মঙ্গলবার ● ২ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » চুয়েটের সাথে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সমঝোতা চুক্তি
চুয়েটের সাথে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সমঝোতা চুক্তি
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: (১৭ আশ্বিন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৫৪মি.) চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ফেব্রিকেশন ল্যাবরেটরি (ফ্যাব ল্যাব)-এর সাথে ভারতের অজয় কুমার জর্জ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একাটি দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতা স্মারক (Memorandum of Understanding-MoU) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ২ অক্টেবার দুপুর চুয়েটের জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে অবস্থিত অজয় কুমার জর্জ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে উক্ত সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের পক্ষে চুয়েট ফ্যাব ল্যাবের সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক এবং অজয় কুমার জর্জ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পক্ষে কলেজটির পরিচালক ড. আর.কে. আগরওয়াল উক্ত সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তির আওতায় অজয় কুমার জর্জ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে চুয়েট ফ্যাব ল্যাব ডিজিটাল ম্যানুফ্যাকচারিং, ইন্ডাট্রিয়াল অটোমেশন ও এডভান্সড ফেব্রিকেশন প্রভৃতি বিষয়ে আগামী ৩ বছর যাবতীয় কারিগরি সহায়তা লাভ করবে। এছাড়া যৌথভাবে ছাত্র-শিক্ষক আন্তঃবিনিময়, শিক্ষা-গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ, বাণিজ্যিক উদ্ভাবন ও স্টার্ট-আপ বৃদ্ধি এবং কনফারেন্স ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের সুযোগ থাকবে। ফলে চুয়েট ডিজিটাল উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি অত্যাধুনিক গবেষণা ও ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে গড়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।
চুক্তি স্বাক্ষর বিষয়ে চুয়েট ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, চুয়েটের শিক্ষা-গবেষণার দ্বারকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ভারতের বিখ্যাত ড. এ.পি.জে আবদুল কালাম টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির অধিভুক্ত কলেজ অজয় কুমার জর্জ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর তারই একটি প্রয়াস। এই চুক্তির আওতায় দুটি প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক আন্তঃবিনিময় ত্বরান্বিত করতে শিক্ষা-গবেষণা, উদ্ভাবন, উদ্যোক্তা তৈরি, ডিজিটাল ম্যানুফেকচারিং ও সৃজনশীল স্টার্ট-আপ তৈরি প্রভৃতি বিষয়ে সহযোগিতা এবং যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে। আশা করছি চুয়েটের শিক্ষার্থী ও সম্মানিত শিক্ষকগণ এই সূবর্ণ সুযোগ কাজে লাগিয়ে চুয়েটের জন্য তথা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।