বুধবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে কিশোরীকে ধর্ষণ করে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা, ধর্ষকসহ গ্রেপ্তার-৪
বিশ্বনাথে কিশোরীকে ধর্ষণ করে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা, ধর্ষকসহ গ্রেপ্তার-৪
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (৪ আশ্বিন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.১৪মি.)সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় উদ্ধার অজ্ঞাত কিশোরীর লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম রুমি আক্তার (১৬)। সে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার আউতপাড়া গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে। এঘটনায় পুলিশ গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্ষকসহ ৪জনকে টাঙ্গাইল জেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-ধর্ষক সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ওয়াব উল্লাহ’র ছেলে শফিক মিয়া (৩২)।
গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক শফিক মিয়া পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা দায় স্বীকার করে জানায়, ধর্ষণ শেষে কিশোরী রুমি আক্তারকে একটি খালের পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে লাশ রাস্তা পাশে ফেলে দেয়। বিস্তারিত আসছে
শফিক মিয়াই কিশোরী রুমি আক্তারকে হত্যা করে বলে বুধবার বেলা ২টায় সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদোহা।
থানা কমাউন্ডে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওসি জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথের রামপাশা ইউনিয়নের একি বাড়ির রাস্তার পাশে অজ্ঞাতনামা এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন নাম্বারের সূত্র ধরে এ হত্যা রহস্য উদঘাটন করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার শফিক টাঙ্গাইলের নাছির গ্লাস ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। ওই ফ্যাক্টরি থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে সে আরও ৪টি বিয়ে করেছে। বিশ্বনাথ থানায় দায়েরকৃত গণধর্ষণ মামলারও পলাতক আসামি শফিক।
ওসি বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই জেলার মির্জাপুর থানার আতাউর রহমানের মেয়ে রুমি আক্তার। একই হাসপাতালে শফিকের শাশুড়িও চিকিৎসাধিন ছিলেন। সেখানেই তাদের পরিচয় হয়।
এই পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের অভিনয় করে রুমিকে সিলেট নিয়ে আসে শফিক। এরপর তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। রুমিকে হত্যার দৃশ্য শফিকের এক ভাবি দেখে ফলেন বলেও জানান ওসি।
এঘটনায় শফিকসহ এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শফিক রুমিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে জানিয়ে ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার শফিককে আদালতে তুলে রিমান্ড চাওয়া হবে।
শফিক দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে নীরিহত মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে পেলে একের পর এক হত্যা ও ধর্ষণ করে বেড়ায় বলেও মন্তব্য করেন ওসি শামসুদোহা।