শনিবার ● ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » সেই চায়ের দোকানি হত্যা রহস্য ফাঁস : ভাইয়ের মেয়েকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার কারণেই খুন
সেই চায়ের দোকানি হত্যা রহস্য ফাঁস : ভাইয়ের মেয়েকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার কারণেই খুন
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৭ আশ্বিন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.২২মি.) দাম্পত্য কলহে জর্জরিত ফুফাতো ভাইয়ের মেয়ে আকলিমা কবিরাজী করতে দারস্থ হয় চাচা বাদশা খোন্দকারের কাছে। সুযোগ বুঝে ফুফাতো ভাই তমছের আলীর মেয়ের সাথে শারীর সম্পর্ক করার চেষ্টা করে বাদশা। ঘটনাটি ফাঁস করে দেয় ভাতিজি আকলিমা খাতুন। এরপরই হত্যার ছক কষে আকলিমার পিতা, ভাই ও স্বামী। গত ১৫ সেপ্টম্বর বাদশা খোন্দকারকে হরিণাকুন্ডুর সিঙ্গা গ্রাম থেকে ডেকে আনা হয় পায়রাডাঙ্গা গ্রামে। রাতেই টিউবওয়েলের লোহার ডাটি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার পর বাদশার লাশ চারাতলা বাজারের কাছে ফেলে রাখা হয়। বাদশাকে হত্যার সময় তমছের আলী, ছেলে তানজির, মেয়ে আকলিমা ও জামাই শাহেদ আলী উপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পলাতক রয়েছে তমছের আলীর ছেলে তানজির। হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ বাদশা হত্যার ৬ দিনের মাথায় ক্লু ও মোটিভ উদ্ধার করেছে। হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তমছের আলীর জামাই শাহেদ আলী।
শাহেদ হরিণাকুন্ডু উপজেলার পার্বতীপুর আমেরচারা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। আদালতে বাদশা হত্যার পুরো ঘটনা বর্ননা করেছেন শাহেদ আলী। আদালতকে তিনি জানান, তার মায়ের সাথে স্ত্রী আকলিমার বনিবনা হতো না। এ কারণে কবিরাজ দিয়ে মাকে (আকলিমার শ্বাশুড়ি) বশিকরণ করতে স্ত্রী আকলিমা দারস্থ হয় তার শ্বশুরের মামাতো ভাই সিঙ্গা গ্রামের তাজুল মন্ডলের ছেলে বাদশা কবিরাজের। কয়েক দিন যাতায়াতের এক পর্যায়ে বদশা প্রস্তাব করে তার সাথে যেনৈ সম্পর্ক না করলে কবিরাজীতে কাজ হবে না। ফিরে এসে ঘটনাটি আকলিমা তার মা, বাবা, ভাই ও আমাকে জানায়। এরপরই আমরা বাদশাকে হত্যার পরিকল্পনা করি। হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সি সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাদশা হত্যার মোটিভ উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছি। কু-প্রস্তাব দেওয়ার কারণেই খুন হন বাদশা।
উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টম্বর হরিণাকুন্ডু উপজেলার চারাতলা বাজারের মাঠ থেকে বাদশা কবিরাজের (৪২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।