সোমবার ● ৮ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » বিলুপ্ত প্রায় ঢেঁকি শিল্প
বিলুপ্ত প্রায় ঢেঁকি শিল্প
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (২৩ আশ্বিন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.০০মি.) চালের পুষ্টিগুণ বজায় এবং ভাতের সুস্বাদ রক্ষায় ঢেঁকি ছাঁটা চালের বিকল্প হয় না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মনে করেন ঢেঁকি ছাঁটা চাল নানাবিধ রোগের এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করছিল। এছাড়া সংসারের ছোটখাট উপকরণ ঢেঁকির মাধ্যমে গুড়া করা হত। সেই ঢেঁকি শিল্প এখন বিলুপ্ত প্রায়। গ্রাম-গঞ্জের কোথাও আর ঢেঁকি শিল্প খুঁজে পাওয়া যায় না। আজ থেকে ২৫ হতে ৩০ বছর আগে গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি বাড়িতে ঢেঁকি ছিল। হলুদ, মরিচ, আদা, রসুন, পিঠার তৈরির আটা, বিভিন্ন প্রকার কালাই, চিড়াঁ, গম ভাঙার কাজে ঢেঁকির ব্যবহার ছিল ব্যাপক।
আধুনিক বিজ্ঞানের ছোঁওয়ায় দিনের পর দিন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। কথা হয় শান্তিরাম ইউনিয়নের আশি বছর বয়সের বৃদ্ধ আলহাজ্ব মোজাহার আলীর সাথে। তিনি বলেন ঢেঁকি ছাঁটা চালের পান্তা খাওয়ার মজাই আলাদা। চালের উপরে বাদামী রঙের ছালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। বর্তমান চালের রঙ ধব ধবে সাদা। তিনি বলেন ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত যখন আমরা খেয়েছি তখন এত বেশি অসুক ছিল না। সেই আমলে বিয়ে বাড়ির সকল মসলা ঢেঁকির মধ্যে গুড়া করা হত।
অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সফিউল হোসেন বলেন, ঢেঁকি ছাঁটা চালের রঙিন প্রলেভের মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। যা শরীরের এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করত। বর্তমান বাজারে যে সব চাল বিক্রি করা হচ্ছে তাতে রয়েছে ক্যামিকেল মিশানো। যা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে থাকে। মেশিনের সাহায্যে যে ভাবে চাল কেঁটে চিকন করা হচ্ছে তাতে করে চালের মধ্যে কোন প্রকার পুষ্টিগুণ থাকছে না। যার কারণে চালের মাধ্যমে মানুষের শরীরে বিভিন্ন প্রকার রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে।