রবিবার ● ৭ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি বিপাকে হাজার হাজার গ্রাহকরা
রাউজানে পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি বিপাকে হাজার হাজার গ্রাহকরা
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: (২২ আশ্বিন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩৫মি.) চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় চরম অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে । কর্মকর্তাদের মিটারের রিডিং লেখায় খামখেয়ালির কারণে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার গ্রাহক । গত জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়ে এখনো চলছে এই অনিয়ম, গত সেপ্টেম্বর মাসে মুন্সি মিয়া নামের এক গ্রাহক এর দেখাযায় তার প্রতি মাসে ১৮৮৯ টাকার বিলের পরিমান হয় কিন্তুু সে বিলের পরিমান সেপ্টেম্বর মাসে ৪৩৪৬ টাকা, তারা বিল নিয়ে রাউজান নোয়াপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ শাখার অভিযোগ করতে গেলে কোন রকম সমাধান পানি! এসময় অফিসের এক মহিলা বলেন এই মাসে সবার বিল বেশি অাচ্ছে, অামাদের কোনো কিছু করার নেই। অাবার দেখাগেছে অক্টোবর মাসে নাজির অালী নামের এক গ্রাহক এর নিয়মিত বিল ৩০০ টাকা থেকে ৫৬১ টাকা, গত সেপ্টেম্বর মাসে ব্যবহারকৃত বিদ্যুৎ ইউনিট এর পরিমান ছিল ১১০ সে মাসে বিলের পরিমান ৫৬১ টাকা, অক্টোবর মাসে বিলের পরিমান ১২৩১ টাকা ব্যবহারকৃত ইউনিট এর পরিমান ২২০ ইউনিট! শুধু নাজির অালী নয় হাজার হাজার গ্রাহক বিপাকে এই পল্লী বিদ্যুৎ এর অভিযোগ নিয়ে। বর্তমানে দোকান থেকে শুরু করে ঘর-বাড়ি এঘটনা ঘটেছে এনিয়ে এলাকা জুড়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে । অতিষ্ট হয়ে বার বার নানা অভিযোগ করেও কোনো প্রকার সমাধান না পাওয়া তারা যেকোনো সময় তীব্র আন্দোলন ডাক দেওয়ার হুশিয়ারী দিয়েছেন অনেক গ্রাহক। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের বেশ কয়টি গ্রামে গত ২ মাসে যেসব পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের প্রত্যেক মাসে ৯০ থেকে ১২০ ইউনিট ব্যবহারে এর বিল এসেছে সেই সব গ্রহকদের জুন, অাগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাসের বিল গত মাসের বিলের এর সাথে কোনো মিল নেই। এসব বিলে দেখাগেছে কয়েকগুণ বেশি ব্যবধান।
অর্থাৎ যেসব গ্রহকদের গত জুন জুলাই মাসে ৬৫ থেকে ১১০ ইউনিটের বিল এসেছে সেখানে গত অাগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাসের বিল এর কাগজে দেখা গেছে ১৯০ থেকে ৫৯৯ ইউনিট ব্যবহারে বিল লিখা আছে। এদিকে বিল প্রস্তুতকারী একজন অফিস কর্মকতার কাছে প্রেশ্ন করলে “মিটার ভাড়া ১০টা, রিবেট পূর্ববর্তী নীট বিলের ওপর ৫% ভ্যাট, ডিমান্ড চার্জ” কেন নেওয়া হয় তার কোন সঠিক উত্তর প্রয়োগ করতে পারেনাই তিনি। অন্যদিকে গ্রাহকরা বলছে অামার ক্রয়ের মিটার কিসের প্রতিবছর ১০টাকা করে ভাড়া দিতে হবে, অনেক সময় কোনো কারণে মিটার নষ্ট হলে সে মিটার অানতে খরচ হয় ২’হাজার থেকে ৩’হাজার টাকা পযন্ত, এর পরও ১০ টাকা ভাড়া, ডিমান্ড চার্জসহ ভ্যাট অামাদের দিতে হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ এর বিলের কাগজ হাতে নিয়ে দেখাযায় গত কয়েক মাসের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি বিলের পরিমাণের ব্যবধান দেখে মাথা ব্যাথা উঠে যায় গ্রাহকদের। এদিকে এলাকায় চায়ের দোকানে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে চলছে অালোচনা সমালোচনা ঝড়। পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারীদের খামখেয়ালির কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন রাউজানে হাজার হাজার গ্রাহক। নাজির হোসেন, ও পারভেজ চৌধুরী নামে এক গ্রাহকের বলেন তিনি বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেখিয়ে বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে আমার বিল এসেছে ১১০ ইউনিট ব্যবহারে কারণে ৫৬১ টাকা কিন্তু অক্টোবর মাসে বিদ্যুৎ বিল এর কাগজ হাতে নিয়ে দেখি ২২০ ইউনিট ব্যবহৃত বিল আসছে ১২৩১ টাকা। শুধু তিনি নয় এলাকার অধিকাংশ লোকজন অবাক এই রকম কর্মকান্ডে। রাউজানের অধিকাংশ পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক বলেন এভাবে চলতে দেয়া যায়না এটা অন্যায়, তারা অামাদের মানীয় প্রধানমন্ত্রী যে পরিশ্রম করে মানুষের ঘরে ঘরে অাজ বিদ্যুৎ এর সুবিধা করে দিয়েছে, তার সুনাম নষ্ট করতে কিছু অশাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা এসব অনিয়ম করে যাচ্ছে। এলাকাবাসীরা জানান এবিষয় কোন রকম একটি সুষ্ঠভাবে নিষ্পত্তি না হলে আমরা গ্রামবাসী কঠোর আন্দোলনের ডাক দেব ।
গ্রামের প্রতিটি পরিবারে এবার তুলনার চেয়ে অনেক বেশি বিল এসেছে এবিষয় সুষ্ঠভাবে নিষ্পত্তি না হলে আমরা গ্রামবাসী কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবে।