রবিবার ● ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » জনকল্যাণে নিবেদিত প্রাণ জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল
জনকল্যাণে নিবেদিত প্রাণ জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (১৫ আশ্বিন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.০৭মি.) উত্তরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া এই গাইবান্ধা জেলার নিবেদিত প্রাণ একজন জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল। দায়িত্ব পালনে স্বল্পকালিন সময়ে যার আন্তরিক ছোঁয়া ও উদ্দীপনায় গাইবান্ধার বিভিন্ন সেক্টর উদ্দীপ্ত এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।
গাইবান্ধায় যোগদান করেই তিনি দৃষ্টি দেন এ জেলার নদী ভাঙ্গন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়টির প্রতি। কেননা ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যা সুষ্ঠ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় যে সকল ত্রুটি পরিলক্ষিত তা নিরসনে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে জেলার পূর্বপার্শ্ব দিয়ে ব্রহ্মপুত্রের তীরে বহুপূর্বে নির্মিত ৭৮ কি.মি. বাঁধ মোটর সাইকেলে করে ব্যক্তিগতভাবে পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিতকরণ করেন। পরবর্তীতে দ্রুত তা নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ফলে পরবর্তী বন্যায় মানুষ এক্ষেত্রে কাংখিত সুফল করতে সক্ষম হয়।
জেলা প্রশাসন অফিসে এলে তাঁর সান্নিধ্যে যাতে হাসিমুখে ফেরত যায় সেজন্য অত্যাধুনিক সিটিজেন কেয়ার নির্মাণ করে তা তিনি সক্ষম করে তুলেছেন। তদুপরি এ জেলার প্রানি-ক কৃষক, মৎস্যজীবি, হরিজন রবিদাস, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, শ্রমজীবি মানুষ, প্রতিবন্ধী, নারী ও বয়স্ক মানুষের নিকট সরকারি সকল প্রকার সেবা ও সহায়তা পৌছে দেয়ার ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা ছিল অনেক। গাইবান্ধা জেলাকে ব্রান্ডিং করে চরাঞ্চলের ভুট্টা, মরিচ এ জেলার রসমঞ্জুরী সারাদেশসহ সারাবিশ্বজুড়্ পেরিচিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এ জন্য গাইবান্ধার ঐতিহাসিক নির্দশন, কৃষি পণ্য, দর্শনীয় স’ান এবং সম্ভাবনার ক্ষেত্রে চিহ্নিত করার জন্য একটি মূল্যবান সচিত্র সুভ্যেনিড় ‘জেলা ব্রান্ড বুক সৃজনশীল গাইবান্ধা’ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে গাইবান্ধার উন্নয়নমূলক চিত্র তুলে ধরে সুন্দর একটি ব্যান্ডিং সংগীতও প্রকাশ করেছেন। তাঁর সবচাইতে কল্যাণকামি উদ্যোগটি হচ্ছে জেলা থেকে ভিক্ষুক নির্মুল করা এবং ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ। এ জেলার অবহেলিত সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনে এবং তাদের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ করে রাখার জন্য জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল গাইবান্ধায় সাঁওতালদের জন্য পৃথক একটি কালচারাল একাডেমি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
এছাড়া ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের বিকাশ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণির ৩৩টি পদে নিয়োগ প্রদান, সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া চরে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা, জেলা ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান নিশ্চিতকরণ, বাল্য বিয়ে, মাদক ও জুয়া বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, জেলার স্কাউটিং কার্যক্রম জোরদারকরণ, গোবিন্দগঞ্জের কোচাশহরে হুশিয়ারী প্রশিক্ষক নির্মাণ, চর উন্নয়ন বোর্ড নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণসহ বিভিন্ন কল্যাণকামি উদ্যোগ গৌতম চন্দ্র পাল গ্রহণ করেছেন এ জেলার মানুষের কল্যাণের জন্য।
এছাড়া মানুষের অভাব অভিযোগ শুনে তাৎক্ষনিক সমাধান করে দেয়ার লক্ষ্যে প্রতি বুধবারে নিয়মিত গণ শুনানীর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যাতে এ এলাকার অসহায় মানুষরা জেলা প্রশাসকের হস-ক্ষেপে দ্রুত তাদের অনেক সমস্যা নিরসন করতে সক্ষম হয়েছেন।