শিরোনাম:
●   শ্রমিকরা স্বস্তিতে না থাকলে সরকারেও স্বস্তি আসবেনা ●   মিরসরাই আসনে সংসদ নির্বাচনে লড়তে চান সাবেক এমপি পুত্র এমদাদ খন্দকার ●   একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর : গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি ●   আত্রাইয়ে এক্স-স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের উদ্যোগে গণিত উৎসব অনুষ্ঠিত ●   ঘোড়াঘাটে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার স্ত্রী আটক ●   শীতের আগমনী বার্তায় খেজুর রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরিতে ব্যস্ত গাছিরা ●   ঝালকাঠি থানায় ৫৯ জনের নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা ●   কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৭তম জন্মদিনের উদ্বোধন ●   ব্যাংকের ম্যানেজারকে মারধর করে ভল্টের চাবি ছিনতাই ●   খাগড়াছড়িতে জাপান এশিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসইটির উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ ●   একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতা পেশায় ৫৫ বছর পূর্ণ উপলক্ষে সিএইচটি মিডিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ●   জয়পুরহাটে কাপড় ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার ●   পার্বতীপুরে সিয়াম ফুটবল গোল্ডকাপ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে চুরি ও ডাকাতি মামলার ৩ আসামী গ্রেফতার ●   চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ালীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারসহ গ্রেফতার-৪ ●   রাউজানে চার ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ●   এনসিটিএফ রাঙামাটির বার্ষিক সাধারণ সভা ●   ঈশ্বরগঞ্জে সুজনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত ●   ছোটহরিণায় ১২ বিজিবি এর টহলদলের অভিযানে ১০৭৪ ঘনফুট সেগুন কাঠ উদ্ধার ●   জয়পুরহাটে মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা মামলায় তিন জনের যাবজ্জীবন ●   সদ্য পুনর্গঠিত খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ●   রাঙামাটিতে সুজনের ২২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন ●   ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘোষিত প্রজ্ঞাপন বাতিল করা না হলে কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে ●   রাউজানে মাদ্রাসা শিক্ষাকের লাশ উদ্ধার ●   হত্যা মামলার পলাতক আসামি অন্তর্বর্তী রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য, ওসি বললেন কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করবো ●   সাংবাদিকদের সাথে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডারের মতবিনিময় ●   পিসিজেএসএস সন্তু গ্রুপ কর্তৃক মিটন চাকমাকে হত্যার ঘটনায় চার সংগঠনের নিন্দা ●   আজ শপথ নিলেন আরও তিন উপদেষ্টা ●   কাপ্তাই লেকের ড্রেজিং হওয়া জরুরী : সুপ্রদীপ চাকমা ●   পানছড়িতে সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফ এর সংগঠক মিটন চাকমা হত্যার নিন্দা
রাঙামাটি, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ন ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শুক্রবার ● ১২ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » গ্রামবাংলার জনপ্রিয় গরুর গাড়ি এখন শুধুই স্মৃতি
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » গ্রামবাংলার জনপ্রিয় গরুর গাড়ি এখন শুধুই স্মৃতি
শুক্রবার ● ১২ অক্টোবর ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

