শুক্রবার ● ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌরুটে চলাচল করছে লক্ষাধিক মানুষ
গাইবান্ধায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌরুটে চলাচল করছে লক্ষাধিক মানুষ
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: ২৩ ভাদ্র ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় দুপুর ১.২৫মি.) গাইবান্ধায় নৌ-রুটে প্রতিবছর লক্ষাধীক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট, ফুলছড়ি ঘাট, হাজিরহাট ও সাঘাটা উপজেলা বাজারের নৌঘাট থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ফুটানির বাজার।
এছাড়াও গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনা নদীর ১৬৫টি চরের প্রায় ৪ লাখ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে এসব নদীপথেই। নৌপথে প্রানহাণির ঘটনা ঘটলেও জীবন বাঁচানোর জন্য নৌকাগুলোতে নেই পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট। শুধু তাই নয়, বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে নৌকাগুলোতে নেই পর্যাপ্ত পলিথিন ও ছাউনি, প্রচন্ড রোদে ছায়া পাওয়ার নেই কোন ব্যবস্থা।
এ ছাড়া যাতায়াতে অতিরিক্ত যাত্রী ও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নৌযাত্রীরা।
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, সাঁতার জানলেও নদীতে বা সমুদ্রে নৌযান ভ্রমণে, সাগর-হাওর-লেক বা ঝরণা এলাকায় নামলে বা সাঁতার কাটতে গেলে, বন্যা বা পানির কারণে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গেলে যাত্রী ও চালকসহ সকলের শরীরে লাইফ জ্যাকেট থাকতে হবে।
নৌকাচালক এবং যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৮ আগষ্ট বাহাদুরাবাদ থেকে বালাসীঘাট আসার পথে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া এলাকায় নৌকা থেকে যমুনা নদীতে পড়ে গিয়ে রজ্জব আলী।
এছাড়াও গত ৫ বছরে গাইবান্ধা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিউর রহমান লিটনসহ এম এ লতিফ, ফুলমিয়া, মোর্শেদা আকতার নামের পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী। তাসলিমা বেগম, আইতুল্যা, সোহরাব মিয়া, ইসমাইল হোসেন নামের এক ব্যক্তি সহ আরও অনেকে। এতোসব প্রাণহানীর পরেও নৌপথে যাত্রীদের জীবন বাঁচাতে নেওয়া হয়নি কোন কার্যকরী পদক্ষেপ। বর্ষাকালে নৌ-দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে সবচেয়ে বেশি। সাঘাটার মনোয়ার হোসেন নামের এক নৌযাত্রী বলেন, প্রচন্ড রোদে কষ্ট পেতে হয় আমাদের। এজন্য উঁচু করে যতোটা সম্ভব, নৌকার উপরে কিছু একটা দিয়ে নৌকায় ছায়া পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ ছাড়া চলাচল করছে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে।
বালাসী ও বাহাদুরাবাদ ঘাটের ইজারাদার জানান, নৌযাত্রীদের সুবিধার জন্য পরবর্তীতে তারা এসব ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবেন।