বুধবার ● ১৭ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষকের শাস্তি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষকের শাস্তি
সিলেট প্রতিনিধি :: (২ কার্তিক ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.১০মি) যৌন নিপীড়নের শিকার এক ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক শিক্ষক এবং সহকর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে দুই শিক্ষককে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
আজ ১৭ অক্টোবর বুধবার সকালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১০ তম সিন্ডিকেট সভায় চারজন শিক্ষককে বিভিন্ন কারণে শাস্তি দেয়া হয়। এরা হলেন সহকারী প্রক্টর ও অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্লাবন চন্দ্র সাহা, পেট্টোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো রফিকুল ইসলাম ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. হাবিবুল আহসান।
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, যৌন নিপীড়নের শিকার এক ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী প্রক্টর ও অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্লাবন চন্দ্র সাহাকে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এছাড়া তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রকে এ ব্যাপারে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে সহকর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে পিএমই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া একই কারণে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো রফিকুল ইসলাম অধ্যাপক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করার এক বছর পর অধ্যাপক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়া সহকর্মী বেশ কয়েকজন শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগের ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে সত্য প্রমাণিত হওয়ায় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে থাকা অধ্যাপক ড. হাবিবুল আহসানকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সিন্ডিকেটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে মুঠোফোনে অধ্যাপক ড. হাবিবুল আহসানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে ইচ্ছুক নয় বলে জানান।
অপরদিকে অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সিন্ডিকেটের কোন সিদ্ধান্তের বিষয়ে এখনো কিছু জানি না।’ সহযোগী অধ্যাপক ড. মো রফিকুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক প্লাবন চন্দ্র সাহাকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।