বুধবার ● ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হরিজনদের বাদ দিয়ে অন্য লোককে দেওয়া হচ্ছে তাদের জন্য নির্ধারিত চাকরি
হরিজনদের বাদ দিয়ে অন্য লোককে দেওয়া হচ্ছে তাদের জন্য নির্ধারিত চাকরি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি :: পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত চাঁপাই নবাবগঞ্জ পৌরসভা। প্রার্থীরা ভোটারদের পরম মমতায় বুকে টেনে নিচ্ছেন। আবেগী কণ্ঠে ভোট প্রার্থণা করছেন। ব্যতিক্রম শুধু পৌরসভার হরিজন কলোনি। ২৩ ডিসেম্বর বুধবার সকাল পর্যন্ত কোন মেয়র প্রার্থী মেথরপাড়া নামে পরিচিত হরিজন কলোনিতে ভোট চাইতে আসেনি। অবস্থাটা এমন যে হরিজনদের ভোটের দরকার নেই। আর মেয়র প্রার্থীরাও হরিজনদের কাছে ভোট চাইতে যাচ্ছে না তাহলে তাদের উন্নয়নে কী করে কাজ করবে? কিংবা কে বা কাজ করবে। শহরের বালুবাগান এলাকার হরিজন কলোনিতে প্রায় ৩শ’ মানুষের বসবাস। বড়দের অধিকাংশই পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তারা অন্যের পরিচ্ছন্নতার কাজ করে কিন্তু তাদেরই বাস করতে হয় নোংরা পরিবেশে। এই কলোনির সংকটের শেষ নেই। পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায় না। পৌরসভার একটি পানির পাইপ থেকে সবাইকে পানি সংগ্রহ করতে হয়। দীর্ঘ লাইন তৈরি হয় মানি নিতে আসা হরিজনদের। মাত্র তিনটি গণশৌচাগার দিয়ে চলতে হয় ৩শ’ জন মানুষকে। অনুমান করাও কঠিন এ জীবন কতো কষ্টের। এখানে পরিবারে সংখ্যা মোট ৭০টি। ১৯৯২ সালের তৈরি করা ১৪টি ইটের দেয়াল আর টিনের ছাউনির ঘর আছে। সে গুলোর এখন জরাজীর্ণ অবস্থা। ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা ঘর ছিল চারটি। প্রয়োজনের তাগিদে সৃষ্টি হয়েছে অল্প পরিসরে অনেক কুঁড়েঘর। তাতেই গাদাগাদি করে মানবেতর ভাবে বসবাস করছেন তারা। কলোনির বাসিন্দাদের উন্নয়নে কোন উদ্যোগ নেই। থাকবে কী করে? ভোটের সময়ও প্রার্থীদের কাছে অবহেলিত কলোনির অবহেলিত মানুষগুলো। হরিজনদের দুঃখের মূলে আছে তথা কথিত সভ্য মানুষের নোংরামি। হরিজনদের বাদ দিয়ে অন্য লোককে দেওয়া হচ্ছে তাদের জন্য নির্ধারিত চাকরি। প্রিয় জননেতারা, তোমাদের কাছে ভোটের মাঠেও হরিজনদের কদর নেই। তবুও তোমরা জননেতা। মানতেই হয় তোমরা জননেতা।আপলোড : ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : বিকাল ৫.৩০ মিঃ