শুক্রবার ● ১২ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » ফরিদার মেডিকেলে পড়ার দায়িত্ব নিলেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক তানজিয়া সালমা
ফরিদার মেডিকেলে পড়ার দায়িত্ব নিলেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক তানজিয়া সালমা
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (২৭ আশ্বিন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকল ৪.০৮মি.) গাইবান্ধার মেয়ে মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া ফরিদা আকতারের দায়িত্ব নিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক তানজিয়া সালমা। গত বুধবার (১০ অক্টোবর) সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকমসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘টাকার অভাবে মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত, রিক্সাওয়ালার মেয়ে ফরিদার’ খবর প্রকাশিত হলে তা গাইবান্ধার মেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-১ যুগ্ম-সচিব নিলীমা আক্তার বাণীর দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি অদম্য মেধাবী ফরিদা আকতারের পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক তানজিয়া সালমাকে বার্তা পাঠান।
নিলীমা আক্তার বাণীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ফরিদার স্বপ্ন পুরণে এগিয়ে এসেছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক তানজিয়া সালমা। ইতোমধ্যে ফরিদার বাবা হতদরিদ্র রিক্সাচালক ফরিদ আহম্মেদ বাকীকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগাযোগের জন্য গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ফরিদা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের জরমনদী গ্রামের হতদরিদ্র রিক্সাচালক ফরিদ আহম্মেদ বাকী ও গৃহিণী সামিনা বেগমের মেয়ে। পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিলাভ করার পর ফরিদা আকতার জানিয়েছিল ভবিষ্যতে তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নের কথা। সে এবার রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৬৭.৫ পয়েন্ট পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়।ফরিদার বাবা ফরিদ আহম্মেদ বাকী হতদরিদ্র রিক্সাচালক। গাইবান্ধা পৌরসভার থানাপাড়ায় অন্যের বাড়িতে আশ্রিত থেকে জেলা শহরে রিক্সা চালান তিনি। ২ মেয়ে ও ১ পুত্র সন্তানকে লেখাপড়া শিখিয়ে শিক্ষিত করতে সর্বোচ্চ পরিশ্রম করছেন তিনি। কিন্তু বড়মেয়ে ফরিদার মেডিকেলে ভর্তি ও পড়ার খরচ যোগানোর বিষয়ে তার সামান্য রোজগার ও আর্থিক সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি শিক্ষানুরাগী, বিত্তবান, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা এবং কল্যাণমুখী সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা চান।