গ্রামবাংলার জনপ্রিয় গরুর গাড়ি এখন শুধুই স্মৃতি

---এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট অফিস :: (২৭ আশ্বিন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় দুপুর ২.৪১মি.) দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গ্রামবাংলার জনপ্রিয় গরুর গাড়ি এখন শুধুই স্মৃতি! কালের বির্বতনে আধুনিকতার স্পর্শে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী আঁকাবাঁকা মেঠো পথে ধীরে ধীরে বয়ে চলতো আর সেই গরুর গাড়ী এখন আর চোখে পড়ে না। যা একসময় আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাহন হিসেবে প্রচলিত ছিল এবং গ্রাম বাংলায় গরুর গাড়ীই যোগাযোগের একমাত্র বাহন ছিল।
সময়ের বিবর্তনে আজ গরুর গাড়ী চালক (গাড়ীয়াল) না থাকায়, হারিয়ে যাচ্ছে চিরচেনা গাড়িয়াল ভাইয়ের কণ্ঠে সেই অমৃত মধুর সুরের গান। গাড়ী চালানোর সময় আনন্দে গাড়ীয়ালরা গাইতো ‘ও কি গাড়িয়াল ভাই কত রব আমি পন্থের দিকে চাইয়া রে..’ এখন আর চাইয়া থাকলেও গরুর গাড়ী চোখে পড়ে না। আর গানও গায়না গাড়ীয়ালরা।
এক সময় জনপদে এই বাহনের সরগরম অস্তিত্ব ছিল, সর্বত্র কদরও ছিল গরুর গাড়ীর। মাত্র দুই যুগ আগেও পণ্য পরিবহন ছাড়াও বিবাহের বর-কনে বহনে বিকল্প কোন বাহন কল্পনাই করা যেত না। যেসব পরিবারে গরুর গাড়ী ছিল, তাদের কদরের সীমা ছিল না। কৃষকরা প্রতিদিন ফজরের আজানের আগে গরুর গাড়ীতে কখনো জৈবসার (গোবর সার) কখনো গরুর খাবার ও লাঙ্গল-মই- জোয়াল নিয়ে মাঠে যেত। সুপ্রাচীনকাল থেকে দেশের গ্রামীণ জনপদে যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে গরুর গাড়ির বহুল প্রচলন পরিলক্ষিত হতো। পায়ে চলার পথে মানুষ পশুর শ্রমে চলিত গরুর গাড়ী যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ও বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহনে প্রধান বাহন হিসেবে ব্যবহার করত প্রাচীনকাল থেকেই। এখন আর তাকিয়ে থাকলেও গরুর গাড়ীও চোখে পড়ে না। আধুনিকতার দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ী। সেই সাথে হারিয়ে যাচ্ছে গাড়ীয়াল পেশাও। যা একদা ছিল বংশ পরম্পরায়। সময় অতিবাহিত হবার সাথে সাথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের ধারকবাহক অনেক বাহনেরই আমূল পরিবর্তন, আধুনিকায়ন সাধিত হয়েছে।
আমাদের বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবিরের পাঠানো তথ্যর ভিতিতে জানা যায় সরেজমিনে মতবিনিময় কালেএ বিষয়ে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বাসিন্দা মো. জহিরুল ইসলাম ওমো: আবুল হোসেন বলেন, আমরা নিজেদের ব্যাবহারের জন্য যেমন প্রাইভেটকার বা মটরসাইকেল ক্রয় করে থাকি, ঠিক তেমনি আগে গ্রামের লোকজন গরুর গাড়ী তৈরী করে বাড়ীতে রাখতেন। আপদ-বিপদে তা তারা বাহন হিসেবে ব্যবহার করতেন। গরুর গাড়ী এখন শুধুই স্মৃতি। গরুর গাড়ী এখন থেকে স্মৃতির জাদুঘরে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমরা চাই জাদুঘরে খুব যতœ ও গুরুত্বের সাথে এটি সংরক্ষণ করা হোক। কারণ আধুনিকায়নের কাছে এটি এখন মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। আগামী প্রজন্মের জন্য এগুলো ইতিহাস হয়ে থাকবে।দুই যুগ আগে গরুর গাড়িতে চড়ে বর-বধূ যেত। গরুর গাড়ি ছাড়া বিয়ে হতো না। বিয়ে বাড়ি বা মাল পরিবহনে গরুর গাড়ি ছিল একমাত্র পরিবহন বাহন। বরপক্ষের লোকজন বরযাত্রী ও ডুলিবিবিরা বিয়ের জন্য ১০ থেকে ১২টি গরুর গাড়ির ছাওনি (টাপর) সাজিয়ে শ্বশুরবাড়ি ও বাবার বাড়ি আসা-যাওয়া করত। রাস্তাঘাটে গরুর গাড়ি থেকে পটকাও ফুটাত। যে সব পরিবারে গরুগাড়ি ছিল, তাদের কদরের সীমা ছিল না। কৃষকরা প্রতিদিন ফজরের আজানের আগে গরুর গাড়িতে কখনো জৈব সার তথা গোবরের সার, কখনো গরুর খাবার ও লাঙ্গল-মই-জোয়াল নিয়ে যেত মাঠে। গাইত উঁচু সুরে গাইত, ‘ওকি গাড়িয়াল ভাই, কত রবো আমি পন্থের বিধি…’।
গরুর গাড়ির চালককে বলা হয় গাড়িওয়াল। আর তাই চালক উদ্দেশ্য করে বলত, ‘ওকি গাড়িয়াল ভাই, আস্তে বোলাও গাড়ি, আরেক নজর দেখিবার নাও মুই দয়ার বাপের বাড়িরে গাড়িয়াল’। ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের রাস্তা পাড়ি দিয়ে কৃষকেরা জমি চাষাবাদ এবং মালামাল বহনের জন্য গরুর গাড়ি বাহন হিসেবে ব্যবহার করত। অনেক অঞ্চলে রাস্ত পাকা না থাকায় এক সময় যান্ত্রিক যানবাহন চলাচল করত না। ফলে গরুর গাড়িই ছিল একমাত্র ভরসা। তবে বর্তমানে নানা ধরনের মোটরযান চলাচলের কারণে অপেক্ষাকৃত ধীর গতির এই যানটির ব্যবহার অনেক কমে এসেছে। তাই এখন আর তেমন চোখে পড়ে না।
বর্তমান যুগ হচ্ছে যান্ত্রিক যুগ। মানুষ বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় মালামাল বহনের জন্য বাহন হিসেবে ব্যবহার করছে ট্রাক, পাওয়ার টিলার, লরি, নসিমন-করিমনসহ বিভিন্ন মালগাড়ি। মানুষের যাতায়াতের জন্য রয়েছে মোটরগাড়ি, রেলগাড়ি, বেবিট্যাক্সি, অটোরিকশা ইত্যাদি। ফলে গ্রামাঞ্চলেও আর চোখে পড়ে না গরুর গাড়ি। অথচ গরুর গাড়ির একটি সুবিধা হলো, এতে কোনো জ্বালানি লাগে না। ফলে ধোঁয়া হয় না। পরিবেশের কোনো ক্ষতিও করে না। এটি পরিবেশবান্ধব একটি যানবাহন।
রিকশা বা ঠেলাগাড়ির মতো গরুর গাড়িও একটি পরিবেশবান্ধব যান। এতে কোনো জ্বালানি খরচ নেই। শব্দ দূষণ নেই। তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ এসব কিছুই এই যানে ব্যবহার হয় না। এই গরুর গাড়ি ধীর গতিতে চলে বলে তেমন কোনো দুর্ঘটনাও নেই। কিন্তু যুগের পরিবর্তনে আমাদের প্রিয় এই গরুরগাড়ি প্রচলন আজ হারিয়ে যাচ্ছে।





