রবিবার ● ১৪ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে শ্রমিক-জাপার মধ্যে উত্তেজনা
বিশ্বনাথে শ্রমিক-জাপার মধ্যে উত্তেজনা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (২৯ আশ্বিন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৩৭মি.) বিশ্বনাথে কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টি যুগ্ম-মহাসচিব ও স্থানীয় এমপি ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এহিয়া কর্তৃক ট্রাক চালক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় আজ রবিবার বিকেলে পরিবহন শ্রমিক ও জাতীয় পার্টির মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। উভয় পক্ষ আজ রবিবার বিকেলে পাল্টা-পাল্টি বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষনা দেয়। বেলা ৩টায় উভয় পক্ষ উপজেলা সদরে মিছিল বের করার প্রস্তুতি নেয়। উপজেলা সদরের পুরান বাজারস্থ এলাকায় জাপা নেতারা অবস্থান নেন এবং পরিবহন শ্রমিকরা উপজেলা সদরের নতুন বাজারস্থ এলাকায় অবস্থান নেন। এতে উপজেলা সদরের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ উপজেলা সদরের অবস্থান নেয়। বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী পুলিশি হস্তক্ষেপে পন্ডু হয়। ফলে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হয়। উপজেলা সদরের পুলিশি টহল আর দু-পক্ষের কর্মসূচীকে ঘিরে আতংকে দিন কাটে পথচারী-ব্যবসায়ীসহ জনসাধারণের।
এব্যাপারে উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক একে এম দুলাল বলেন, আজ রবিবার বিকেল ৩টায় আমাদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল ছিল। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আমাদের কর্মসুচি আপতত বাতিল করা হয়েছে।
বিশ্বনাথ উপজেলা পরিবহন শ্রমিক ঐক্যজোটের সভাপতি ময়না মিয়া বলেন, জাপা মিছিল দিবে এমন খবর শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পরে শ্রমিকরা মিছিল দেয়ার সিন্ধান্ত গ্রহন করে। এসময় থানার ওসি সাহেব আমাকে থানায় ডেকে নিয়ে বিষয়টি দেখে দিবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, উত্তেজনার খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়। এতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে এক টেবিলে বসা হবে। বর্তমানে উভয় পক্ষ শান্ত রয়েছে। এলাকায় কেউ কোন ধরণের অস্থীতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্ট করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ‘বিশ্বনাথ-শিমুলতলা-পনাউল্লা সড়ক’ ব্যবহার করে গন্তব্যে যাওয়ার পথিমধ্যে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের প্রবাসী ইসলাম উদ্দিনের বাড়ির সামনে সড়ক দখল করে ট্রাক (ঢাকা মেট্টো-ট ১৬-৫৬৫৬) দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নিজের গাড়ি থেকে নামেন স্থানীয় এমপি ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এহিয়া। এসময় এমপি সেই ট্রাক চালক ছোট রাস্তা দিয়ে ওভার লোড নিয়ে মালবাহী ট্রাক আসার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। এর এক পর্যায়ে ওই ট্রাক চালককে তিনি লাঞ্চিত করেন এবং যাওয়ার সময় তিনি (এমপি) হুমকি দিয়ে যান যে ফেরার পথিমধ্যে (বিশ্বনাথে) ট্রাক ফেলে যারা (জনগণ’সহ) সেখানে থাকবেন তাদের সবাইকে পুলিশে ধরিয়ে দেবেন।
এরপর প্রতিবাদে শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় পরিবহন শ্রমিক নেতারা উপজেলা সদরে ঝাঁড়– মিছিল ও বিক্ষোভ করে এমপিকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন। এরপর ওই রাত ১২টায় জাপা নেতৃবৃন্দ পাল্টা মিছিল ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে উপজেলা সদরের বাসিয়া ব্রিজে বিক্ষোভ করেন। তারা এমপির বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র বন্ধের জন্য ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন।