শনিবার ● ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় বৃদ্ধি পাচ্ছে পরিবার পরিকল্পনার আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহার
গাইবান্ধায় বৃদ্ধি পাচ্ছে পরিবার পরিকল্পনার আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহার
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (৩১ ভাদ্র ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.১১মি) নারী-পুরুষের সচেতনার পাশাপাশি দিন দিন গাইবান্ধায় বৃদ্ধি পাচ্ছে পরিবার পরিকল্পনার বিভাগের আধুনিক পদ্ধতিগুলোর ব্যবহার। তবে চরাঞ্চলের কিছু কিছু এলাকায় আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার না করলেও তারা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল ও কনডম ব্যবহার করছেন। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও মাসিক নিয়মিতকরণ এবং প্রসব ও গর্ভপাত পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা সেবা তথা দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী পদ্ধতি সর্ম্পকে ভ্রান্ত ধারণা, সামাজিক কুসংস্কার এবং সফলতা ও বিফলতা সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠেছে। শহরের দিঘিরপাড় গ্রামের মোমেনা বেগম ও আরও অনেকে বলেন, আমরা দু’একটি বিষয়ে অবগত ছিলাম। কিন্ত এ অনুষ্ঠানে না আসলে হয়তো অনেক কিছুই জানতাম না। আসলে একজন গর্ভবর্তী মার কি কি করা প্রয়োজন তা এখান থেকে শিখলাম।
পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা এফডাব্লিউভি অবসরপ্রাপ্ত হোসনে আরা হানু বলেন, সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মা ও শিশু কেন্দ্র, সরকারি ও বেসরকারি পরিবার পরিকল্পনা কর্মীর কাছে, পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিকে বা ফার্মেসি বা দোকানে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য সবকিছু পাওয়া যায়। সন্তান ধারণে সক্ষম নারী ও পুরুষদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণের সাতটি পদ্ধতি রয়েছে। খাবার বড়ি, কনডম, ইনজেকশন, ইমপ্ল্যান্ট, আইইউডি, টিউবেকটমি এবং এনএসভি। এগুলোর মধ্যে নারীদের জন্য পাঁচটি পদ্ধতি খাবার বড়ি, ইনজেকশন, ইমপ্ল্যান্ট, আইইউডি, টিউবেকটমি এবং পুরুষের জন্য দু’টি পদ্ধতি কনডম ও এনএসভি।
গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতাল তত্তাবধায়ক ডা. এসি সাহা বলেন, ‘গর্ভবতী থাকা সময়ে ৪টি চেকাপ করাতে হবে। এই চেকাপ হলে মাতৃ এবং শিশু মৃত্যু দু’টোই কমানো যাবে। গর্ভকালীন এবং প্রসাবকালীন সময়ে এর যে কোন একটি জটিলতা দেখা দিলে দেরি না করে গর্ভবতী মাকে জরুরী সেবার জন্য দ্রুত জেলা হাসপাতাল, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরবিার কল্যাণ কেন্দ্ররে নিয়ে যেতে হবে।
গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. আফছারী খানম বলেন, ‘গর্বতীদের যদি দ্রুত সেবা কেন্দ্রে পাঠানো যায় তাহলে এ মৃত্যুর হার কিছুটা কমবে।’ যেসব মেয়ে শিক্ষিত ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং যারা শৈশব-কৈশোরে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিকর খাবার খেয়েছেন, তারা যদি ১৮ বছর বয়সের পর গর্ভধারণ করেন তবে তাদের গর্ভধারণকাল নিরাপদ হবে, সুস্থ সন্তান জন্ম দেয়ার সম্ভাবনাও বেশি হবে।
গাইবান্ধা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক দেওয়ান মোর্শেদ কামাল বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে খাবার বড়ি এবং কনডম সবসময় নেওয়া যায়। ইনজেকশন তিন মাস পরপর, ইমপ্ল্যান্ট ৩-৫ বছর পরপর, আইইউডি সেবা আট বছর পরপর নেওয়া যায়। এনএসভি সেবা নিতে পুরুষের খুব অল্প সময় লাগে। আমরা অন্তঃসত্তা নারীদের সন্তান জন্মদানের জন্য কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করি। সেখান থেকে তাদের দুই বছর পর গর্ভধারণের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়।