মঙ্গলবার ● ২ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » গাইবান্ধায় বেগুনি ধান নিয়ে চলছে কৃষিবিদদের গবেষণা
গাইবান্ধায় বেগুনি ধান নিয়ে চলছে কৃষিবিদদের গবেষণা
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (১৭ আশ্বিন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৩৪মি.) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সেই দুলালী সুন্দরী বেগুনি পাতা ধান নিয়ে আমন মৌসুমে চলছে কৃষিবিদদের নিরন্তর গবেষণা। ইরি বোর মৌসুমের গবেষণার সাথে তুলনা করা হচ্ছে আমন মৌসুমের গবেষণার ফলাফল। উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বৈদ্যনাথ গ্রামে ৫০ শতক জমিতে গত ২৫ জুলাই রোপা আমন খরিপ-২ মৌসুমে চাষ করা হয়েছে বেগুনি পাতা ধান। ৫০ শতক জমির মধ্যে প্লট তৈরি করে বিভিন্ন পদ্ধতিতে চারা লাগানো হয়েছে। ইতি মধ্যে ধানের থোর বের হয়ে পাকনা ধরেছে। প্রতিদিন ধান ক্ষেত পর্যবেক্ষণ এর্বং গবেষণা করছেন কৃষি অফিসার রাশেদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এ.কে.এম ফরিদুল হকসহ উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা। ধান গাছের উচ্চতা, একটি গোছায় কয়টি গাছ, একটি শীষে কয়টি ধান রয়েছে, ছিটা ধানের পরিমান নির্নয়, বিভিন্ন প্লটে লাগানো ভিন্ন পদ্ধতির বিষয় নিয়ে চলছে গবেষণার কাজ।
কৃষি অফিসার রাশেদুল ইসলাম জানান, ইরি বোর মৌসুমে বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ২৫ মন। চাল এবং খাদ্যের গুনগতমান পরীক্ষার নিরিক্ষার জন্য গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ফলাফল পাওয়া যায়নি। বেগুনি পাতা ধানটি নিয়ে গবেষণা করার জন্য নিজ উদ্যেগে ৫০ শতক জমি লিজ নিয়ে আমন মৌসুমে চাষাবাদ শুরু করেছেন। ইরি বোর মৌসুমে মানুষের মাঝে যে ভাবে সাড়া জাগিয়ে ছিল বেগুনি পাতা ধান, ঠিক সে ভাবে আমন মৌসুমেও সাড়া জাগিয়েছে। তিনি মনে করেন ধানের পাতা এবং কান্ডের রঙ নিয়েও একটি গবেষণার বিষয় রয়েছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের আইপিএম কৃষক ক্লাবের কৃষাণী দুলালী বেগম ২০১৭ সালে বিভিন্ন ধান ক্ষেতে ভিন্ন রঙের দুই একটি করে শীষ দেখতে পায় এবং সেই শীষ থেকে সামন্য বীজ সংগ্রহ করে বোরো মৌসুমে মাত্র এক শতক জমিতে কৌতুহলবশত এই ধান চাষ করেন। চাষের পর ধানের রঙে ভিন্নতা দেখে তার কৌতুহল আরো বেড়ে যায় এবং উৎপাদিত ধান থেকে ২০১৮ সালে বোরো মৌসুমে তিনি স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি অফিসারের পরামর্শে প্রতি গোছাতে একটি করে চারা দিয়ে প্রায় ২৫ শতক জমিতে ওই ধানের আবাদ করে। ধানটি জাত এবং নাম না পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং কৃষি অফিসার মাষিক সমন্বয় সভায় রেজুলেশনের মাধ্যমে ধানটির নাম দেয়া হয় দুলালী সুন্দরী বেগুনি পাতা ধান।