শনিবার ● ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাগেরহাট-৪ মাঠে ব্যস্ত নেতারা আওয়ামী লীগ- বিএনপি-জামায়াত লড়াই
বাগেরহাট-৪ মাঠে ব্যস্ত নেতারা আওয়ামী লীগ- বিএনপি-জামায়াত লড়াই
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট অফিস :: (৭ আশ্বিন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় দুপুর ২.২৭মি.) বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে(বাগেরহাট-৪ আসন)বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পদচারণায় মুখর এলাকা। এখানকার দলীয় নেতাকর্মীরা আগেভাগেই রাজনৈতিক মাঠ নিজেদের অনুকূলে রাখতে নানা আয়োজনে ব্যস্ত। নিজস্ব স্টাইলে মাঠে রয়েছেন জামায়াত নেতারাও। চারবার নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন আগামী নির্বাচনেও মনোনয়ন পাবেন—এমন কথা নিশ্চিতভাবে বলার সুযোগ নেই। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের সঙ্গে লড়াই করেছেন। আগামী নির্বাচনেও মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে লড়াই করতে হবে তাঁকে। বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের চিত্র এটা।
এ আসনে বিএনপিকে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে জোটের শরিক জামায়াতের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। কারণ এখানে দুবার জামায়াত এবং একবার বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। বিএনপি জিতেছে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে।
গত নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। কিন্তু এবার একক বা জোটগতভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি রয়েছে দলটির।
বাগেরহাট-৪ আসনটি জাতীয় সংসদের ৯৮ নম্বর নির্বাচনী এলাকা। মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি এবং শরণখোলা উপজেলার চারটি মিলিয়ে ২০টি ইউনিয়ন এবং মোরেলগঞ্জ পৌরসভা রয়েছে এ আসনে। এ এলাকায় ভোটার রয়েছে দুই লাখ ৮৯ হাজার ৫১৪ জন। হালনাগাদ হিসাবে আরো বাড়তে পারে।
বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন বাগেরহাট-৪ আসন থেকে ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য হন। গত সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিনটি থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হতে হয়। ১৯৯৬ সালে গঠন করা আওয়ামী লীগ সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন মোজাম্মেল হোসেন। এর আগে ১৯৯১ সালে তিনি বাগেরহাট-১ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি জামায়াতের প্রার্থী মুফতি আব্দুস সাত্তারের কাছে পরাজিত হন।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আসন থেকে আওয়ামী লীগের শেখ আব্দুল আজিজ সংসদ সদস্য হন। ১৯৭৯ সালে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের (মালেক) এ লতিফ খান। ১৯৮৬ সালে জয়লাভ করেন জাতীয় পার্টির আলতাফ হোসেন। ১৯৯১ সালে জামায়াতের মুফতি আব্দুস সাত্তার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
অর্থাৎ ১৯৭৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাঁচবার আওয়ামী লীগ, দুবার জামায়াত, একবার করে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ কারণে আওয়ামী লীগ মনে করে, এ আসন দলটির ঘাঁটি। অন্যদিকে জামায়াত মনে করে, এই আসনে দলটির অবস্থান মজবুত। সে কারণে আগামী সংসদ নির্বাচনে এ আসনে কোন রাজনৈতিক দল থেকে কে প্রার্থী হচ্ছেন সেটা নিয়ে দুই উপজেলায়ই আলোচনা রয়েছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামও প্রচারে আসছে।
আওয়ামী লীগ : আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এ আসনে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন্দল অনেক দিনের। উপজেলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কমিটিতে নেতাকর্মীদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। মূলত নেতৃত্ব নিয়েই ওই কোন্দলের সৃষ্টি। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে এ আসনে দলীয় প্রার্থী মোজাম্মেল হোসেনকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম খান ও মনিরুল হক তালুকদারের সঙ্গে। এলাকায় দলে যে বিভাজন রয়েছে সেটা সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেন ও কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুল আলম মিলনের মধ্যে। মিলন মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
সুতরাং এ আসনে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীর নাম আলোচনায় রয়েছে। তাঁদের মধ্যে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ,দলের কেন্দ্রীয় সদস্য আমিরুল আলম মিলন, শিল্পপতি মো. জামিল হোসাইন,কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক মিজানুর রহমান জনি মোরেলগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট প্রবীর রঞ্জন হালদার প্রমুখ। ।
