শনিবার ● ২৭ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » নদী ভাঙনে দারিদ্র্যতার মুখে চরাঞ্চলের মানুষ
নদী ভাঙনে দারিদ্র্যতার মুখে চরাঞ্চলের মানুষ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (১২ কার্তিক ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.১১মি) গাইবান্ধার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের মানুষ নদী ভাঙনের কারণে দরিদ্র হয়ে পড়ছে। যখন নদী ভাঙন শুরু হয় তখন ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, গাছপালা, আবাদি জমি নদীর করাল গ্রাসে বিলিন হতে থাকে। তখন বাড়তে থাকে মানুষের দুুুুরর্ভোগ। নিরূপায় হয়ে পড়ে নদীকুলে বসবাসকারী মানুষেরা। আর সেই সময় থেকেই মানুষগুলো দারিদ্র্যতার মুখে পড়ে যায়। তখন পরিবারপরিজন নিয়ে চরম দুর্বিপাকে পড়ে সেই মানুষগুলো। যখন নদীর পানি কমতে থাকে তখনই শুরু হয়ে যায় নদী ভাঙন। বাড়ির গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ও ঘরের চালা টানা হেঁচড়া অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষের।
একদিকে অর্থের ক্ষতি অন্যদিকে কর্মের অভাবে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে ওই পরিবারকে পড়তে হচ্ছে চরম দুর্বিপাকে। এমনি করে চরাঞ্চলের সেইসব মানুষেরা দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হতে থাকে। অনেক পরিবারই নদী ভাঙনের কবল থেকে তাদের ঘরবাড়ি, গবাদি পশু রক্ষা করতে পারে না। নদীগর্ভে বিলীন হয় তাদের স্বপ্নের বসত। তাদের আশ্রয় হয় কোন বাঁধে কিংবা অন্য কোনখানে। যাদের সামর্থ্য থাকে, তারা বিভিন্ন জেলায় গিয়ে জমি কিনে বসতি গড়ে তুলেছে। কিন্তু বেশিরভাগ পরিবারেরই আশ্রয় হয়েছে বাঁধ কিংবা উঁচু ঢিবিতে। পরিবারকে বাঁচাতে তারা বিভিন্ন জেলায় কর্মের সন্ধানে ছড়িয়ে পড়ছে।
গাইবান্ধা সদরের প্রত্যন্ত চরাঞ্চল মোল্লারচরের ১নং ওয়ার্ড সিধাই, ২নং ওয়ার্ডের বাজে চিথুলিয়া, ৯নং ওয়ার্ড, ৮নং ওয়ার্ড, মৌলভীর চর, চিথুলিয়া দিগর, চিথুলিয়ার চর, ছেরিমারা, হাতি মারাসহ কামারজানি ইউনিয়নের কুন্দেরপাড়া, হাঁসধরা, পূর্ব বাটিকামারী এইসব এলাকাগুলির মানুষ ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদের ভাঙনের মুখে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে।