বুধবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাজিপুর » মাদরাসা শিক্ষকের স্ত্রী ও ছাত্রকে গলাকেটে হত্যা
মাদরাসা শিক্ষকের স্ত্রী ও ছাত্রকে গলাকেটে হত্যা
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (৪ আশ্বিন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.০১মি.) গাজীপুরে মাদরাসা শিক্ষকের স্ত্রী ও এক ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এসময় ওই শিক্ষকের এক শিশুসন্তান আহত হয়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভোরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ডের চান্দনা এলাকায় হুফফাজুল কোরআন মাদরাসায় এ হত্যাকান্ড ঘটে।
নিহতরা হলেন- হুফফাজুল কোরআন মাদরাসার পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল তালুকদারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার স্মৃতি (২৫) ও মাদরাসার নুরানি বিভাগের ছাত্র মো. মামুন (৮)।
নিহত মামুন ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ফয়ালী রসুলপুর এলাকার মোহাম্মদ সাইদের ছেলে।
খবর পেয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার ভোরে ওই মাদরাসার পার্শ্ববর্তী মসজিদে মাদরাসার ওই শিক্ষকসহ ছাত্ররা ফজরের নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে মাদরাসায় ফিরে ওই দুইজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে ডাক-চিৎকার শুরু করেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান বলেন, ‘কিছু ব্যাপার সামনে রেখে আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। আমি আশাবাদী যে, খুব তাড়াতাড়ি এ হত্যার রহস্য উদঘাটিত হবে।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার বাসন থানার ওসি মো. মুক্তার হোসেন জানান, সকালে চান্দনা এলাকায় জোড়া খুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। মাদরাসার পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিলের বসতঘরে লাশ দুটি পড়েছিল।
মাহমুদার গলা, গাল ও কানে এবং মামুনের ঘাড়, মাথা ও পিঠে ধারোলো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘরের ভেতর থেকে রক্তমাখা একটি দা ও দা ধার দেয়ার কাজে ব্যবহৃত একটি কাঠের খন্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি বলেন, প্রায় দুবছর ধরে ইব্রাহিম ওই কোরআন হেফজের মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন। মাদরাসার একটি কক্ষেই সপরিবারে বাস করেন তিনি। তিনি নিজেও ছাত্রদের কোরআন শিক্ষা দেন।
ইব্রাহিম জানান, মঙ্গলবার ভোরে স্ত্রী মাহমুদা এবং তার দুই সন্তান হুযায়ফা (৫) ও আবু হুরায়রাকে (৩) বসতঘরে রেখে তিনি পাশের মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান। নামাজ শেষে ঘরে ফিরে বিছানার ওপর স্ত্রী মাহমুদা এবং দরজার কাছে মামুনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এ বিষয়ে তিনি আর কিছুই জানেন না।
বাসন থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা এসআই আল আমিন মাদরাসার ছাত্র সাব্বিরের বরাত দিয়ে জানান, সোমবার রাতে হুজুরকে (ইব্রাহিমকে) উদ্ধার হওয়া দা-টি ধার দিতে দেখেছেন। আর মঙ্গলবার ভোরে ফজরের নামাজে যাওয়ার আগে সাব্বিরকে দিয়ে নিহত মামুনকে মাদরাসার অন্য কক্ষ থেকে হুজরের কক্ষে ডাকার জন্য পাঠানো হয়।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।