শুক্রবার ● ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » টেন্ডার ছাড়াই গোবিন্দগঞ্জে অর্ধকোটি টাকার গাছ বিক্রি
টেন্ডার ছাড়াই গোবিন্দগঞ্জে অর্ধকোটি টাকার গাছ বিক্রি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (৩০ ভাদ্র ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৪৭মি) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে টেন্ডার ছাড়াই অর্ধকোটি টাকার গাছ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাছকাটার সঙ্গে ওই ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিকের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। দিবালোকে টেন্ডার ছাড়াই গাছ কাটলেও তা যেন দেখার কেউ নেই’। সরকারী নিয়মনীতি ছাড়া বিনা টেন্ডারে অবৈধভাবে এসব গাছ কাটা ও বিক্রির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে গাছ কাটা বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর বাজার হতে তেলিয়া গ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে সামাজিক বনায়নের আওতায় রোপন করা প্রায় পনের শতাধিক গাছ টেন্ডার ছাড়াই কর্তন করা হচ্ছে। স্থানীয় গাছ ক্রেতা শাহিন ও রকি নামের কাঠ ব্যবসায়ী জানান, ‘চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান ও সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের সভাপতি সবুজের সাথে আলোচনা করে তাদের কাছ থেকে এ গাছগুলো ক্রয় করা হয়েছে’। নিয়মানুসারে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিপক্ক গাছ বিক্রির জন্য টেন্ডার আহবান করবেন। কিন্তু সরকারী এই নিয়ম-নীতিকে তোয়াক্কা না করে এসব গাছ কাটার মহোৎসব চলছে। এতে করে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে সরকার এ খাত থেকে বিপুল পরিমান টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এনিয়ে জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের সভাপতি সবুজ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘৪শ’ ৪২টি গাছ টেন্ডার করা হয়েছে বাকি গাছগুলো টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করা হয়েছে। সেখানে গাছ রয়েছে ১১ থেকে ১২ শ’ টি। মোট ২৬ লাখ টাকা বিক্রি করা হয়েছে। গোপন করার কিছু নেই। আপনারা সংবাদ প্রকাশ করেন না। আপনাদের বিষয়টি দেখা হবে’। তবে যে টেন্ডারের কথা বলা হচ্ছে তারও কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
গোবিন্দগঞ্জ ফরেষ্ট অফিসার মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন কিছু জানিনা।
ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিকের সঙ্গে গাছকাটার বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি একটু বাহিরে আছি। এ বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে পরে সাক্ষাতে কথা হবে’।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বিষয়টি ফোন করে জানানো হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে গাছকাটা বন্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামকৃষ্ণ বর্মনের কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যানকে বলেছি কাগজপত্র দেখাতে। সেখানে শুধু গাছকাটার বিষয়ে রেজুলেশন করা হয়েছে। কিন্তু টেন্ডারের কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। সরেজমিনে তদন্ত করে সেখানে যদি কোন অনিয়ম থাকে তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।