শুক্রবার ● ১২ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে বিশ্ব ডিম দিবস পালন
রাঙামাটিতে বিশ্ব ডিম দিবস পালন
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (২৭ আশ্বিন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় দুপুর ২.৫১মি.) প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন, সর্বোপরি ডিমের গুণাগুন সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে “সুস্থ সবল জাতি চাই, সব বয়সেই ডিম খাই” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাঙামাটিতে বিশ্ব ডিম দিবস-২০১৮ উদযাপিত হয়েছে । দিবসটি উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয় ।
আজ শুক্রবার ১২ অক্টোবর সকালে রাঙামাটি জেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের আয়োজনে প্রাণীসম্পদ কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রাণীসম্পদ দপ্তরের প্রশিক্ষনভবনে গিয়ে শেষ হয়ে এক আলোচনাসভায় মিলিত হয়।
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মনোরঞ্জন ধর এর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রাণীসম্পদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া।
এ সময় রাঙামাটি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাচিং মারমা, নানিয়ারচর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: অমর জ্যোতি চাকমা ও খামারী স্বর্ন কিশোর চাকমা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা ও ডিমের পুষ্টিগুন সর্ম্পকে প্রজেক্টরের মাধ্যমে সভায় উপস্থাপন করেন জেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা: দেবরাজ চাকমা।
আলোচনাসভা প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া বলেন, সমাজ থেকে ডিম খাওয়া নিয়ে যেসব কুসংস্কার রয়েছে তা দূর করে সুস্থ্য থাকার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য হিসেবে ডিমের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এখনও বিভিন্ন সমাজের অনেকেই মনে করে পরীক্ষার সময় ডিম খাওয়া যাবেনা। এটি একটি নিছক ভুল ধারনা। তিনি বলেন, ডিমে সুলভ মূল্যে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন পাওয়া যায়। ডিম খাওয়ার ফলে দুশ্চিন্তা ও চাপ কমানোর পাশাপাশি চামড়া মসৃন করে এবং চোখ সুরক্ষা, সুন্দর দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে। এক কথায় আমাদের সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ডিম খাওয়া প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, পরিবারের প্রোটিনের চাহিদা পূরণে ডিমের বিকল্প নেই। তিনি সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন এলাকা ও বিশেষ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ডিমের পুষ্টি ও গুণাগুন সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
র্যালি ও আলোচনাসভায় জেলা ও উপজেলার খামারি এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।