খুলনা বিভাগ এর আরও খবর

কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৭তম জন্মদিনের উদ্বোধন কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৭তম জন্মদিনের উদ্বোধন
কুষ্টিয়ায় সেশন ফি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ কুষ্টিয়ায় সেশন ফি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ
বিজিবির অভিযানে অস্ত্র মাদকসহ চার জন আটক বিজিবির অভিযানে অস্ত্র মাদকসহ চার জন আটক
কুষ্টিয়াতে আাধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা কুষ্টিয়াতে আাধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজের ৩৪ ঘণ্টা পর এএসআই সদরুলের মরদেহ উদ্ধার কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজের ৩৪ ঘণ্টা পর এএসআই সদরুলের মরদেহ উদ্ধার
কুষ্টিয়া পদ্মা নদীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় ২ পুলিশ সদস্য নিখোঁজ কুষ্টিয়া পদ্মা নদীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় ২ পুলিশ সদস্য নিখোঁজ
মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার অপকর্ম ঢাকতে বিএনপির নামে মিথ্যাচার মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার অপকর্ম ঢাকতে বিএনপির নামে মিথ্যাচার
বিএনপি’র টিকিট পেতে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার শেখ সাদী বিএনপি’র টিকিট পেতে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার শেখ সাদী
লালন সাঁইয়ের তিরোধান দিবসের ৩ দিনের উৎসব শেষ লালন সাঁইয়ের তিরোধান দিবসের ৩ দিনের উৎসব শেষ
কুষ্টিয়াতে তিন দিনব্যাপী লালন মেলা আজ শেষ হল কুষ্টিয়াতে তিন দিনব্যাপী লালন মেলা আজ শেষ হল

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)