রবিবার ● ২১ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » আসছে প্রবারণা পূর্নিমা : পাহাড়ে উৎসবের আমেজ
আসছে প্রবারণা পূর্নিমা : পাহাড়ে উৎসবের আমেজ
রুমা (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: (৬ কার্তিক ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.২৮মি) আগামী ২৪ অক্টোবর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা বা বৌদ্ধ পূর্ণিমা। আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা থেকে আশি^ন মাসের পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বর্ষাব্রত পালন করেন, অর্থাৎ আসছে আশি^নী পূর্ণিমা তিথি বর্ষাব্রত পালনের শেষ দিন এবং সেদিনই তারা প্রবারণা পালন করবেন। এ উৎসবকে ঘিরে পাহাড়ি পল্লীতে চলছে জোড় কদমে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। বান্দরবানের রুমায় প্রায় শতাধিক পাহাড়ি পল্লীতে প্রবারণা পূর্ণিমার আয়োজন চলছে।
উৎসবকে ঘিরে স্থানীয় বাজারগুলোতে চলছে কেনাকাটার ধূম। তিন দিন ব্যাপী সাংস্কুতিক অনুষ্ঠান, পিঠা উৎসব, ফানুস ওড়ানো, প্রদীপ প্রজ¦লন, অতিথি আপ্যায়ন সহ বিভিন্ন বর্ণিল আয়োজনে সাজবে পাহাড়ি পল্লীগুলো। রুমা উপজেলার সদর এলাকায় চলবে স্থানীয় প্রবারণার বৃহত্তম আয়োজন, সেখানে রথ টানা এবং সাংগু নদীতে বিসর্জনের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটবে এবারের আয়োজনের। রথ টানা প্রবারণা উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ, রথকে বৌদ্ধ বিহার এবং বৌদ্ধ পল্লীগুলোতে ঘুরিয়ে ভক্তদের হাজার প্রদীপ প্রজ¦লনের মাধ্যমে বিসর্জন দেয়া হবে। প্রবারণার আরেকটি উৎসবময় দিক হচ্ছে ফানুস ওড়ানো, বৌদ্ধ শাস্ত্র মতে ফানুস ওড়ানোর উদ্দেশ্য হলো আকাশে ভাসমান গৌতমের পবিত্র কেশ ধাতুকে প্রদীপ দিয়ে বন্দনা করা। শাস্ত্রে লেখা আছে সিদ্ধার্থ গৌতম মাথার এক গুচ্ছ চুল কেটে বলেছিলেন তিনি যদি সিদ্ধিলাভের উপযুক্ত হন তাহলে তার কর্তিত চুল যেন নিম্নে পতিত না হয়ে উর্দ্ধে উঠে যায় এবং চুল গুচ্ছ দমকা বাতাসে উড়ে গিয়েছিলো। তার এই কেশ ধাতু পূজার স্মৃতি স্বরূপ আকাশে ফানুষ ওড়ানো হয়।
প্রবারণার বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে বৌদ্ধ নর নারীরা সূচী শুভ্র হয়ে পরিচ্ছন্ন পোশাকে বৌদ্ধ বিহারে সমবেত হওয়া, বুদ্ধকে পূজা দেয়া, ভিক্ষুদের দান ও আহার্য দেয়া, অষ্টশীল ও পঞ্চশীল গ্রহণ, দুপুরে বিহারে ভাবনা এবং বিকেল আয়োজিত ধর্মসভায় অংশগ্রহণ। এছাড়াও রয়েছে নবীনদের দ্বারা প্রবীণদের প্রণাম, ছোটদের আশির্বাদ, সমবয়সীরা কোলাকুলি করা ইত্যাদি; এদিন গৃহীরা ঘরে ভাল ভাল রান্নাও করে থাকেন।
বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে প্রবারণার গুরুত্ব ও র্মযাদা মহান ও তাৎর্পযমণ্ডতি । তাই প্রবারণা উদযাপনে বলা হয়, পাপ ও অশুভর্কম থকেে মুক্ত থাকার জন্য এই ব্রতর্কমরে সাধনা। জীবন গঠনরে ক্ষত্রেে এবং সত্যনষ্ঠি ধ্যান সমাধরি ক্ষত্রেে এর কোনো বকিল্প নইে। তাই শীল, সমাধি ও প্রজ্ঞাসাধনার পাশাপাশি আত্মসংযম ও ত্যাগশিক্ষা বৌদ্ধ প্রবারণার একটি অপরিহায্য বিধান । বুদ্ধরে জীবদ্দশায় শ্রাবস্তীর জতেবন বহিারে অবস্থানকালে তনিি ভক্ষিুসংঘরে পালনীয় র্কতব্য হসিবেে এ প্রবারণার প্রর্বতন করনে। তিন মাস র্বষাবাস সমাপনান্তে ভক্ষিুসংঘ আপন আপন দোষ-ত্রুটি স্বীকারর্পূবক জ্যেষ্ঠ ভিক্ষুদের কাছে প্রকাশ করে এবং তার প্রায়শ্চত্তি বধিানরে আহ্বান জানায়। তেমনি ভাবে জ্যেষ্ঠ ভিক্ষুরাও নবীনদের কাছে তাদের ভুল ভ্রান্তির কথা জানায়। র্অথাৎ, ভক্ষিুরা জ্ঞাত অথবা অজ্ঞাতসারে যে কোনো অপরাধ করে থাকলে সইে অপরাধ স্বীকারর্পূবক প্রবারণা দবিসে ক্ষমা র্প্রাথনা করনে। কারণ দৈনাদিন জীবনাচারে চত্তি নানা রকম অকুশলে আবষ্টি হয়। তাই প্রতটিি মুর্হূতে চত্তি জাগ্রত রখেে গুণরে প্রতি আকৃষ্ট থাকার জন্যই এ প্রবারণার প্রর্বতন করা হয়।