ৪টায় মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বাম গণতান্ত্রিক জোটের মতবিনিময় সভা।
২। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বিকেল ৫টায় মুক্তিভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাম গণতান্ত্রিক জোটের মতবিনিময়।
৩। অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের চারটি সুনির্দিষ্ট দাবি আদায়ে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সোমবার ঢাকাসহ দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সমাবেশ-বিক্ষোভ কর্মসূচির মাধ্যমে ‘দাবি দিবস’ পালন।
৪। জনআস্থাহীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন এবং বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবিতে ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে বিক্ষোভ এবং জেলা পর্যায়ে জেলা নির্বাচন অফিস অভিমুখে বিক্ষোভ।
৫। সীমাহীন দুর্নীতি ও দুঃশাসন প্রতিরোধে ১১ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার ঢাকায় সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ।
৬। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সুনির্দিষ্ট দাবি আদায় এবং আশু ৫ দফা বাস্তবায়নে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর ২০১৮ দেশব্যাপী জেলা পর্যায়ে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।