শিরোনাম:
●   লামায় বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাজধানীতে পিসিপির বিক্ষোভ ●   নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ইউপিডিএফের ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   আত্রাইয়ে হলুদ বর্ণে সেজেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ ●   অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে কৃষি জমি ও ঘরবাড়ি ●   সচিবালয়ে আগুন ●   মহালছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার ●   প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসব ●   শাহরাস্তিতে আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ●   পানছড়ি ৩ বিজিবি’র পক্ষ থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সাথে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় ●   ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তরুণের আত্মহত্যা ●   দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ ●   ভোটকেন্দ্রে শূন্যভোটের মাধ্যমে পার্বত্যবাসী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ●   ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা নানা সুরতে আবির্ভুত হওয়ার পাঁয়তারা করছে ●   কাউখালীতে উইভ এনজিওর অবহিতকরণ সভা ●   খাগড়াছড়িতে ইত্তেফাকের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   বেগম রোকেয়া এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক সাব্বির ●   বারইয়ারহাট ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফারুক,সম্পাদক ইউসুফ ●   দীঘিনালায় গলায় ফাঁস দেয়া যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা নিহত, ছেলে আহত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন ●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা
রাঙামাটি, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » চাঁপাইনবাবগঞ্জ » বিলুপ্তির পথে জয়পুরহাটের ঐতিহ্যবাহী মৃৎ শিল্প
প্রথম পাতা » চাঁপাইনবাবগঞ্জ » বিলুপ্তির পথে জয়পুরহাটের ঐতিহ্যবাহী মৃৎ শিল্প
মঙ্গলবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিলুপ্তির পথে জয়পুরহাটের ঐতিহ্যবাহী মৃৎ শিল্প

---নিশাত আনজুমান, জয়পুরহাট প্রতিনিধি :: (২৭ ভাদ্র ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৪৬মি) দিন বদলের সাথে সাথে মাটির তৈরী সামগ্রীর স্থান দখল করেছে সিলভার, এ্যালুমিনিয়াম, পালাস্টিক ও মেলামাইনের জিনিসপত্র। এসবের ভিরে ক্রমেই হাড়িয়ে যাচ্ছে মৃৎ শিল্প। প্রাচীনকাল থেকেই মাটির তৈরী বিভিন্ন তৈজস পত্র, খেলনা, মাটির তৈরী ব্যাংকসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ব্যাপক হারে ব্যাবহার করত মানুষ । যুগের পরিবর্তন এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সাথে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরী দ্রব্যাদি আজ মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। সেই বাজার দখল করে নিয়েছে এ্যালুমিনিয়াম, পালাস্টিক ও মেলামাইনের জিনিসপত্র। সেই সাথে মানুষ আজ ভুলতে বসেছে মাটির তৈরী জিনিস পত্রের ব্যবহার। অথচ কিছুদিন আগেও মাটির তৈরী তৈজসপত্রের পসরা সাজিয়ে বসত উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে। দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন কুমারবাড়ী আসত জিনিসপত্র কিনতে। শল্পীরা মনের মাধুরী মিশিয়ে রংতুলির কাজ করে দ্রব্যগুলোকে আকর্ষনীয় করে তুলত। কিন্তু আজ কুমাররা ভরসা হারিয়ে ফেলছেন তাদের পূর্বপুরুষদের এ পেশায়। জীবিকার তাগিদেই মৃৎ শিল্পীরা অনেকেই ছেড়ে দিচ্ছেন তাদের পৈর্তৃক পেশা।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার তেঘর গ্রামের নারায়ন জানান, মৃৎ শিল্পের প্রয়োজনীয় উপকরণ এঁটেল মাটি, লাল মাটি, জ্বালানি খড়ি ইত্যাদির দাম অনেক বেড়ে গেছে। আগে মাটি সংগ্রহ করতে কুমারদের কোন টাকা লাগত না। সহজেই মাটি পাওয়া যেত। এখন টাকা দিয়েও ভাল মাটি পাওয়া যায় না।
এ সম্পর্কে জয়পুরহাট সদর উপজেলার মাধাইনগরের রতণ পাল জানান, আমরা পূর্ব পুরুষের সূত্র ধরে এ পেশার সাথে জড়িত ছিলাম। এক সময় মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কিনে নিয়ে যেত। কিন্তু আজ এগুলো নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়ালেও কেউ নিতে চায় না। এছাড়াও বর্তমানে বাজারে উৎপাদিত পন্যের মূল্য ও প্রয়োজনীয় উপকরনের মূল্যের মধ্য রয়েছে বিশাল ব্যবধান। এ কারনেও অনেকেই দীর্ঘ দিনের পৈতৃক এ পেশার উপর আস্থা হারাচ্ছেন। মৃৎ শিল্পিদের অভিযোগ তাদেও প্রতি কেউ নজর রাখে না। যদি সরকারী বা বেসরকারী সংস্থা তাদেও সহজ শর্তে ঋন দিত ও তাদেও উৎপাদিত দ্রব্যাদি ব্যবহারের ব্যাপারে সাধারন মানুষকে উৎসাহিত করত তাহলে তাদের পেশার প্রসার ঘটত।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার মনোজ পাল  সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান “ অনেক এনজিও গেরামে আসে কিস্তি দেওয়ার
কথা বলে ছবি লিয়ে যায় কিন্তু পরে আর খোঁজ লেয় না” । আগে কাজ করতে মূলধনের প্রয়োজন হত না কিন্তু বর্তমানে মূলধনের
প্রয়োজন। যদি সহজ শর্তে ঋনের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে মৃৎ শিল্পীরা তাদের পূর্ব পুরুষের পেশায় টিকে থেকে জীবন- জীবিকা পরিচালনা করতে পারত বলে মনে করেন জয়পুরহাটের কুমার সম্প্রদায়।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)