বৃহস্পতিবার ● ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় বন্যায় ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ
গাইবান্ধায় বন্যায় ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (৫ আশ্বিন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.১৪মি.) গাইবান্ধার ফুলছড়ির তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র ও গাইবান্ধা শহরের নতুন ব্রীজ পয়েন্টে ঘাঘট নদীর পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি গতকাল সোমবার বিপদসীমার ৭ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। অপরদিকে তিস্তার পানি বুধবার ২৩ সে.মি. এবং করতোয়ার পানি ৬ সে.মি. হ্রাস পায়। বর্তমানে ঘাঘট, তিস্তা ও করতোয়ার পানি বিপদসীমার অনেকটা নিচে রয়েছে।
এদিকে ফুলছড়ি উপজেলার ১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানি উঠায় সেগুলোর পাঠদান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বন্যার পানিতে আমন ক্ষেত ডুবে থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির আংশকায় চাষীরা দু:চিন্তায় পড়েছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও রেলওয়ের মেরিন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি না বৃদ্ধি পেলেও ফুলছড়ির তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে এখনও বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী নিন্মঞ্চল এলাকায় রোপিত আমন ক্ষেত গত কয়েকদিন থেকে পানির নিচে তলিয়ে আছে। এ অবস্থায় বেশি দিন থাকলে ফসল নষ্ট হবে বলে স্থানীয় কৃষিবিভাগের ধারণা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত চরাঞ্চলের ৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানি প্রবেশ করায় ওইসব বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কৃষ্ণমনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হেলেঞ্চা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিয়াডাঙা কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কটকগাছা কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খঞ্চাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সর্দারের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব খোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাগবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর সন্যাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম জিগাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাউয়াবাধাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এদিকে জেলা ত্রাণ দপ্তর জানিয়েছে, বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের ৮৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওইসব গ্রামে ১২ হাজার ৮১০টি পরিবারের বাড়িঘর ডুবে গেছে। জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস আলী সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ১শ’ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেগুলো বিতরণের কাজ চলছে।