বুধবার ● ২৪ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (৯ কার্তিক ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৩২মি) গাইবান্ধার ৫ টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকলেও জাতীয় পার্টির রয়েছেন একক প্রার্থী। আওয়ামী লীগ বলছে যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতে তারাই জিতবেন সবকটি আসন। আর বিএনপি বলছে সুষ্ঠ নির্বাচন হলেও তাদের জয় নিশ্চিত। আর সুষ্ঠ ভোটে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করতে চান ভোটাররা।
কৃষি নির্ভর জেলা গাইবান্ধা। ২ হাজার ১৭৯ বর্গ কিলোমিটারের গাইবান্ধায় উপজেলা ৭টি। সংসদীয় আসন ৫ টি। ভোটার ১৭ লাখ ৮৪ হাজার। এরমধ্যে পুরুষ ৮ লাখ ৭০ হাজার এবং নারী ৯ লাখ ১৩ হাজার।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গাইবান্ধা ১ আসন। বর্তমানে এ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। আগামী নির্বাচনে আসনটিতে মনোনয়ন প্রার্থী হাফডজন আওয়ামী লীগ নেতা। তুলনামূলক কম শক্তিশালী বিএনপি এখানে অনেকটাই জোট নির্ভর।
সদর উপজেলা নিয়ে গাইবান্ধা ২ আসন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সংসদ সদস্য মাহবুব আরা বেগম গিনি ছাড়াও আছেন জেলা কমিটির একাধিক নেতা। আর বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে চান ৩/৪ জন। জাতীয় পার্টির একক প্রাথী হতে পারেন জেলা সভাপতি আব্দুর রশিদ সরকার। এ আসনে বামদলগুলোর আছে একাধিক প্রার্থী।
সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ি উপজেলা নিয়ে গাইবান্ধা ৩ আসনে সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার। তিনি ছাড়াও আওয়ামী লীগের ডজনখানেক প্রার্থী মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। ২০ দলীয় জোট থেকে বিএনপির জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতারা ছাড়াও কাজী জাফরের জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোনয়ন প্রত্যাশী। জাতীয় পার্টি থেকেও রয়েছে ৩ জন প্রার্থী।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গাইবান্ধা ৪ আসনটি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের দখলে। বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য ছাড়াও আরো কয়েকজন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চান। বিএনপি সাবেক সংসদ সদস্য শামীম কায়সারসহ উপজেলা কমিটির একাধিক নেতা আছেন মনোনয়ন দৌঁড়ে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জাতীয় পার্টি ও জাপা-বিএপির আলাদা দুজন প্রার্থী।
ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গাইবান্ধা ৫ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া। প্রবীণ এই নেতার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন। জাতীয় পার্টি থেকে স্থানীয় কয়েকজন নেতা চান মনোনয়ন। বিএনপি থেকে লড়তে চান জেলা ও উপজেলা কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা।
ভোটাররা বলেছেন, সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াবেন এমন প্রার্থীকেই ভোট দেবেন তারা। নিজেদের পছন্দ মতো প্রার্থী নির্বাচনে সুষ্ঠ নির্বাচনি পরিবেশের প্রত্যাশা ভোটারদের।