শুক্রবার ● ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » বন্যায় সুন্দরগঞ্জে ১৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বিঘ্ন
বন্যায় সুন্দরগঞ্জে ১৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বিঘ্ন
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (৬ আশ্বিন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.১২মি.) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শ্রীপুর, চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়ন দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ১৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বিঘœ ঘটছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্র জানায়, এসব ইউনিয়নের উজান বুড়াইল সরকারি বিদ্যালয়, ভোরের পাখি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাটিবুড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর কাপাসিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাগলার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লাঠশালার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোচাগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিপুর বিএসএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঘব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাড়াসাদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উজান তেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব লালচামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোচাগাড়ি ভুইঞাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মহিষবান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম হারুন অর রশিদ জানান, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর কুলবর্তী ও চরাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বিঘœ ঘটছে। এছাড়া বুড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী ভাঙ্গনের ফলে অন্যত্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সুত্র জানায়, বর্তমানে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ১ দশমিক ৪২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে, তারাপুর ইউনিয়নের লাঠশালার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিদ্যালয় বন্যার অজুহাতে কার্যক্রম বন্ধ রাখার অভিযোগ করছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় এলাকার সচেতন অভিভাবকরা।
ফুলছড়িতে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি, বন্যার্তদের জন্য ২৫ মে.টন ত্রাণ বরাদ্দ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে থাকায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পানি কম শুরু করায় স্রোতের তীব্রতা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়ে বেশ কিছু পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এদিকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষে বন্যার্তদের মাঝে বিতরনের জন্য গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও রেলওয়ের মেরিন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার কমলেও এখনও বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমতে থাকায় তীব্র স্রোতে বেশকিছু পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলার পূর্ব কঞ্চিপাড়া, উত্তর উড়িয়া, রতনপুর, কালাসোনা গুচ্ছগ্রাম, কাবিলপুর, কাতলামারী, গলনা, জিয়াডাঙা, দেলুয়াবাড়ী, জিগাবাড়ী, সন্যাসী, উজালডাঙা, পূর্ব খাটিয়ামারী, বাজেতেলকুপি সহ বেশ কিছু এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, ফুলছড়ি উপজেলার বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ইতোমধ্যে ৪শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১০ মেট্রিকটন চাল বিতরন করা হয়েছে। আরও ৪শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে যা বিতরণ চলমান আছে।
ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মন্ডল জানান, বন্যার পানিতে বেশকিছু এলাকা তলিযে যাওয়ায় ওই এলাকার খেটে খাওয়া লোকজনের কাজকর্ম না থাকায় তাদের খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের উপস্থিতিতে ফুলছড়ি ইউনিয়নে বন্যার্তদের মাঝে ৩ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে এবং আরও বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, বন্যার্তদের খাদ্য নিরাপত্তায় স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।