আসনটি আওয়ামী লীগের দখলেই থাকবে—এমন প্রত্যয় জানিয়ে দলটির নেতারা বলছেন, নিজেদের মধ্যে যে বিরোধ আছে তা শিগগিরই মিটিয়ে ফেলা হবে। এখন যাঁরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করে প্রচার চালচ্ছেন তাঁরা সবাই দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।
সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘গত নির্বাচনেও আমাকে হারানোর জন্য দলের কিছু নেতা স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর পক্ষ নিয়েছিল। কিন্তু তার পরও তারা পারেনি। এলাকার জনগণ বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমাকে আবারও নির্বাচিত করেছে।’ তিনি দলে বিরোধের জন্য আমিরুল আলম মিলনকে দায়ী করেন।
ডা. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘প্রায় ৬০ বছরের রাজনীতির জীবনে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। প্রায় ৩৮ বছর বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। দলের কাছে এবার শেষবারের মতো মনোনয়ন চাই।’ দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হবেন, এমন প্রত্যাশার কথা জানালেন এ প্রবীণ নেতা।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ চালাচ্ছি। এলাকায় মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মী এবং তরুণ প্রজন্মের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক ও শিল্পপতি জামিল হোসাইন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এলাকায় এবং এলাকার বাইরেও দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য কাজ করছি। বারবার সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার জন্য আমার প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’ তিনি জানান, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৪ আসন থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন তিনি। আগামী সংসদ নির্বাচনেও দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন তিনি। দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান জামিল হোসাইন এবং সে ক্ষেত্রে তিনি জয়লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
জামিল বলেন, ‘এরই মধ্যে আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখা, উন্নয়ন, নির্বাচনী এলাকায় বিদেশি বিনিয়োগ আনা এবং একই সঙ্গে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে দলকে শক্তিশালী করাসহ সাত দফা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছি। মনোনয়ন পেলে অথবা না পেলেও ওই সাত দফা বাস্তবান করা হবে।’
আমিরুল আলম মিলন বলেন, ‘দলে বিরোধ আছে, তবে তা স্থায়ী বিরোধ নয়। দলে নেতাদের ভিন্নমত থাকতেই পারে।’ তবে ডা. মোজাম্মেল হোসেন তাঁর নামে যে অভিযোগ করেছেন তা তিনি অস্বীকার করেন।
মিলন বলেন, ‘ছাত্রলীগ থেকেই আমার রাজনীতিতে আসা। দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে আছি। গণসংযোগ চালাতে গিয়ে মানুষের ব্যাপক সাড়া এবং এলাকার মানুষের সমর্থন পাচ্ছি। জনগণের মধ্যে আমাকে নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সভানেত্রী আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে রেখেছেন; আশা করি, আগামী নির্বাচনে এই আসনে মনোনয়ন দেবেন।
মিজানুর রহমান জনি:আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক মিজানুর রহমান জনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এলাকায় এবং এলাকার বাইরেও দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য কাজ করছি। বারবার সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার জন্য আমার প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’ তিনি জানান, বাগেরহাট-৪ আসন থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনেও দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন তিনি। দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান মিজানুর রহমান জনিএবং সে ক্ষেত্রে তিনি জয়লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।এলাকায় মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মী এবং তরুণ প্রজন্মের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।’
জাতীয় পার্টি : এ আসনে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) মনোনয়নপ্রত্যাশী বাবু সোমনাথ দে। তিনি দলের সংখ্যালঘুবিষয়ক উপদেষ্টা। দলটির নেতাকর্মীরা এখানে অনেকটা সক্রিয়। বিভিন্ন সময় নানা কর্মকাণ্ড করে আসছেন সোমনাথ দে। তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও জোটের কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। আগামী নির্বাচনে তিনি দলের প্রার্থী হিসেবে অংশ নেবেন বলে সোমনাথ জানান।
