বৃহস্পতিবার ● ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » সরকারের ভিশন-২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে প্রকৌশলী সমাজের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি : ড. মোহাম্মদ রফিকুল
সরকারের ভিশন-২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে প্রকৌশলী সমাজের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি : ড. মোহাম্মদ রফিকুল
রাউজান প্রতিনিধি :: (২৯ ভাদ্র ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৪১মি) চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ‘১৩ ব্যাচের বিদায় উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘ইইই ডে-২০১৮’ উদ্যাপিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের সামনে থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় আনন্দ র্যালির মাধ্যমে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
এ সময় রঙ-বেরঙের ফেস্টুন-ব্যানার হাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। র্যালিটি ইইই বিভাগ হতে বের হয়ে প্রশাসনিক ভবন ও গোল চত্ত্বর হয়ে কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এসে শেষ হয়। এ উপলক্ষে চুয়েট কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে ইইই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসতিয়াক রেজা ও অধরা নীলিম দেওয়ানজী এবং প্রভাষক নিপা ধরের সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কৌশিক দেব, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক। অনুষ্ঠানে কী-নোট স্পীকার ছিলেন ঢাকার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. খোন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সার্কিট সুইচ কোর অপারেশনের টিম লিডার জনাব প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সবুরসহ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, চুয়েটের শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্বমানের প্রকৌশলী হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে সেজন্য বর্তমান প্রশাসন সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। আমাদের ইইই বিভাগে রিনিওয়েবল এনার্জি ল্যাবসহ যেসব অত্যাধুনিক ল্যাব আছে দেশের খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব সুবিধা রয়েছে। চুয়েট ভিসি আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন করতে আমাদের প্রকৌশলী সমাজের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। সরকারের বড় বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের অন্যতম নিয়ামক প্রকৌশলীরা। সেজন্য নিজেদের যোগ্য ও দক্ষ প্রকৌশলী হিসেবে তৈরি করতে হবে।
এদিকে ‘ইলেক্ট্রিক্যাল ডে-২০১৮’ উপলক্ষে বেলা ১২ ঘটিকায় কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে পৃথক দুটি টেকনিক্যাল সেশনে ‘ট্রান্সফরমেশন অফ হেলথ কেয়ার ইন ডিজিটাল স্পেস এন্ড ইঁস ফিউচার’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. খোন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন। এরপর ‘ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনস এন্ড হাও স্টুডেন্টস আপডেট উইথ দিজ ফর ক্যারিয়ার এনট্রান্স’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সার্কিট সুইচ কোর অপারেশনের টিম লিডার জনাব প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সবুর শান্ত। দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে প্রথমদিন অনুষ্ঠিত হয় মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা ‘সার্কিট অলিম্পিয়াড’।
সমাপনী দিনে অনুষ্ঠিত হয় ইইই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি।