বৃহস্পতিবার ● ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহের চিত্রা নদীতে অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার : বিলুপ্ত হচ্ছে দেশি প্রজাতির মাছ
ঝিনাইদহের চিত্রা নদীতে অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার : বিলুপ্ত হচ্ছে দেশি প্রজাতির মাছ
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (১২ আশ্বিন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.১০মি.) ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের পাশ দিয়ে প্রবাহিত চিত্রা নদী। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাঁশ দিয়ে আড়াআড়ি বাঁধ মাছ শিকার করা হচ্ছে। ফলে অত্র এলাকার কয়েক হাজার লোকজন সাধারন উন্মক্ত ভাবে মাছ শিকার করতে পারছেনা। অভিযোগ রয়েছে, বর্ষার শুরুতেই মাছ শিকারিরা চিত্রা নদীতে বাঁশ দিয়ে আড়াআড়ি বাঁধও চিকন সুতার জাল ব্যবহার করে কোটি কোটি ডিমসহ দেশিয় প্রজাতির মাছ শিকার করেছে। এখন পানি কমে আসলেও মাছ শিকারিা বাঁধ না তুলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর দু’পাশের পাড় থেকে বাঁশের তৈরি বাঁধদিয়ে নদীর পানির গতিরোধ করে মাঝ পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। সেখানে সামান্যতম জায়গা ফাঁকা নেই। প্রতি বছরই মৌসুুমের শুরুতেই এধরনের বাঁধদিয়ে নিশিদ্ধ চিকন সুতার জাল দিয়ে মাছ শিকারই করছেনা, নদীর স্বাভাবিক গতিকে বাঁধা সৃষ্টি করে ভরাট হচ্ছে নদীর তলদেশ। নদীতে পলি মাটি পড়ে নব্যতা হারাচ্ছে। মধুহাটি ইউনিয়নের পাশ দিয়ে প্রবাহিত একমাত্র চিত্রা নদীর তিনটি জায়গায় ৮টি অবৈধ বিশাল বাঁধের চিত্র ফুটে উঠেছে। দূর্গাপুর গ্রামের মহিউদ্দিন সেতুর নিকট পরপর ৪টি বাঁধ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওয়াড়িয়া গ্রামের দাস পাড়ার নিকট ও পশ্চিম পাশ এবং শ্রীপুর চিত্রা নদীর ঘাটের বাঁধ, এছাড়াও হাজিডাঙ্গা-ঘাঘা গ্রামের চিত্রা আবাসনের নিকট বাঁধদিয়ে মাছ শিকার করছেন। ফলে নষ্ট হয়েছে কোটি কোটি ডিমসহ দেশিয় প্রজাতির মাছ। অভিযোগ রয়েছে প্রশাসনের নজরকে আড়াল করে প্রতি বছরই এ সকল বাঁধ দেয়া হচ্ছে। এখন নদীতে পানির প্রবাহ না থাকায় বাঁশ দিয়ে আড়াআড়ি বাঁধের কারনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করা হয়েছে। বিষয়টি অনুুধাবন করে নদীতে বাঁধ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে একদিকে নদীটির নব্যতা হারাবে, বিলুপ্ত হবে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছ। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে সচেতন এলাকাবাসি।