বিএনপি : বিএনপির নেতারা বলছেন, এখানে দলের মধ্যে প্রকাশ্যে কোনো বিরোধ নেই। তবে দলে কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়ায় কারো কারো মনে কষ্ট আছে। কিন্তু সেটা দলের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারেনি। নির্বাচনে সব নেতাকর্মীই একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়বে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে।
এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে যাঁদের নাম প্রচার পাচ্ছে তাঁদের মধ্যে আছেনকেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী খায়রুজ্জামান শিপন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও জিয়া গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, ও দলের জেলা শাখার আরেক উপদেষ্টা মনিরুল হক ফরাজী ।
কাজী খায়রুজ্জামান শিপন বলেন, ‘এক-এগারো (২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সময়) থেকেই আমি রাজপথে আছি। হামলা-মামলা উপেক্ষা করে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এলাকায় প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ চালাচ্ছি। মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। এলাকার নেতাকর্মীরা আমাকে চায়। বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া আমাকে এলাকায় কাজ করতে বলেছেন।’
আগামী নির্বাচনে এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থীই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে জানিয়ে কাজী খায়রুজ্জামান বলেন, ‘বিগত দিনে আমার কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে— এ ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’
কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি করার কারণে বাগেরহাট, ঢাকা ও ঠাকুরগাঁওয়ে আমার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা হয়েছে। এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গেই আছি। পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে কাজ করছি।’ ব্যক্তিগতভাবে গত কয়েক বছরে এলাকায় বিভিন্ন খাতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন বলে এ নেতা দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘দলের কাছে আগে দুবার মনোনয়ন চেয়েছিলাম। দল আগামীতে মনোনয়ন দেবে বলেছিল। এবার দলের কাছে মনোনয়ন চাই। দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচনে অবশ্যই বিজয়ী হব।’
মনিরুল হক ফরাজী বলেন, ‘১৯৮৭ সাল থেকে রাজনীতি করছি। সব সময় এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গেই আছি। নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে রাজনীতি করছি। বিএনপি করার কারণে জেল খেটেছি। এলাকার নেতাকর্মীরা আমাকে চায়। বিগত দিনে আমার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের কথা বিবেচনা করে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।’
ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘এ আসন বারবার জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়ার কারণে রাজনৈতিকভাবে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং হতাশায় ভুগছে দলের নেতাকর্মীরা। এই অবস্থায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমাকে পদ দেওয়ায় এখানকার নেতাকর্মীদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।’ দলের মনোনয়ন পেলে তিনি বিজয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী।
জামায়াত : আগামী সংসদ নির্বাচনে এই আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম, শহীদুল ইসলাম।শহীদুল ইসলাম তিনি খুলনার ডুমুরিয়ার শাহাপুর মধুগ্রাম সরকারি কলেজের শিক্ষক। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।
বাগেরহাট জেলা জামায়াতের সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম বলেন, এলাকায় দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানো সম্ভব হয় না। দলের নেতাকর্মীরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে এলে জামায়াতকে মাঠের রাজনীতিতে দেখা যাবে।
শহীদুল ইসলাম শিক্ষকতা করেন সে কলেজ সরকারি হওয়ায় , সে ক্ষেত্রে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। অন্য কেউ নির্বাচনে আসতে পারে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি : ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি শরীফুজ্জামান শরীফ এ আসনে কমিউনিস্ট পার্টির সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানা গেছে।## ## ####**ছবি দয়ো আছে ### ###