শনিবার ● ১৩ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » বগুড়া » বগুড়াতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সংখ্যালঘু পরিবারের সাংবাদিক সম্মেলন
বগুড়াতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সংখ্যালঘু পরিবারের সাংবাদিক সম্মেলন
বগুড়া প্রতিনিধি :: (২৮ আশ্বিন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৪২মি.) আজ শনিবার সকালে বগুড়া প্রেসক্লাবে গাবতলীর তপন সরকারকে ‘হত্যা করে লাশ গুম করিবে এবং তাকে গ্রামছাড়া করা’সহ জীবন নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে প্রতিপক্ষ দক্ষিনপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মনোরঞ্জনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন অসহায় তপন ও তার পরিবারের সদস্যরা। তপন দক্ষিনপাড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণচন্দ্রপুরের মাধুরামপাড়া গ্রামের মৃত রনজিতের পুত্র।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তপন সরকার বলেন, তার পিতা রনজিত মৃত্যুপূর্বে তাকে বেশ কিছু জমি দলিল করে দেন। এতে করে খগেন্দ্র ও দক্ষিনপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ফলে তার সঙ্গে খগেন্দ্র ও মনোরঞ্জনের পূর্বশত্রুতার বিরোধ চলে আসছে। এর ফলে জমিজমা নিয়ে আদালতে ৬১/১২ইং মামলা হলে বগুড়ার সহকারী জজ আদালত তপনের পিতা-মাতা ও তার পক্ষে রায় প্রদান করেন। এতে করে মনোরঞ্জন ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর নেতৃত্বে ১৫/২৫জনের লাঠিয়ান বাহিনী, দুষ্মকৃতিকারী, মাদক বিক্রেতা ও সম্রাট এবং ভূমিদস্যুদের তপনের পিছনে লেলিয়ে দিয়ে একটি দলিল সৃষ্টি করে। এর জেরধরে খগেন্দ্রের নেতৃত্বে আরিফুল, ফজল, তাহের, হামিদুল গত ২ সেপ্টেম্বর ১৮ইং তপনের বাড়ী থেকে জোরপূর্বক ৩টি গাভী ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জেলা বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে খগেন্দ্র কে প্রধান আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলানং ৩২৫সি/১৮(গাব)। এছাড়াও দক্ষিনপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মনোরঞ্জনের নেতৃত্বে গত ২৭শে ফেব্রুয়ারী ২০০৯ইং তপনের নিকট জোরপূর্বক ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করা হয়। তপন চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁরা তপনকে হত্যার উদ্যোশে তার উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে জখম করে। এ ঘটনায় তপনের স্ত্রী রানু বালা বাদী হয়ে মনোরঞ্জন কে প্রধান আসামী করে একটি মামলা মামলা দায়ের করা হয়। মামলানং জিআর ৪০/২০০৯ইং (গাবতলী)। এরপরেও মনোরঞ্জন’সহ তাঁর লোকজন ও সন্ত্রাসী বাহিনীরা এখনো থেমে নেই বরং তারা জোরপূর্বক তারভাই চন্দনের ১৯শতক জমি থেকে শ্যালো মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তলন করেছে। এ ঘটনায় লতিফ, এলাহী ও জয়ফুল’কে অভিযুক্ত করে বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এমনকি মনোরঞ্জনের ইন্দুনে আরিফুলের নেতৃত্বে তপন’সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের পূর্জা-অর্চনা পালনে নির্মিত সার্বজনিন কালি মন্দিরের ঘর ও প্রতীমা ভাংচুর করা হয়েছে। এতে তপন নিরুপায় হয়ে গত ০৮জুন ১৫ইং জেলা বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ১০১/সি১৫ (গাব)। এছাড়াও মনোরঞ্জনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তপনের বাশ, গাছ এবং শশ্মানের গাছও কর্তন করছে। এমনকি তপনের পুকুরের মাছ চুরি করে বিক্রি করবে ও জমির পাকা ধান জোরপূর্বক কর্তন করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। মনোরঞ্জনের নেতৃত্বে তার গড়েতোলা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তপন ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে লাশ গুম করবে। বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতি সাধন করবে এবং গ্রাম ছাড়া করার হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। এতে করে তপন ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি বলে সাংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়। ফলে তপন’সহ তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ফলে বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও বগুড়া পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
এ সময় সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইনতাজ উদ্দিন ব্যাপারী, খায়রুল ইসলাস, সবুজ কুমার ও বিশ্বজিৎ সরকার প্রমূখ