শুক্রবার ● ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » গুনীজন » মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র জীবনী
মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র জীবনী
এক নজরে জুম্ম জাতির মহান নেতা :
নাম: মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা
ডাক নাম: মঞ্জু
জন্ম: ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯
জন্মস্থান: মহাপুরম (মাওরুম), বুড়িঘাট মৌজা, নানিয়ারচর, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা (বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের নীচে)
বিবাহ: ১৯৭১ সাল
পিতার নাম: চিত্ত কিশোর চাকমা
মাতার নাম: সুভাষিণী দেওয়ান
স্ত্রীর নাম: পঙ্কজিনী চাকমা
সন্তান: ১ ছেলে ও ১ মেয়ে;
ছেলে – জয়েস লারমা (জ্যেষ্ঠ সন্তান)
মেয়ে – পারমিতা লারমা (কনিষ্ঠ সন্তান)
ভাইবোন:
১। জ্যোতিপ্রভা লারমা, ডাকনাম – মিনু (বড় বোন)
২। শুভেন্দু প্রভাস লারমা, ডাকনাম – বুলু (বড় ভাই)
৩। জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, ডাকনাম – সন্তু (ছোট ভাই)
শিক্ষা জীবন:
(ক) প্রাথমিক শিক্ষা – মহাপুরম জুনিয়র হাই স্কুল
(খ) ম্যাট্রিক – ১৯৫৮ সাল, রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
(গ) আই এ – ১৯৬০ সাল, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ
(ঘ) বি এ – ১৯৬৫ সাল, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ
(ঙ) বি এড – ১৯৬৮ সাল
(চ) এল এল বি – ১৯৬৯ সাল
কর্মজীবন:
(ক) ১৯৬৬ সালে দীঘিনালা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান।
(খ) ১৯৬৮ সালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে কলোনী হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
(গ) ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম বার এসোসিয়েশনে আইনজীবি হিসেবে যোগদান।
রাজনৈতিক জীবন:
১৯৫৬ সাল থেকে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবনে পদার্পন।
১৯৫৬ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম পাহাড়ী ছাত্র সম্মেলনের অন্যতম উদ্যোক্তা।
১৯৫৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগদান।
১৯৬০ সালে পাহাড়ী ছাত্র সমাজে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন।
১৯৬১ সালে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিতকরণ।
১৯৬২ সালে অনুষ্ঠিত পাহাড়ী ছাত্র সম্মেলনের প্রধান উদ্যোক্তা।
১৯৬৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী নিবর্তনমূলক আইনে আটক (চট্টগ্রামের পাথরঘাটাস্থ পাহাড়ী ছাত্রাবাস হতে)।
১৯৬৫ সালের ৮ মার্চ চট্টগ্রাম কারাগার থেকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি লাভ।
১৯৭০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন ও অন্যতম উদ্যোক্তা।
১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত।
১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট ৪ দফা সম্বলিত আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসনের দাবীনামা পেশ।
১৯৭২ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত।
১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ সংবিধানে জুম্মদেরকে ‘বাঙালি’ হিসেবে আখ্যায়িত করার প্রতিবাদে গণ পরিষদ অধিবেশন বর্জন।
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত।
১৯৭৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতির দায়িত্ত্ব গ্রহণ।
১৯৭৪ সালে সরকারের পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি হিসেবে কমনওয়েলথ সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে লন্ডন সফর।
১৯৭৫ সালে বাকশালে যোগদান।
১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট থেকে আত্মগোপন করেন।
১৯৭৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ১ম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে পুনঃ নির্বাচিত।
১৯৮২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ২য় সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে পুনঃ নির্বাচিত।
মৃত্যু:
১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর ভোর রাতে বিভেদপন্থী গিরি-প্রকাশ-দেবেন-পলাশ চক্রের বিশ্বাসঘাতকতামূলক অতর্কিত আক্রমণে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলার খেদারাছড়ার থুমে নির্মমভাবে নিহত হন।
সূত্র :স্মারক গ্রন্থ, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার জীবন ও সংগ্রাম; এপ্রিল ২০১৬