শনিবার ● ২০ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » স্বামীকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা
স্বামীকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: (৫ কার্তিক ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩২মি) চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলায় তালাক দেওয়া স্বামীকে ভাড়া বাসায় ডেকে এনে ফখরুল ইসলাম নামের যুবককে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী উম্মে হাবিবা মায়া ও শাশুড়ি রাশেদা বেগম, ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।
এই হত্যা চেষ্টার জড়িত থাকায় পুলিশকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে স্ত্রী ও শাশুড়ি’কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে যায়। গতjকাল ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় ফকরুল এর ভাই নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে আসামীদের অভিযুক্ত করে হত্যা চেষ্টার রাউজান থানায় একটি মামলা করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পৌরসভার গহিরা তাহের ভবনের তৃতীয় তলার ভাড়া বাসায় নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যার চেষ্টার এ ঘটনা ঘটে। ফখরুল গহিরার মোবারকখীল গ্রামের (খালদার খাঁন চৌধুরী বাড়ী) ২নং ওয়ার্ডের জনৈক তাজুল ইসলামের পুত্র। উম্মে হাবিবা মায়া গহিরা ইউনিয়নের দলই-নগর গ্রামের প্রবাসী আবু বক্কর বাবুলের কন্যা।
স্থানীয় লোকজন ও ফকরুল এর ছোট ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, মুঠো-ফোনে ডেকে নিয়ে যান তার ভাইকে শাশুড়ি বাসায় সন্ধ্যায় গেলে ধারণা করা হচ্ছে নাস্তার সাথে নেশা জাতীয় কিছু সেবন করে, ফকরুল কে তারা গলায় চুরি দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। ছোট ভাই নজরুল ধারণা করের অারো বলেন তারা অামার ভাইকে মেরে-ফেলে অাগের কোন ছেলের সাথে সম্পর্ক অাছে তার সাথে বিয়ে দিতে এমন ঘটনা ঘটাতে চেয়ে তারা ব্যর্থ হয়ে বাসায় আগুন লাগিয়ে দেন। ওই বাসায় হৈ চৈ শব্দ শুনে এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে দেখে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় ফখরুল পড়ে কাতরাচ্ছে। এলাকার লোকজন আহত ফখরুলকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে পাটালে তার অবস্থা খারাপ হওয়া পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা-লড়ছে ফখরুল।
জানা যায়, গত রমজানের আগে ফখরুলের সাথে মায়ার বিয়ে চূড়ান্ত হয়। কিন্তু কনের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন বিয়ে ভেঙ্গে দেয়। পরে তারা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে দু’জন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর মায়া শ্বশুড়বাড়ি কাটিয়ে এক সময় বাপের বাড়িতে যায়। তখন বিভিন্ন অজুহাতে তিনি আর স্বামীর ঘরে আসেনি। এই নিয়ে তাদের মধ্যে তিক্ততার সৃষ্টি হয়। দুই পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। এক সময় স্বামীকে তালাক দেয় মায়া। স্বামীর কাছ থেকে দেন মোহর আদায় করতে আটকে রাখে স্বামীর ভিসাযুক্ত পাসপোর্ট। এই নিয়ে হয় শালিস করা হয়। পরে সামাজিক বৈঠকে দেন মোহর পরিশোধের সমঝোতায় ফখরুলের পক্ষে মায়ার দেন মোহর বাবদ একটি ব্যাংক চেক প্রদান করে। এরপর দুই পক্ষে চুক্তিপত্র হলে পাসপোর্ট ফেরত দেয়। পাসপোর্ট পেয়ে ফখরুল ওমানে চলে যায়। মায়ার পরিবারের দাবি ওই চেকে তারা টাকা উত্তোলন করতে পারেনি। কিছুদিন আগে ফখরুল দেশে ফিরলে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর সাথে তার আবার ফোনে যোগাযোগ বাড়ে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মায়াদের বাসায় যায়। সেখানেই তিনি এই ঘটনার শিকার হন।
এ ব্যাপারে রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেপায়েত উল্লা সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধকে জানান, ওই উম্মে হাবিবা মায়া ও তার মাতা রাশেদা আকতার প্রবাসী স্বামী ফখরুল ইসলামকে জবাই করে হত্যার প্রচেষ্টা চালায় । পাশাপাশি ফকরুল এর ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ের গতকাল শুক্রবার মায়া ও রাশেদার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার একটি মামলা দায়ের করেন। আসারমী করা হয়েছে অারো অজ্ঞাতনামা ৪ জনকে মামলা করা হয়।